৬০ সেকেন্ড পার হলেই জরিমানা, বিশ্বকাপেই স্থায়ী হচ্ছে নতুন আইন
ক্রিকেটে ‘স্টপ ক্লক’ আইন আপাতত পরীক্ষাধীন। গত বছর নভেম্বরেই আইসিসি জানিয়েছিল, ডিসেম্বর থেকে ২০২৪ সালের এপ্রিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে স্টপ ক্লক পদ্ধতি চলবে। এবার জানা গেল, জুনে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়মটি প্রয়োগ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এটি স্থায়ী করা হবে। সংবাদমাধ্যম ক্রিকবাজ জানিয়েছে, ক্রিকেটের সাধারণ প্লেয়িং কন্ডিশনেই অন্তর্ভুক্ত করা হবে এই নিয়ম।
সাদা বলের সংস্করণ, অর্থাৎ টি–টোয়েন্টি এবং ওয়ানডেতে এই নিয়ম চালু করা হবে। ম্যাচগুলো সময়মতো শেষ করাই নিয়মটির লক্ষ্য। ফিল্ডিং দল প্রতি ওভার শেষে নতুন ওভার শুরুর আগে ৬০ সেকেন্ড সময় পাবে। এই ৬০ সেকেন্ড সময় শেষ হওয়ার আগেই নতুন ওভার শুরু করতে হবে। প্রতিবার এই নিয়ম ভাঙার জন্য আছে পেনাল্টির ব্যবস্থা। মাঠের আম্পায়ার ফিল্ডিং দলকে দুবার সতর্ক করে দেবেন। তৃতীয়বার নিয়ম ভাঙলে ৫ রান পেনাল্টি হবে। তৃতীয়বার থেকে যতবার এই নিয়ম ভাঙা হবে, প্রতিবারই ৫ রান যোগ হবে প্রতিপক্ষের স্কোরবোর্ডে।
ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটসম্যানের কারণে, ডিআরএস বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে দেরি হলে ফিল্ড আম্পায়ার চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন।
ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসি নিয়মটি পরীক্ষামূলকভাবে চালু করে ফল পেয়েছে বলেই এটি এখন স্থায়ী করতে চাচ্ছে। ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটির প্রতিটি সাদা বলের ম্যাচেই এই নিয়ম কার্যকর করা হবে। দুবাইয়ে চলমান আইসিসির বৈঠকে নিয়মটি অনুমোদন করা হয়েছে।
আজও আইসিসি বোর্ডের বৈঠক আছে দুবাইয়ে। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আইসিসি বৈঠকে এখন পর্যন্ত ২০২৫ চ্যাম্পিয়নস ট্রফি নিয়ে কোনো আলোচনা হয়নি। এই টুর্নামেন্টের আয়োজক দেশ পাকিস্তান। রাজনৈতিকভাবে বৈরী সম্পর্ক থাকায় ভারত এই টুর্নামেন্ট খেলতে পাকিস্তানে যেতে রাজি হবে না—এটা ধরে নিয়েই সম্ভাব্য জটিলতা নিরসনে বৈঠকে এ বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা।
ইলেকট্রনিক স্ক্রিনে ৬০ সেকেন্ডের টাইমার চালু করবেন তৃতীয় আম্পায়ার। তবে ব্যাটসম্যানের কারণে, ডিআরএস বা অন্য কোনো অনিবার্য কারণে পরবর্তী ওভার শুরু করতে দেরি হলে ফিল্ড আম্পায়ার চূড়ান্ত সময় নির্ধারণ করবেন।
গত বছর এশিয়া কাপেও একই জটিলতা তৈরি হয়েছিল। মূল আয়োজক ছিল পাকিস্তান। ভারত সেখানে খেলতে যেতে রাজি না হওয়ায় শেষ পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি ‘হাইব্রিড মডেল’–এ আয়োজন করা হয়। পাকিস্তানের সঙ্গে সহ–আয়োজক হয় শ্রীলঙ্কা, ভারতের ম্যাচগুলো হয় দ্বীপদেশটিতে।