অবশেষে হারমানপ্রীতকে নিষিদ্ধ করার সিদ্ধান্ত জানাল আইসিসি
শাস্তি পেতে যাচ্ছেন, সেটি একরকম নিশ্চিতই ছিল। শাস্তির মাত্রাও জানা গিয়েছিল আগেই। অবশেষে হারমানপ্রীত কৌরকে শাস্তি দেওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিল আইসিসি। গত শনিবার মিরপুরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের শেষ ম্যাচে অসদাচরণের দায়ে ভারত অধিনায়ককে দুই ম্যাচের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে। আজ এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এটি নিশ্চিত করেছে আইসিসি।
সিরিজ নির্ধারণী ম্যাচটিতে একই সঙ্গে লেভেল ওয়ান ও লেভেল টু ধরনের অপরাধ করেছেন হারমানপ্রীত। কোড অব কন্ডাক্টের ২.৮ নম্বর ধারা ভঙ্গ করেছেন তিনি, যেটি লেভেল টু পর্যায়ের অপরাধ। এটি আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে অসন্তোষ জানানোর সঙ্গে সম্পর্কিত। ম্যাচের ৩৪তম ওভারে আম্পায়ার তানভীর আহমেদ তাকে স্লিপে ক্যাচ আউট দেওয়ার পর সিদ্ধান্ত মেনে নিতে না পেরে ব্যাট দিয়ে স্টাম্প ভাঙেন ভারত অধিনায়ক। এ অপরাধে হারমানপ্রীতের ম্যাচ ফির ৫০ শতাংশ জরিমানা করা হয়েছে, দেওয়া হয়েছে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট। এ ধরনের অপরাধে ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ ম্যাচ ফি জরিমানা, সঙ্গে তিন বা চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয়।
২০১৬ সাল থেকে মেয়েদের ক্রিকেটে কোড অব কন্ডাক্ট ভঙ্গের দায়ে শাস্তি পাওয়া ক্রিকেটারদের যে তালিকা আইসিসির ওয়েবসাইটে আছে, তাতে লেভেল টু পর্যায়ের অপরাধ করা প্রথম ক্রিকেটার হলেন হারমানপ্রীত। এর আগে ২০১৭ সালে লেভেল ওয়ান ধরনের অপরাধে ভর্ৎসনা শুনেছিলেন তিনি।
মিরপুরর ম্যাচে ২.৭ নম্বর ধারাও ভেঙেছেন হারমানপ্রীত, যেটি লেভেল ওয়ান ধরনের অপরাধ। এ ধারায় বলা আছে, ‘আন্তর্জাতিক ম্যাচের সঙ্গে সম্পর্কিত কোনো ঘটনা নিয়ে প্রকাশে সমালোচনা করা।’ ম্যাচশেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আম্পায়ারদের সমালোচনা করেছিলেন তিনি। এ অপরাধে ম্যাচ ফির ২৫ শতাংশ জরিমানা ও একটি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি।
নিয়ম অনুযায়ী, কোনো খেলোয়াড় ২৪ মাসের মধ্যে চার বা এর বেশি ডিমেরিট পয়েন্ট পেলে সেটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্টে রূপ নেবে। চারটি ডিমেরিট পয়েন্ট মানে দুটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট। আর দুটি নিষেধাজ্ঞা পয়েন্ট মানে একটি টেস্ট বা দুটি ওয়ানডে বা দুটি টি-টোয়েন্টিতে নিষেধাজ্ঞা—যে সূচি আগে আসে। ফলে আগামী সেপ্টেম্বরে শুরু হতে যাওয়া হাংঝু এশিয়ান গেমসে ভারতের প্রথম দুটি ম্যাচে খেলতে পারবেন না হারমানপ্রীত।
ম্যাচ রেফারি আখতার আহমেদের দেওয়া শাস্তি মেনে নিয়েছেন হারমানপ্রীত, এ কারণে আনুষ্ঠানিক শুনানির প্রয়োজন পড়েনি।