বিশ্বকাপের দুটি মাসকটের নাম জানাল আইসিসি

ব্লেজ (বাঁয়ে) ও টঙ্ক—২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের দুই মাসকটছবি : আইসিসি

লিঙ্গ সমতা তুলে ধরতে এবারের বিশ্বকাপে দুই মাসকট উন্মোচন করেছিল আইসিসি। গত মাসে উন্মোচিত লাল পোশাক পরা মাসকটটি ছিল নারী আর নীল পোশাকেরটা পুরুষ। কিন্তু মাসকট দুটির নাম সে সময় জানানো হয়নি।

বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা কাজটা সমর্থকদের ওপর ছেড়ে দেয়। এ জন্য ভোটাভুটির আয়োজন করে। আইসিসি ইভেন্টের প্রধান ক্রিস টেটলি জানান, সবচেয়ে বেশি ক্রিকেটপ্রেমী যে দুটি নাম প্রস্তাব করবেন, সেই নামই চূড়ান্ত করা হবে। বিশ্বকাপ শুরুর মাত্র পাঁচ দিন আগে সেই নাম দুটি প্রকাশ করল আইসিসি।

ক্রিকেটপ্রেমীদের ভোটে যে দুটি নাম নির্বাচিত হয়েছে, সেগুলো হলো ব্লেজ ও টঙ্ক। আজ নিজেদের ওয়েবসাইটে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আইসিসি। ব্লেজ ও টঙ্ককে বিশ্বকাপের সব ভেন্যুতেই দেখা যাবে। এ ছাড়া ফ্যানস পার্কগুলোয়ও থাকবে। মাসকট দুটি দর্শক-সমর্থকদের সঙ্গে মিশে গিয়ে তাঁদের আরও উজ্জীবিত করবে।

ক্রিস টেটলি আগেই বলেছিলেন, ‘একতা ও আবেগের আলোকবর্তিকা হিসেবে মাসকট দুটি সীমানা ও সংস্কৃতি ছাড়িয়ে যাওয়া ক্রিকেটের আবেদনকে নির্দেশ করবে। উভয় লিঙ্গের প্রতিনিধিত্বের মাধ্যমে গতিশীল বিশ্বে লিঙ্গ সমতার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাকে প্রতিফলিত করবে।’ আইসিসির ওয়েবসাইট ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা ব্লেজ–টঙ্কের ভিডিওতে ওই কথাগুলোরই প্রতিফলন ঘটেছে।

ব্লেজ হলো নারী মাসকট, যে দ্রুতগতিতে বোলিং করে ব্যাটসম্যানদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়। নির্ভুলতা, অতুলনীয় প্রতিফলন, সীমাহীন নমনীয়তা ও দৃঢ় সংকল্পের কারণে সে একজন ফাস্ট বোলিং সেনসেশন। ব্লেজ লাল রঙের পোশাকের সঙ্গে কোমরে একটি বেল্ট বেঁধেছে, যেটার সঙ্গে ছয়টি ক্রিকেট বলের মতো ক্ষমতাসম্পন্ন গোলাকার বস্তু রয়েছে। প্রতিটিই খেলার কৌশল পরিবর্তনের জন্য ব্যবহার করা হয়।

আরও পড়ুন

আর টঙ্ক হলো পুরুষ মাসকট। নীল পোশাক পরা হিমশীতল স্বভাবের টঙ্ক একজন চ্যাম্পিয়ন ব্যাটসম্যান। সে একটি তড়িৎচুম্বকীয় ব্যাট দিয়ে খেলে। এটা দিয়ে সব ধরনের শট খেলতে পারে। তার একেকটা শট চমকে দেওয়ার মতো, ব্যাটিং–চাতুর্য দর্শকদের আনন্দের উপলক্ষ এনে দেয় এবং ক্রিকেটের সর্বৃবহৎ মঞ্চকে আলোকিত করে।

বিশ্বকাপের সব ভেন্যু ও ফ্যানস পার্ক মাতিয়ে রাখবে ব্লেজ ও টঙ্ক
ছবি : আইসিসি

আগামী ৫ অক্টোবর আহমেদাবাদে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বিশ্বকাপ। ১০টি দল ভারতের ১০ ভেন্যুতে ৪৬ দিনে ৪৮ ম্যাচ খেলবে। ১৯ নভেম্বর আহমেদাবাদেই হবে ফাইনাল।