ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে

ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুটি টেস্ট খেলবে নিউজিল্যান্ডফাইল ছবি: রয়টার্স

দূর দেশ থেকে প্রতিপক্ষ এসে হাজির, চালিয়ে যাচ্ছে অনুশীলন। কিন্তু স্বাগতিক দলের খেলোয়াড়দের অনেকেই ভেন্যুতে নেই।

এ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দলে, যার বড় কারণ একটি ঘূর্ণিঝড়। ১৬ ফেব্রুয়ারি মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে শুরু হবে ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড দুই টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এরই মধ্যে সেখানে অনুশীলন শুরু করে দিয়েছেন বেন স্টোকস, জো রুটরা।

বে ওভালে অনুশীলন চলছে নিউজিল্যান্ড দলেরও। তবে দলের সঙ্গে যোগ দিতে পারেননি টম ব্লান্ডেল, ম্যাট হেনরি, উইল ইয়ং, ব্লেয়ার টিকনার এবং তিন সাপোর্ট স্টাফ।

আরও পড়ুন

নিউজিল্যান্ডের বেশির ভাগ মানুষের বসবাস নর্দান ও সাউদার্ন আইল্যান্ডে। প্রথম টেস্টের ভেন্যু মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের অবস্থান নর্দান আইল্যান্ডে। ক্রিকইনফোর খবরে বলা হয়, নিউজিল্যান্ডের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার এখনো আছেন সাউদার্ন আইল্যান্ডে। প্রশান্ত মহাসাগরের দক্ষিণ-পূর্বের এ অঞ্চল এখন ঘূর্ণিঝড়ের কবলে।

গ্যাব্রিয়েল নামের ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে প্রবল বর্ষণ ও জলোচ্ছ্বাস দেখা দিয়েছে অনেক জায়গায়। প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে আগামী মঙ্গলবার পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের অভ্যন্তরীণ বিমান চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। যার ফলে সাউদার্ন আইল্যান্ড থেকে ওই খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফের সদস্যরা মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে পৌঁছাতে পারেননি।

আরও পড়ুন

এমন পরিস্থিতিতে টিকনার ও ইয়ং নেপিয়ার থেকে গাড়ি যোগে মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে যাবেন বলে নিশ্চিত করেছে নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট (এনজেডসি)। ক্রাইস্টচার্চে থাকা নিকোলস দলের সঙ্গে যোগ দেবেন বৃহস্পতিবার। তবে ব্লান্ডেল ও হেনরি কবে পৌঁছাতে পারবেন, নিশ্চিত নয়।

দ্বিতীয় সন্তান জন্মের পর ওয়েলিংটনে পরিবারের সঙ্গে আছেন ব্লান্ডেল, আর ক্রাইস্টচার্চে সন্তানসম্ভবা স্ত্রীর পাশে আছেন হেনরি। বিমান পরিবহন চালু থাকলে দুজনই প্রথম টেস্টের আগে দলের সঙ্গে যোগ দিতেন। কিন্তু আপাতত তা অনিশ্চিত।

আরও পড়ুন
আরও পড়ুন

মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব সাউথ আইল্যান্ডের মতো প্রবল নয়। তবে দুই দলকেই অনুশীলন ভেন্যু বদলাতে হয়েছে। সোমবার বে ওভাল ইনডোরে ঘাম ঝরিয়েছে দুই দল। নিউজিল্যান্ড দল সন্ধ্যায় অনুশীলন করতে চেয়েছিল। তবে ওই সময় বাতাসের বেগ বেশি থাকবে বলে অনুশীলন বাতিল করতে হয়েছে তাদের।

নিউজিল্যান্ড কোচ গ্যারি স্টিড অবশ্য ঘূর্ণিঝড়ের কারণে জনসাধারণের দুর্ভোগ নিয়ে বেশি চিন্তিত, ‘আমাদের বেশ কয়েকজন এখনো পৌঁছাতে পারেনি। নর্থ আইল্যান্ডের ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিমানযাত্রায় প্রভাব পড়েছে। আবহাওয়ার এই পরিস্থিতি হতাশাজনক। তবে নর্থ আইল্যান্ডে আমাদের চেয়েও বাজে সময় কাটাচ্ছেন অনেকে।’