গ্রেগ চ্যাপেলের ছেলে এখন অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান
বিখ্যাত ক্রিকেট পরিবারের সংক্ষিপ্ত তালিকা করলে চ্যাপেলদের ওপরের দিকেই রাখতে হবে। ভিক্টর ইয়র্ক রিচার্ডসনের দেখানো পথ ধরে তাঁর তিন নাতি ইয়ান চ্যাপেল, ট্রেভর চ্যাপেল ও গ্রেগ চ্যাপেল হয়েছিলেন সফল ক্রিকেটার। শেষের জন গ্রেগের এক ছেলে জোনাথান চ্যাপেল ক্রিকেটার না হলেও ক্রীড়াঙ্গনের সঙ্গেই মিশে ছিলেন। যুক্তরাষ্ট্রের বেসবলে পেশাদার খেলোয়াড় ছিলেন জোনাথান।
তবে জোনাথনের আরেক ভাই, মানে গ্রেগের আরেক ছেলে স্টিফেন চ্যাপেল ক্রিকেটার হওয়ার সব রকম সম্ভাবনা জাগিয়েও মনোযোগ সরিয়ে নিয়েছিলেন অন্যখানে। তাতে অবশ্য মনঃক্ষুণ্ন হননি সিনিয়র গ্রেগ। ছেলের আকাশে উড়াল দেওয়ায় ঝোঁক দেখে তাঁকে ভর্তি করিয়েছিলেন প্রতিরক্ষা বাহিনীতে। সেই ছেলেই গ্রেগকে গৌরবের উপলক্ষ এনে দিলেন। স্টিফেন যে এখন অস্ট্রেলিয়ার বিমানবাহিনীর প্রধান!
গতকাল অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিজ্ঞপ্তিতে স্টিফেন চ্যাপেলের বিমানবাহিনীর প্রধান হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘এয়ার ভাইস মার্শাল স্টিফেন চ্যাপেল ডিএসসি, সিএসসি, ওএএমকে পদোন্নতি দিয়ে বিমানবাহিনীর প্রধান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হবে। এয়ার ভাইস মার্শাল চ্যাপেল বর্তমানে সামরিক কৌশলগত বিভাগের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সংকটময় সময়ে তিনিই বিমানবাহিনীকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি।’
স্টিফেন অস্ট্রেলিয়ার প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার আগেই তাঁকে বিমান চালনার বিভিন্ন সরঞ্জাম কিনে দিয়েছিলেন গ্রেগ। প্রতিরক্ষা বাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর দ্রুতই তাঁর পদোন্নতি হতে থাকে। পদোন্নতি পাওয়ার আগেই অস্ট্রেলিয়া সরকার তাঁকে বিদেশে মোতায়েন করেছিল।
ছেলের এত বড় অর্জনের খবরে স্বাভাবিকভাবেই গর্বিত গ্রেগ চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই অধিনায়ক স্টিফেনের বিষয়ে বলেছেন, ‘সে (বিমানবাহিনীর) প্রধান হয়েছে, খবরটা শুনে প্রথমে আমরা খুব আশ্চর্য হয়েছিলাম। অবশ্যই সে প্রধান হওয়ার পথে ছিল। কিন্তু সেটা যে এত অল্প সময়েই হয়ে যাবে, আমরা আশা করিনি। আমি পুরো ক্যারিয়ারে যা যা অর্জন করেছি, ওর এই অর্জন তার চেয়েও বড়।’