‘টেপ টেনিসে অভ্যস্ত’ বাবরদের ব্যাটিং নিয়ে হতাশ বাট

বাবর–রিজওয়ানরা হাসারাঙ্গার বলে ভোগায় অবাক হয়েছেন সালমান বাটফাইল ছবি

এশিয়া কাপ ফাইনালের আগে নিয়ম রক্ষার ম্যাচে শ্রীলঙ্কার কাছে ৫ উইকেটে হেরেছে পাকিস্তান। লঙ্কানদের জয়ে দারুণ বোলিং করেছেন স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা। ২১ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৩টি। পাকিস্তানকে ১২১ রানে গুটিয়ে দেওয়ার পথে অধিনায়ক বাবর আজম, ইফতেখার আহমেদ এবং আসিফ আলীকে ফিরিয়েছেন হাসারাঙ্গা। ফাইনালেও লঙ্কানদের তুরুপের তাস হতে পারেন এই স্পিনার। তবে পাকিস্তানি ব্যাটাররা যেভাবে হাসারাঙ্গাকে খেলেছেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সালমান বাট। হাসারাঙ্গার বিপক্ষে বাবর–রিজওয়ানদের ব্যাটিং দেখে হতাশ পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক।

পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক সালমান বাট
ছবি: এএফপি।

টসে হেরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আগে ব্যাটিংয়ে নেমে থিতু হতে পারেননি পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা। বাবর–রিজওয়ানরা বেশি ভুগেছেন হাসারাঙ্গার বলে, যা বেশ অবাক করেছে বাটকে। স্পট ফিক্সিংয়ের কারণে একসময় নিষিদ্ধ থাকা বাট নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘যেভাবে পাকিস্তানের ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছে, তা বেশ হতাশাজনক। সারা জীবন তারা টেপ টেনিসে খেলেছে। তারা কীভাবে হাসারাঙ্গার আঙুলের বৈচিত্র্য বুঝতে পারে না? ইফতেখার আহমেদ আগের ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও গুগলি বুঝতে পারেনি। সে বোলারের বৈচিত্র্য ধরতেই পারেনি।’

সুপার ফোরের এই ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বোলাররা নিয়ন্ত্রিত বোলিংই করেছেন। তবে বাট নিজ দেশের ব্যাটসম্যানদের ভুল শটকেই দুষছেন বেশি, ‘পাকিস্তানি ব্যাটসম্যানরা যে ধরনের শট খেলেছে, আমি এটাকে তাদের জন্য খারাপ দিন বলতে পারি না। আমি বলব, তারা যে ধরনের শট খেলেছে, তা বেশ বাজে ছিল। আমরা তখনই এটাকে তাদের খারাপ দিন বলতে পারতাম, যখন তাদের ভাগ্য খারাপ হতো। ব্যাটসম্যানরা আউট হয়েছে বোলারদের বৈচিত্র্য বুঝতে না পারার কারণে।’

চলতি এশিয়া কাপেও বল হাতে উজ্জ্বল হাসারাঙ্গা
ছবি: এএফপি

এদিন ৫৮ রান তুলতেই শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। ব্যাটসম্যানদের অসহায় এই আত্মসমর্পণ বোলারদেরও লড়াইয়ের পুঁজি দিতে পারেনি। তবে ফাইনালে পাকিস্তান ভিন্ন এক রূপে দেখা দেবে বলেই বিশ্বাস বাটের, ‘আমি নিশ্চিত, ফাইনালে পাকিস্তান ভিন্ন একটি দল হবে। তারা ভিন্ন মানসিকতা নিয়ে এই ম্যাচ খেলতে আসবে। পাশাপাশি এ–ও বলতে হয় যে ব্যাটিং নিয়ে বেশ উদ্বেগ আছে। পাকিস্তানকে প্রতিটি ধাপে দারুণ কিছু করে দেখাতে হবে।’