নিউজিল্যান্ডে ঐতিহাসিক জয় বাংলাদেশের

সিরিজ বাংলাদেশ হেরে গেছে আগের ম্যাচেই। নেলসনে সৌম্য সরকারের স্মরণীয় ১৬৯ রানের ইনিংসের পরও তাদের সহজেই হারিয়েছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। এবার নেপিয়ারে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টম ল্যাথামের দলের মুখোমুখি নাজমুল হাসানের দল। ম্যাকলিন পার্কে বদলাবে বাংলাদেশ দলের নিউজিল্যান্ড-ভাগ্য?

কিছুক্ষণের মধ্যেই টস। তার আগে প্রথম আলো লাইভে আপনাকে স্বাগত জানাচ্ছি আমি সাইফুল্লাহ্‌ বিন আনোয়ার।

চার বছর পর ওয়ানডে ফিরছে এ মাঠে। সর্বশেষ এখানে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৫০ ওভারের ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশই। তার আগে ২০১০ সালে বাংলাদেশ খেলেছিল আরেকটি ওয়ানডে। বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে দুটিতে আগে ব্যাটিং করে নিউজিল্যান্ড তুলেছিল ৩৩৫ ও ৩৩৬ রান।

হেড কল করেছিলেন নাজমুল হোসেন, উঠেছে সেটিই। ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। দিনের শুরুতে উইকেটের সহায়তা কাজে লাগানোর আশা তাঁর।

বাংলাদেশ দলে আছে একটিই পরিবর্তন। ডানহাতি পেসার হাসান মাহমুদ জায়গা করে দিয়েছেন বাঁহাতি মোস্তাফিজুর রহমানকে।

আগেই সিরিজ জয় নিশ্চিত হলেও কোনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করতে চাইছে না নিউজিল্যান্ড। অপরিবর্তিত একাদশ তাদের।

আতহার আলী খান বলছেন, ১০-১১ মিলিমিটার ঘাস রেখে দেওয়া হয়েছে উইকেটে। জ্যাকব ওরাম তাঁকে বলেছেন, এটি নিউজিল্যান্ডের অন্যতম গতিময় উইকেট। এ মাঠে স্কয়ারে বেশ ছোট।

পিচে বাড়তি বাউন্স আছে, প্রথম ওভারেই স্পষ্ট সেটি। শরীফুলের জন্য ছিল দুই স্লিপ। দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানই হয়েছিলেন আউটসাইড-এজড। তবে দুটিই গেছে দ্বিতীয় স্লিপের নাগালের বাইরে দিয়ে। রবীন্দ্র তো চারও পেয়েছে। সে চারের পর হাসতে হাসতে শরীফুলের সঙ্গে ‘গ্লাভস-হাত’ পাঞ্চও করতে দেখা গেছে তাঁকে।

তানজিমের ওভারে ইয়াং, শরীফুলের ওভারে চার মেরেছেন রবীন্দ্র। তানজিম ফুললেংথে করেছিলেন, শরীফুল জায়গা দিয়েছিলেন। এমন পিচে লাইন লেংথে ধারাবাহিকতা গুরুত্বপূর্ণ, মনে হচ্ছে সেটি। আপাতত নিউজিল্যান্ড ওপেনাররা ইতিবাচক।

স্টাম্প লাইনে করে যাচ্ছিলেন তানজিম, বল বেরিয়ে নিয়ে প্রশ্নও তৈরি করছিলেন ব্যাটসম্যানের মনে। এ কৌশলে সফলও হলেন বাংলাদেশ পেসার। মিডল ও অফ স্টাম্প লাইনের বলে স্কয়ারড-আপ হয়ে খোঁচা দিয়েছেন রবীন্দ্র। বাকি কাজটি উইকেটের পেছনে করেছেন মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ ওভারের শেষ বলে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেকথ্রু এনে দিয়েছেন তানজিম, স্কোরবোর্ডে রান ১৬।

আগের ওভারে উইকেট, পরের ওভারের হেনরি নিকোলসকে মেডেন করেছেন তানজিম। দুই পেসারের মধ্যে স্পষ্টই এগিয়ে তানজিম। শরীফুল এখনো ঠিক লাইন-লেংথ ঠিক করে উঠতে পারেননি। নিজের প্রথম ৩ ওভারে ৩টি বাউন্ডারি দিয়েছেন এ বাঁহাতি।

৬ ওভারে ২০/১।

নিজের চতুর্থ ওভারে লাইন-লেংথে বেশ ভালো করলেন শরীফুল। মাত্র ২ রান দিয়েছেন তিনি, এর মধ্যে প্রথমটি আবার এসেছে মিডউইকেটে এনামুলের মিসফিল্ডে, মাঠের বাড়তি বাউন্স ফাঁকি দিয়েছে তাঁকে। মুখোমুখি ১০ম বলে প্রথম রান করতে পেরেছেন নিকোলস।

এবং তানজিমের বলে ক্যাচ তুলেছেন নিকোলস। একটু ক্রস সিমের বল, অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে টেনে মারতে গিয়ে মিডউইকেটে ক্যাচ তুলে ফিরে গেছেন এ বাঁহাতি। তানজিমের দ্বিতীয় উইকেট, বাংলাদেশের দ্বিতীয় উইকেট!

