ফেঁসে যাওয়ার পর ভারতের প্রধান নির্বাচকের পদত্যাগ

ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও সদ্য পদত্যাগ করা নির্বাচক প্যানেলের প্রধান চেতন শর্মা

‘স্টিং অপারেশনে’র ফাঁদে পড়া ভারতের প্রধান নির্বাচক চেতন শর্মা পদত্যাগ করেছেন। তাঁর এই পদত্যাগ তাৎক্ষণিকভাবে গ্রহণও করেছেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআইয়ের সচিব জয় শাহ।

১৪ ফেব্রুয়ারি ভারতের জি নিউজে প্রচারিত একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, ভারত ক্রিকেট দলের অভ্যন্তরীণ নানা বিষয় নিয়ে কথা বলছেন চেতন। এর মধ্যে আছে সাবেক অধিনায়ক ও বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলীর বিরাট কোহলিকে পছন্দ না করা, রোহিত শর্মা ও কোহলির মধ্যে ব্যক্তিত্বের দ্বন্দ্ব, যশপ্রীত বুমরাসহ কয়েকজন ক্রিকেটারের ‘পুরোপুরি ফিট’ হতে ‘ইনজেকশন’ ব্যবহারের মতো চাঞ্চল্যকর তথ্য। ভিন্ন পরিচয়ে কারও কাছ থেকে তথ্য বের করে আনার এই প্রক্রিয়া ‘স্টিং অপারেশন’ হিসেবে পরিচিত।

ভারতের হয়ে ২৩ টেস্ট ও ৬৫ ওয়ানডে খেলা চেতন শর্মা গত মাসে দ্বিতীয় দফায় নির্বাচক প্যানেলের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান। ২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রোহিত শর্মার দল সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিলে চেতনের নেতৃত্বাধীন নির্বাচক প্যানেলকে সরিয়ে দেয় বিসিসিআই।

আরও পড়ুন

এর পর আবেদন করলে আবারও তাঁকেই নির্বাচকদের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এখন চেতন শর্মা বিদায় নেওয়ার পর প্যানেলে আছেন সলিল অ্যাঙ্কোলা, শিব সুন্দর দাস, সুব্রত ব্যানার্জি এবং এস শরত। বিসিসিআই এখনো নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ দেয়নি।

ক্রিকবাজ জানিয়েছে, সাবেক ক্রিকেটার শিব সুন্দর দাসকে প্রধান নির্বাচকের দায়িত্ব দেওয়া হতে পারে।

চেতন শর্মার মুখে উঠে আসা বিষয়গুলো ভারতের ক্রিকেটাঙ্গনে একেবারে নতুন নয়। গুঞ্জন বা অনানুষ্ঠানিক আলোচনায় আগে থেকেই এসব চালু ছিল। কিন্তু কোনো দায়িত্বশীল ব্যক্তির মুখ থেকে সরাসরি কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। চেতন শর্মার কথায় সেই সব গুঞ্জন-আলোচনা প্রতিষ্ঠা পেয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন অনেকে।

আরও পড়ুন

মূলত এ কারণেই চেতন শর্মার সরে যাওয়ার প্রেক্ষাপট তৈরি হয়। বৈঠকি ঢঙের আলাপে তিনি যেভাবে কোহলি, রোহিতদের নিয়ে কথা বলেছেন, তাতে অধিনায়করা নির্বাচকের সঙ্গে কথা বলতে আস্থা পাবেন না বলে সংশয় আছে। এ বিষয়ে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র বার্তা সংস্থা পিটিআইকে বলেন, ‘চেতন শর্মা যেসব কথাবার্তা গোপন ক্যামেরার সামনে বলেছেন এরপর আর বিশ্বাস বলতে কিছু থাকে না। খেলোয়াড়-নির্বাচক সম্পর্ক, নির্বাচক-সাংবাদিক সম্পর্ক হুমকির মুখে পড়তে বাধ্য।’