ক্রিকেটের ‘কিছুই’ জানেন না সানিয়া , মেয়েদের আইপিএলে কী শেখাচ্ছেন

ভারতের টেনিস কিংবদন্তি সানিয়া মির্জাছবি: টুইটার

ভারতের টেনিস কিংবদন্তি তিনি। পেশাদার ক্রিকেটের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল না একদমই।

এমন একজনকে মেয়েদের আইপিএলে (ডব্লুআইপিএল) রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) মেন্টর হতে দেখে অনেকেই অবাক হয়েছিলেন। পাকিস্তানের ক্রিকেটার শোয়েব মালিক তাঁর স্বামী। ছেলেবেলায় টেনিসের পাশাপাশি ক্রিকেট আর সাঁতারেও সময় দিয়েছেন এক-আধটু। কিন্তু ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ‘মেন্টর’ হওয়ার মতো ক্রিকেট-সংশ্লিষ্টতা ছিল না কখনোই। খবরটি জানার পর অনেকেরই প্রশ্ন ছিল, ক্রিকেটের কী বোঝেন সানিয়া মির্জা?

আরও পড়ুন

গতকাল ৩৬ বছর বয়সী এই টেনিস তারকা নিজেই বললেন, ক্রিকেটের ‘কিছুই’ জানেন না তিনি। তাহলে কোটি রুপির ক্রিকেট টুর্নামেন্টে আরসিবির মেন্টর হয়ে কী কাজ করবেন সানিয়া?

আরসিবি অধিনায়ক স্মৃতি মান্ধানার সঙ্গে সানিয়া মির্জা
ছবি: টুইটার

আজ দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে মেয়েদের আইপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচ খেলতে নামবে আরসিবি। এ উপলক্ষে গতকাল দলটির টুইটার হ্যান্ডেলে একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে, যেখানে দল নিয়ে কথা বলেন মেন্টর সানিয়া। সেখানে অনেকের মনে জমে থাকা প্রশ্নের উত্তরটি দেন তিনি, ‘আমি ক্রিকেট সম্পর্কে কিছুই জানি না। (যখন মেন্টর বানানো হয়) ভাবছিলাম, কী করব আমি? মেয়েদের সঙ্গে কী নিয়ে কথা বলব?’

আরও পড়ুন

তবে তাৎক্ষণিকভাবে কী করবেন বুঝে উঠতে না পারলেও এত দিনে দায়িত্বের পরিধি ও ধরন বুঝে নিয়েছেন সানিয়া। টেনিসে মেয়েদের ডাবলসের সাবেক নাম্বার ওয়ান এই তারকা কিছুদিন আগে অবসর নিয়েছেন।

মূলত দুই দশকের টেনিস ক্যারিয়ারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে ক্রিকেটারদের মানসিক শক্তি জোগানোতেই কাজ করার কথা জানালেন তিনি, ‘কিছুদিন আগে আমি অবসর নিয়েছি। ভাবছিলাম আমার জীবনের পরবর্তী ধাপ কী? এরপর সিদ্ধান্ত নিই, ভারত এবং ভারতের বাইরের নারী অ্যাথলেটদের সাহায্য করব আমি। যেকোনো খেলায় মানসিক দিকটা খুব গুরুত্বপূর্ণ, যেটা আমি ২০ বছর ধরে সামাল দিয়ে গেছি।’

টেনিস মূলত ব্যক্তিনির্ভর খেলা, ক্রিকেট দলগত। ধরনে পার্থক্য থাকলেও মানসিকতা নিয়ে কাজ করার বিষয়টা একই মনে করছেন সানিয়া, ‘আমি ব্যক্তিগত খেলায় ছিলাম। যে কারণে ফটোশুট, গণমাধ্যমের মনোযোগ—সবকিছু নিজেকে একা সামলাতে হতো। সেখান থেকে ভাবলাম যে এই বিষয়টায় তো মেয়েদের আমি সহায়তা করতে পারি। চাপ অনুভব করা স্বাভাবিক বিষয়, কিন্তু সেটা সামাল দেওয়ার পদ্ধতি জানতে হবে। আশপাশের চেঁচামেচি থেকে দূরে থাকা শিখতে হবে। ভারতের মিডিয়া সামলানো কিন্তু কঠিন।’