৭.২ ওভারে ২২/২।

বাঁহাতি ল্যাথামের কাছ থেকে সুইংয়ে বের করে নিয়েছেন বল। ডানহাতি ইয়াংকে ফুললেংথ থেকে বেরিয়ে যাওয়া বলে ড্রাইভে প্রলুব্ধ করেছেন। শরীফুলের জায়গায় এসে মোস্তাফিজুর রহমানের শুরুটা হয়েছে বেশ ভালো। যদিও লেগ সাইডে ওয়াইড করে ফেলেছিলেন একটি, উইকেটকিপার মুশফিক ডাইভ দিয়ে নেওয়াতে চার হয়নি তাতে। তানজিমের তৈরি করা চাপ ধরে রেখেছেন মোস্তাফিজ।

৯ ওভারে ২৫/২।

প্রথম ১০ ওভারে ২৭ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড। তানজিম তাঁর প্রথম ৫ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ৯ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট। ইয়াং ও ল্যাথামকেও অস্বস্তিতে ফেলেছেন তিনি।

পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে সর্বশেষ বাউন্ডারি এসেছিল। ইয়াং এরপর মারলেন আরেকটি। মোস্তাফিজকে ফুললেংথে পেয়ে দারুণ ড্রাইভ ফর্মে থাকা ইয়াংয়ের। পরের বলে হয়ত আরেকটি পেয়ে যেতে পারতেন, কিন্তু মিড অফে ডাইভ দিয়ে আটকে দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয়।

১১ ওভারে ৩২/২।

৫ ওভার পর তানজিমকে সরিয়ে নিয়েছেন নাজমুল। আক্রমণে আনা হয়েছে পার্ট-টাইমার সৌম্য সরকারকে। প্রথম ওভার অবশ্য আঁটসাঁটই করেছেন তিনি, মাত্র ২ রান দিয়েছেন।

১২ ওভারে ৩৪/২।

দারুণ একটি বছর কাটছে উইল ইয়াংয়ের। তাঁর আগে নিউজিল্যান্ডের হয়ে এক বছরে ১ হাজার রানের কীর্তি আছে—রজার টুজ (২০০০), মার্টিন গাপটিল, রস টেলর ও কেইন উইলিয়ামসন (২০১৫), ড্যারিল মিচেল (২০২৩)।

এদিকে মোস্তাফিজের ওপর চড়াও হয়েছেন ল্যাথাম। শর্ট বলে টেনে মারতে গিয়েছিলেন, বল ব্যাটের কানায় লেগে উইকেটের পেছন দিক দিয়ে হয়েছে ছক্কা—ইনিংসে যেটি প্রথম। ওই শটে ৫০ পেরিয়েছে নিউজিল্যান্ড।

১৫ ওভারে ৫৩/২।

ড্রিংকসের ঠিক আগে প্রথমবারের মতো আক্রমণে এসেছেন মিরাজ। ইয়াংকে একটা ইয়র্কারও করেছিলেন এ অফ স্পিনার। এখনো ভালোভাবেই খোলসবন্দী ল্যাথাম ও ইয়াং, দ্রুত ২ উইকেট চাপে ফেলেছে স্বাগতিকদের। তবে দুজনের জুটি খেলে ফেলেছে ৫২ বল।

১৬ ওভারে ৫৬/২।

যে ৫ জন বোলিং করেছেন, শরীফুলই সবার চেয়ে পিছিয়ে ছিলেন লাইন-লেংথের ধারাবাহিকতার দিক দিয়ে। কিন্তু দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বাংলাদেশকে পরের ব্রেকথ্রু এনে দিলেন তিনিই। বিরতির পরই ফিরতি স্পেলে তাঁকে ফিরিয়েছেন নাজমুল। বাইরে থেকে তাঁর ভেতরের দিকে ঢোকা বল ভেঙে দিয়েছেন ল্যাথামের অফ স্টাম্প, যেটি আঘাত করেছে একেবারে চূড়ায়—টপ অফ অফ!

