বাজবল ভুলে পুরোনো দিনের টেস্ট খেলতে বাধ্য হলো ইংল্যান্ড
ওল্ড ফ্যাশন টেস্ট ক্রিকেট—ইংল্যান্ড অবশেষে বাজবল সরিয়ে রেখে এই কৌশলেই ফিরল। না ফিরে আর উপায়ই বা কী! ব্রিসবেন টেস্টের চতুর্থ দিনটা ৬ উইকেটে ১৩৪ রান নিয়ে শুরু করে ইংল্যান্ড, তখনো ইনিংস হার এড়াতে তাদের লাগত ৪৩ রান।
এমন সমীকরণে দাঁড়িয়ে আক্রমণাত্মক ক্রিকেট খেলতে গেলে ইনিংসেও হারতে পারত তারা। রয়েসয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই ইনিংস হার অন্তত এড়ানো গেছে।
সপ্তম উইকেট জুটিতে ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস ও উইল জ্যাকসের দৃঢ়তায় আজ প্রথম সেশনে উইকেট হারায়নি ইংল্যান্ড। এই জুটি থেকে এসেছে ১৬৫ বলে ৬০ রান। স্টোকসের দলের সংগ্রহ এখন পর্যন্ত ৬ উইকেটে ১৯৩ রান।
এই সেশনে খেলা হয়েছে ২৪ ওভার। তাতে ইংল্যান্ড তুলেছে ৫৯ রান। এই মুহূর্তে স্টোকসের দলের লিড ১৬ রান।
চতুর্থ দিনের উইকেটে কিছু বল ধীর গতিতে এলেও স্টোকস ও জ্যাকস আজ সকালে তেমন কোনো সুযোগও দেননি। মিচেল স্টার্ক, বোল্যান্ডরা ওই অর্থে বিশেষ কিছু করতেও পারেননি। ১১২ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত স্টোকস, ৬৬ বলে বলে ২৫ রানে জ্যাকস।
ইংল্যান্ড দ্বিতীয় ইনিংসে ততটা আক্রমণাত্মক কখনই ছিল না। যদিও তারা প্রথম ২৫ ওভারে তোলে ১১৫ রান, তবে তাতে আক্রমণাত্মক শট খুব বেশি ছিল না। মাত্র ২২.৫ শতাংশ বলে আক্রমণাত্মক শট খেলেছেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানেরা, যা বাজবল যুগে সর্বনিম্ন।
প্রথম সেশনে ইংল্যান্ড বেশ রয়েসয়ে খেললেও ম্যাচ এখনো অস্ট্রেলিয়ার হাতের মুঠোয়। সেখান থেকে ম্যাচ বের করতে হলে বড় ইনিংস খেলতে হবে স্টোকস ও জ্যাকস দুজনেরই। তারা কি সেটা পারবেন?
সংক্ষিপ্ত স্কোর
ইংল্যান্ড: ৩৩৪ ও ৫৯ ওভারে ১৯৩/৬ (ক্রলি ৪৪, স্টোকস ৩৬*; নেসার ২/৩২, বোল্যান্ড ২/৪৭, স্টার্ক ২/৫৭)।
অস্ট্রেলিয়া ১ম ইনিংস: ১১৭.৩ ওভারে ৫১১ (স্টার্ক ৭৭, ওয়েদেরাল্ড ৭২, লাবুশেন ৬৫, ক্যারি ৬৩, স্মিথ ৬১, গ্রিন ৪৫; কার্স ৪/১৫২, স্টোকস ৩/১১৩)।