‘এমন উইকেট আমাদের পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট’

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠের উইকেটে এমন নিচুই হয়েছে বলশামসুল হক

নারী এশিয়া কাপে গতকাল হয়ে যাওয়া বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের ম্যাচটির রেশ এখনো রয়ে গেছে। বাংলাদেশ ম্যাচটায় ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হেরেছে ঠিকই, কিন্তু আলোচনায় ঘুরেফিরে আসছে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের দুই নম্বর মাঠের মন্থর ও নিচু বাউন্সের উইকেট।

আগের দিন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক নিগার সুলতানা উইকেটের সমালোচনা করেছেন। পাকিস্তানের ওপেনার সিদরা আমিন তো সরাসরিই বলেছেন, এ ধরনের উইকেট টি-টোয়েন্টিসুলভ নয়। আজ সে দলে যোগ দিলেন বাংলাদেশ দলের কোচ এ কে এম মাহমুদ।

আরও পড়ুন

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কে এম মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের নিজের মাঠে খেলা, সেই সুবিধাটা নিতে চাই না। তবে আমাদের মেয়েদের ক্রিকেটের ভালোর জন্য স্পোর্টিং উইকেটের প্রয়োজন। জিম্বাবুয়ে থেকে শুরু করে যত জায়গায় দেখেছি, সব জায়গায় মেয়েদের ক্রিকেটে স্পোর্টিং উইকেট থাকে।’

অধিনায়ক নিগারের সঙ্গে বাংলাদেশের কোচ এ কে এম মাহমুদ
শামসুল হক

মাহমুদ আরও যোগ করেন, ‘গতকাল আমরা যে উইকেটে খেলেছি, সিলেট যেহেতু আমার নিজের বাড়ি, আমি বলতে পারি, এখানকার স্থানীয় ক্রিকেটেও আমি এমন উইকেট দেখিনি। আমাদের সামনে এফটিপির (ভবিষ্যৎ সূচি পরিকল্পনা) খেলা আছে। দক্ষিণ আফ্রিকায় বিশ্বকাপ আছে। আমাদের প্রস্তুতি, মনোবলের ক্ষেত্রে (এমন উইকেট) আমাদের পিছিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।’

বাংলাদেশ নারী দলের প্রধান কোচ হওয়ার আগে মাহমুদ সিলেট বিভাগের বিসিবির নিয়োগপ্রাপ্ত কোচ হিসেবে কাজ করেছেন, এখানকার ক্রিকেট তাই ভালোই চেনা তাঁর। জাতীয় দলের ক্রিকেটার নাসুম আহমেদ, খালেদ আহমেদরা উঠে এসেছেন তাঁর হাত ধরেই। তাঁর দৃষ্টিতে এমন উইকেটে টস যে জিতবে, তারাই ম্যাচ জিতবে। মাহমুদ বলছিলেন, ‘আমি পরিষ্কারভাবে বলতে চাই উইকেটের যে আচরণ ছিল, মনে হচ্ছিল ম্যাচের ফলটা টসের সঙ্গেই নিশ্চিত হয়েছিল।’

বিষয়টি গতকাল ম্যাচ শেষে আম্পায়ার্স রিপোর্টেও উল্লেখ করেছেন বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার। এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের কাছেও উইকেট নিয়ে নিজেদের অসন্তুষ্টির কথা জানিয়েছে বাংলাদেশ দল। মাহমুদ জানিয়েছেন, ‘কালকে আমাদের ম্যানেজারও আম্পায়ার্স রিপোর্টে এটা দিয়েছে। উইকেট নিয়ে অবশ্যই আমাদের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে কথা হয়েছে। তারাও আমাদের আশ্বস্ত করেছে।’

আরও পড়ুন