ফিরে দুই থিতু ব্যাটসম্যানকেই ফেরালেন শরীফুল। ল্যাথামের পর এবার তাঁর শিকার দারুণ ফর্মে থাকা ইয়াং। অফ স্টাম্পের বাইরে থেকে ড্রাইভ করতে গিয়েছিলেন ইয়াং, ধরা পড়েছেন পয়েন্টে মিরাজের হাতে। ৬১ রানে চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে নিউজিল্যান্ড।

সিমে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ব্যাট চালিয়েছিলেন মার্ক চাপম্যান। কিন্তু বোল্ড হয়েছেন ঠিকই। শরীফুল ইসলামের তোপে নিউজিল্যান্ড। নিজের দ্বিতীয় স্পেলে শরীফুল নিলেন তৃতীয় উইকেট, ২১তম ওভারে ৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারিয়ে ফেলল স্বাগতিকেরা!

৪-০-১৬-০

৩-০-৬-৩*

*এখনো চলছে

২১ ওভারে নিউজিল্যান্ড ৬৫/৫।

শরীফুল ফিরে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ফিরতি স্পেলে এসে নিজের তৃতীয় উইকেট নিলেন তানজিম। আবারও জোরের ওপর ড্রাইভ করতে গিয়ে ধরা পড়েছেন আরেকজন ব্যাটসম্যান। এবার টম ব্লান্ডেল। নিউজিল্যান্ড হারিয়ে ফেলেছে ষষ্ঠ উইকেট!

ইনিংসের মাঝপথে নিউজিল্যান্ডের অবস্থা সুবিধার নয়। ক্রিজে সপ্তম ও অষ্টম ব্যাটসম্যান। জশ ক্লার্কসন অবশ্য ইতিবাচক। ১৫তম ওভারের পর থেকে দুটি বাউন্ডারি এসেছে, দুটিই মেরেছেন তিনি।

ক্রিজে পড়ে ভেতরের দিকে ঢোকা বলে ভাঙল অফ স্টাম্পের চূড়া! যে কোনো পেসারের স্বপ্নের ডেলিভারি। এক্ষেত্রে বোলার সৌম্য সরকার। বাংলাদেশ অধিনায়কের আক্রমণ করে যাওয়া উচিৎ কি না স্বীকৃত পেসারদের দিয়ে, যখন এমন হচ্ছিল, তখনোই সৌম্যর আঘাত। তাঁর শিকার জশ ক্লার্কসন। ৮৫ রানে ৭ উইকেট নেই নিউজিল্যান্ডের।

এবার ইয়র্কার। সৌম্য সরকার যেন পুরোদস্তুর পেসার! তাঁর ইয়র্কার যথেষ্ট হয়েছে অ্যাডাম মিলনের জন্য, নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে অষ্টম উইকেট। নেপিয়ারে স্বাগতিকদের চেপে ধরেছে বাংলাদেশ। ২৯ ওভারে ৮৬/৮!

মোস্তাফিজুর রহমানকে টানা দুটি চার মেরেছেন আদি অশোক। নিউজিল্যান্ডের ইনিংস প্রথমবারের মতো দেখেছে টানা দুটি বাউন্ডারি। নেপিয়ারে তাদের ইনিংস কীভাবে এগিয়েছে, বোঝা যায় এতেই!

৩০ ওভারে ৯৬/৮।

অফ স্টাম্পের বাইরের বল। অশোক দিয়েছেন খোঁচা। সৌম্য পেয়েছেন তৃতীয় উইকেট। নিউজিল্যান্ড হারিয়েছে ৯ উইকেট।

ও’রর্ককে বোল্ড করেছেন মোস্তাফিজ। ৩১.৪ ওভারে ৯৮ রানেই থেমেছে নিউজিল্যান্ড। বাংলাদেশের বিপক্ষে এটি তাদের সর্বনিম্ন স্কোর, সব মিলিয়ে দেশের মাটিতে এটি তাদের চতুর্থ সর্বনিম্ন স্কোর। ২০০৭ সালের দেশের মাটিতে যেটি তাদের সর্বনিম্ন। (অলআউট হয়ে যাওয়া ম্যাচে)

এর আগের ঘটনাও এ বছরই। মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ১০টি উইকেটই নিয়েছিলেন বাংলাদেশ পেসাররা।

