আইপিএলে ফেরার ইঙ্গিত ডি ভিলিয়ার্সের
আইপিএলে কি তবে ফিরছেন এবি ডি ভিলিয়ার্স? ফিরলে কোন ভূমিকায়? খেলোয়াড়? কোচ নাকি মেন্টর হিসেবে? ভারতের বার্তা সংস্থা আইএএনএসকে ডি ভিলিয়ার্স নিজেই এমন ইঙ্গিত দেওয়ায়, এসব প্রশ্ন উঠছে।
২০২১ সালে সব ধরনের ক্রিকেট ছেড়ে দেওয়া ৪১ বছর বয়সী ডি ভিলিয়ার্সের খেলোয়াড় হিসেবে ফেরার সম্ভাবনা নেই, তেমন ইঙ্গিত তিনি দেননি। তবে অন্য দুটি রাস্তা খোলা আছে। ডি ভিলিয়ার্স সেখানেও একটি বিষয় মনে করিয়ে দিয়েছেন, পূর্ণ মেয়াদে কোনো দায়িত্ব পালন করা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। কিন্তু এরপরও ডি ভিলিয়ার্সের কথায় আশান্বিত হতে পারে আইপিএলের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু।
কেন আশান্বিত হতে পারে—সেটা বুঝবেন ডি ভিলিয়ার্সের কথা শুনলেই, ‘ভবিষ্যতে হয়তো ভিন্ন ভূমিকায় আইপিএলের সঙ্গে যুক্ত হতে পারি। কিন্তু পেশাদার হিসেবে পূর্ণ একটি মৌসুমে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হওয়া আসলেই কঠিন, আমার মতে সেসব দিন চলে গেছে। তারপরও বলছি, কোনো কিছুই উড়িয়ে দেওয়া যায় না। আমার হৃদয় আরসিবির সঙ্গে এবং সব সময় থাকবে। ফ্র্যাঞ্চাইজিটি যদি মনে করে, আমার ভূমিকা রাখার জায়গা (কোচ অথবা মেন্টর) আছে, যখন আমার সেই সঠিক সময়টা আসবে এবং প্রস্তুতও থাকব, তখন সেটা আরসিবিতেই হবে।’
ডি ভিলিয়ার্স শুধু আইপিএলই নয়, ক্রিকেট ইতিহাসেই কিংবদন্তিদের একজন। ওয়ানডেতে দ্রুততম ফিফটি, সেঞ্চুরি ও দেড় শ রানের রেকর্ড গড়া দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি ২০০৮ সালে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের (বর্তমানে দিল্লি ক্যাপিটালস) হয়ে আইপিএল ক্যারিয়ার শুরু করেন।
তিন মৌসুম এই দিল্লির হয়ে খেলার পর ডি ভিলিয়ার্স ২০১১ সালে যোগ দেন বেঙ্গালুরুতে। অবসর নেওয়ার আগপর্যন্ত আইপিএলে বেঙ্গালুরুর হয়ে ১৫৭ ম্যাচে ৪১.১০ গড়ে ও ১৫৮.৩৩ স্ট্রাইক রেটে ৪৫২২ রান করেছেন। দুটি সেঞ্চুরি ও ৩৭টি ফিফটিও আছে বেঙ্গালুরুর হয়ে।
২০১৬ সালে বিরাট কোহলির সঙ্গে আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ (২২৯) রানের জুটির রেকর্ডেও নাম আছে ডি ভিলিয়ার্সের। সব মিলিয়ে আইপিএলে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে ১৮৪ ম্যাচে ১৫১.৬৮ স্ট্রাইক রেটে ৫১৬২ রান করেছেন ডি ভিলিয়ার্স। তিন সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৪০টি ফিফটি। ২০২২ সালে ক্রিস গেইলের সঙ্গে বেঙ্গালুরুর হল অব ফেমেও জায়গা পান ডি ভিলিয়ার্স