আফগানদের বাজে ফিল্ডিং আর ল্যাথাম-ফিলিপসের জুটিতে নিউজিল্যান্ডের ২৮৮
আফগানিস্তানের ফিল্ডাররা রান বিলিয়েছেন। মাঝের ওভারে দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর পরও টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস গড়েছেন দারুণ জুটি। তারপর শেষ দিকের ঝড়। সব মিলিয়ে চেন্নাইয়ে আগে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে ২৮৮ রান করেছে নিউজিল্যান্ড। শেষ ৬ ওভারের মধ্যে দুই থিতু ব্যাটসম্যান ল্যাথাম ও ফিলিপসকে হারালেও নিউজিল্যান্ড তুলেছে ৭৮ রান।
ইংল্যান্ডকে হারিয়ে উজ্জীবিত আফগানিস্তান আজ টসে জিতে নেয় ফিল্ডিং, দ্বিতীয় ওভারেই উইল ইয়াংকে ফেরানোর সুযোগও আসে। তবে ফজলহক ফারুকির বলে ওঠা ক্যাচটি স্লিপে ফেলেন রহমত শাহ। ফিল্ডিংয়ের দুর্দশার যে সেটি কেবলই শুরু আফগানিস্তানের, তখন সেটি কে জানত!
ইতিবাচক শুরু করা ডেভন কনওয়েকে এলবিডব্লিউ করে আফগানিস্তানকে অবশ্য ব্রেকথ্রু এনে দেন আগের ম্যাচের নায়ক মুজিব উর রেহমান। আফগানিস্তান এরপর পেয়েছিল দ্রুত আরেকটি উইকেটের সুযোগ, এবার কেইন উইলিয়ামসনের অনুপস্থিতিতে আবার তিনে ফেরা রাচিন রবীন্দ্রর ক্যাচ মিড অনে ফেলেন অধিনায়ক হাশমতউল্লাহ শহীদি।
দলে ফেরা ইয়াং ও রবীন্দ্রর জুটি এরপর নিউজিল্যান্ডকে এগিয়ে নেয় অনেকটাই। দুজনের ৭৯ রানের জুটিতে কনওয়েকে হারানোর ক্ষতি পুষিয়ে ফেলে অনেকটাই। এরপরই নামে ধস। আফগানিস্তানের এবারের নায়ক আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তাঁর এক ওভারে ফেরেন রবীন্দ্র ও ইয়াং। রবীন্দ্র হন বোল্ড, ইয়াং পরিণত হন বাঁ দিকে ডাইভ দিয়ে নেওয়া ইকরাম আলীখিলের দুর্দান্ত ক্যাচে। পরের ওভারে রশিদ খানের লং হপে ড্যারিল মিচেল ফিরলে চাপ বাড়ে নিউজিল্যান্ড, সে সময় ৯ বলের মধ্যে ৩ উইকেট হারায় তারা।
১০৯ রানে ১ উইকেট থেকে ১১০ রানে ৪ উইকেট—নিউজিল্যান্ডকে চোখ রাঙাচ্ছিল খারাপ কিছু। কিন্তু টম ল্যাথাম ও গ্লেন ফিলিপস সেটি হতে দেননি। ইনিংস মেরামতের কাজটি তাঁরা করেন দারুণভাবে। সহায়তা করে আফগানদের বাজে ফিল্ডিং-ও। রশিদের শেষ দুই ওভারে দুবার বেঁচে যান ল্যাথাম, ৩৬ রানে মুজিবের পর ৩৮ রানে দাঁড়ানো কিউই অধিনায়কের ক্যাচ ফেলেন হাশমতউল্লাহ।
ল্যাথাম ও ফিলিপসের জুটিতে শেষ পর্যন্ত ওঠে ১৫৩ বলে ১৪৪ রান, দুজনই পান ফিফটি। মাঝের ওভারে কীভাবে জুটি বড় করতে হয়, সেটি দেখান দুজন। অবশ্য শেষ দিকে দুজনই গতি বাড়ানো শুরু করার পরই থামেন নাভিন-উল-হকের এক ওভারে। ৭৪ বলে ৬৮ রান করে বোল্ড হন ল্যাথাম, ক্যাচ তোলার আগে ৮০ বলে ৭১ রান ফিলিপসের।
তবে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে হারালেও মার্ক চাপম্যানের ১২ বলে ২৫ রানের ক্যামিওতে নিউজিল্যান্ড পায় ভালো স্কোর। মিচেল স্যান্টনারকে নিয়ে ১৬ বলেই ৩৩ রান যোগ করেন চাপম্যান।