প্রথম ১২ বলই খেলেছেন সৌম্য সরকার।

প্রথম ওভারে অ্যাডাম মিলনের বলে আঘাত পেয়েছিলেন সেখানে, যেখানে আঘাত পেলে শুধু যিনি পেয়েছেন তিনিই টের পান, বাকিরা হাসেন! এরপর কাভার দিয়ে খেলে পেয়েছেন প্রথম রান, যদিও চার হয়নি। পরের ওভারে হয়েছিল এলবিডব্লিউর আবেদন, তবে জ্যাকব ডাফির বলে নিরাপদই থেকেছেন তিনি।

২ ওভারে ৪/০

ফলে যে কোনো এক দিক ইতিহাস হচ্ছেই। শুরুটা সতর্ক করেছেন সৌম্য ও এনামুল। ৪ ওভারে উঠেছে ১০ রান।

চোখে কিছু একটা সমস্যা হচ্ছিল সৌম্য সরকারের, ঠিকঠাক দেখতে পাচ্ছিলেন না বলে ইঙ্গিত করছিলেন। এর আগে পানি দিয়েছেন। এরপর ফিজিওকে ডেকে পাঠান। ড্রপও দেওয়া হয়। তবে সমস্যার সমাধান হয়নি। ১৬ বলে ৪ রান করে এবার উঠেই গেলেন সৌম্য।

অফ স্টাম্পের বাইরে পেয়ে ড্রাইভ করে চার। ডাফি এ ওভারে করেছেন নো বল, ফ্রি হিটে ওয়াইড, এরপর বলের ওপর চড়াও হয়ে দ্বিতীয় চার এনামুলের। ষষ্ঠ ওভারে এসেছে ১৪ রান, ম্যাচেই এক ওভারে এখন পর্যন্ত যেটি সর্বোচ্চ।

৬ ওভারে ৩১/০।

তবে ১৭ নম্বরেই থামতে হবে তাদের, এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে সেটিই। সৌম্য উঠে গেছেন, কিন্তু কোনো উইকেটের দেখা পায়নি নিউজিল্যান্ড। ৯ ওভারে বাংলাদেশ তুলে ফেলেছে ৪৩ রান। লক্ষ্য ৯৯।

নাজমুল ক্রিজে ফেরার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন। এনামুলের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল তার। তবে কাভার থেকে সরাসরি স্টাম্প ভাঙতে পারেননি ইয়াং। ক্লার্কসনের এ ওভারে এনামুল পেয়েছেন তিনটি চার। প্রথমটি বেশ নিয়ন্ত্রিত ড্রাইভে। তবে দ্বিতীয়টি কানায় লেগে উঠে গিয়েছিল। শেষ বলে অবশ্য পুল করেছেন দারুণ টাইমিংয়ে।

প্রথম পাওয়ারপ্লেতে ৫৭ রান তুলে ফেলেছে বাংলাদেশ, কার্যত কোনো উইকেট না হারিয়েই।

প্রথম দুই বলে ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে এসে চার। ও’রর্ক এরপর শর্ট লেংথে করেছিলেন। তাতেও পুল করে চার মারেন নাজমুল। ও’রর্ক যান ফুললেংথে। ক্রিজ ছেড়ে নাজমুল বেরিয়ে আসেন আবার, এবার মিড অফ দিয়ে আরেকটি চার। পঞ্চম বলে অবশ্য ইয়র্কারে ডট দেন ও’রর্ক।

১১ ওভারে ৭৪/০।

ডাফির ওভারে নাজমুল মেরেছেন আরেকটি চার, ইনিংসে যেটি বাংলাদেশ অধিনায়কের সপ্তম। জয়ের জন্য বাংলাদেশের দরকার ১৯ রান। বাকি সবকটি উইকেটই।

না, সে রেকর্ডের পুনরাবৃত্তি হচ্ছে না। ও’রর্কের বলে কট বিহাইন্ড হয়েছেন এনামুল। অবশেষে ঠিক লেংথটা খুঁজে পেয়েছেন নিউজিল্যান্ডের কোনো পেসার। ৩৩ বলে ৩৭ রান করে আউট এনামুল, বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ১৫ রান।

নাজমুল হোসেনের ব্যাটে এল জয় নিশ্চিত করা রান। তাতে বাংলাদেশ অধিনায়কের হয়ে গেল অর্ধশতকও। নেপিয়ারে দিনটি বাংলাদেশের জন্য এমনই ‘পারফেক্ট’। ৯৯ রানের লক্ষ্য বাংলাদেশ ছুঁয়ে ফেলল ৯ উইকেট ও ২০৯ বল বাকি রেখেই। ১৯তম ম্যাচে এসে নিউজিল্যান্ডকে তাদের মাটিতে প্রথমবারের মতো ওয়ানডেতে হারাল বাংলাদেশ।