শুরুতে বলতে হয়, ‘গুড টস টু লুজ’। অনেক দিন পর যেন চেনা বাংলাদেশ দলকে দেখলাম। আর একই ভেন্যুতে অল্প সময়ের মধ্যে তিন ম্যাচে তিন ধরনের উইকেট—বেশ চমকপ্রদ। উইকেটের বাড়তি বাউন্স বোলাররা বেশ ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে, বিশেষ করে শরীফুল। পেসবান্ধব উইকেটেও বাংলাদেশ একজন পেসার কম খেলিয়েছে। যদিও সামগ্রিক বোলিং পারফরম্যান্সে তার প্রভাব পড়েনি।
শরীফুল ইসলাম: ৯.৫/১০
নিখুঁত লেংথে বোলিং করে উইকেটের বাউন্সের দারুণ সদ্ব্যবহার করেছে, শুরুতে উইকেট নিয়ে উইকেট দলের আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনতেও দারুণ ভূমিকা রেখেছে। ২৩ রানে ৪ উইকেটের বোলিং ফিগার তো আছেই, পাশাপাশি তার পারফরম্যান্সের ইতিবাচক প্রভাবের জন্য সর্বোচ্চ নম্বরটা শরীফুলই পাবে।
তাসকিন আহমেদ: ৭/১০
শরীফুলের সঙ্গে তার বোলিং জুটি ছিল চমৎকার, বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে। যা আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানদের হাত খুলে খেলার সুযোগ তেমন একটা দেয়নি।
সাকিব আল হাসান: ৮.৫/১০
লং লেগে সীমানার ওপর দুর্দান্ত ফিল্ডিং দেখেই বোঝা যায়, সাকিবের মধ্যে এখনো কতটা প্রাণশক্তি আছে। পাশাপাশি কতটা নিয়ন্ত্রিত বোলিং সে করতে পারে, সেটিও দেখলাম। ব্যাটিংয়েও আউট হওয়ার আগপর্যন্ত বেশ গোছানো ছিল।
মেহেদী হাসান মিরাজ: ৬/১০
পরিস্থিতি অনুয়ায়ী ভালো বোলিং করেছে, যা আফগানিস্তান ব্যাটসম্যানদের ওপর চাপ ধরে রাখাটা নিশ্চিত করেছে। অবশ্য খুব প্রয়োজন না পড়লে শেষের দিকে তাকে বোলিং করানো কতটা যুক্তিযুক্ত, তা ভেবে দেখা দরকার।
তাইজুল ইসলাম: ৭/১০
নিজের সপ্তম ওভারে তুলনামূলক একটু খরুচে হলেও তাইজুলের বোলিং ভালোই ছিল। বলের ওপর নিয়ন্ত্রণ বেশ ভালো ছিল। দুটি উইকেটও নিয়েছে।
মোহাম্মদ নাঈম: ১/১০
আবারও নিজেকে মেলে ধরতে ব্যর্থ। নির্বাচকদের আস্থার প্রতিদান অন্তত এই সিরিজে দিতে পারল না।
নাজমুল হোসেন: ২/১০
ওর ব্যাটিং দর্শনটা খুব সম্ভবত আগের জায়গায় নেই। ওয়ান ডাউন ব্যাটসম্যানের জন্য পরিমিতিবোধটা খুবই জরুরি, যা গত বিপিএল থেকে ওর মধ্যে দেখা যাচ্ছিল। ওর শক্তির জায়গা কিন্তু সেটিই, এটি মনে রাখা দরকার।
লিটন দাস: ৭.৫/১০
দায়িত্বশীল ইনিংস খেলেছে, দলকে জিতিয়ে মাঠ ছেড়েছে। সিরিজ হারের পরও অধিনায়ক হিসেবে দলকে উজ্জীবিত রাখতে পেরেছে।
তাওহিদ হৃদয়: ৬.৫/১০
যখন নেমেছে, খুব বেশি রান বাকি ছিল না। তারপরও এলোমেলো শট না খেলে নিজের রুটিন অনুসরণ করে পরিণতবোধের ছাপই রেখেছে। বড় মাপের খেলোয়াড় হতে চাইলে এ গুণ থাকা জরুরি।
* মুশফিক ও আফিফ ব্যাটিং বা বোলিং করেনি।