দুদকের তদন্ত নিয়ে বিসিবি সভাপতি: কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে বলতে পারছি না
হঠাৎ করেই গত মঙ্গলবার বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে (বিসিবি) গিয়েছিলেন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) কর্মকর্তারা। আগে না জানিয়ে তাঁদের আকস্মিক আগমনে কিছুটা হলেও হকচকিয়ে গিয়েছিলেন বিসিবি কর্তারা। সেই সময় দেশে ছিলেন না সভাপতি ফারুক আহমেদ। আইসিসির সভা শেষে তিনি সেদিন রাতেই দেশে ফিরেছেন।
রাজধানীতে আজ শিশুদের একটি খেলা উদ্বোধন করতে গিয়ে বিসিবিতে দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন। যেখানে দুদককে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার কথা বলেছেন ফারুক, ‘যেদিন দুদক বিসিবিতে অভিযান চালিয়েছে, সেদিন রাতেই আমি দেশে ফিরেছি। আমার মনে হয়েছে, তারা কারও নির্দিষ্ট কোনো অভিযোগের ভিত্তিতে এসেছে। বোর্ড হিসেবে আমরা সর্বাত্মকভাবে তাদের সহযোগিতা করব বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি সিইওকে বলে দিয়েছি, তারা যেসব নথিপত্র চেয়েছে, সেগুলো দিয়ে সহযোগিতা করতে। সিইও ইতিমধ্যে সে বিষয়ে কাজ শুরু করেছে।’
তবে দুদকের অনুসন্ধান নিয়ে নির্দিষ্ট করে কিছু বলতে পারেননি ফারুক, ‘তদন্ত কর্মকর্তারা যেকোনো তথ্য বা কাগজপত্র চাইলেই তা যেন দেওয়া হয়, আমি সেই নির্দেশনা দিয়ে রেখেছি। তাদের অনুসন্ধান কতদূর এগিয়েছে বা কতদিন চলবে, তা নির্দিষ্ট করে এখনই বলা যাচ্ছে না। কোথা থেকে কী বেরিয়ে আসবে, তাও বলতে পারছি না। তবে তদন্ত চলুক।’
ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে ফারুক বলেছেন, ‘এবার ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচ খেলার প্রবণতা কিছুটা কমেছে। পুরোপুরি অবশ্য বন্ধ হয়নি। কিছু টিম বাছাইপর্বে দুটি করে দল তুলেছে। তারা কী উদ্দেশ্য নিয়ে এটা করেছে? তদন্ত করে বোঝার চেষ্টা করছি, কোথায় কোথায় দুর্নীতি থাকতে পারে। কিছু পাওয়া গেলে অবশ্যই ব্যবস্থা নেব আমরা।’
পাতানো খেলার দীর্ঘমেয়াদী ক্ষতিকর প্রভাব বোঝাতে ফারুক এরপর যোগ করেন, ‘পাতানো খেলা থাকলে আপনি কখনোই ভালো খেলোয়াড় পাবেন না। আপনি সেরা ব্যাটারকে বলবেন ডাক করে আউট হতে, সেরা বোলারকে বলবেন ওয়াইড বা নো বল দিয়ে উইকেট না নিতে। এটা তো খেলা না। আমরা এটা বন্ধ করতে চাই। একটা টেকনিক্যাল কমিটি আছে। তদন্ত হবে, তদন্তে যদি কোনো অপরাধ বা অনিয়ম প্রমাণিত হয়। তাহলে অবশ্যই শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’