স্বাধীনতা পেয়ে ধারাবাহিক হলেন নাজমুল

স্বাধীনভাবে খেলছেন নাজমুল হোসেনছবি: শামসুল হক

নেট ছেড়েছেন মাত্রই। নাজমুল হোসেন নতুন বলের বিপক্ষে ব্যাটিং করে বিশ্রাম না নিয়ে সরাসরি এলেন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের মাঝের উইকেটে। সেখানে করলেন ছক্কা মারার অনুশীলন। ১০-১৫ ওভার পুরোনো বলগুলোকে মাঠের চারপাশে ওড়ানোর চেষ্টা করছিলেন এই বাঁহাতি। কিছু বাউন্ডারির ওপারে যাচ্ছিল, কিছু টাইমিংয়ের গড়বড়ের কারণে সীমানা পার হচ্ছিল না। তখন বল মারার সময় মাথার অবস্থান ঠিক থাকে কি না, সেটাও দেখে নিচ্ছিলেন বারবার। নাজমুল অনুশীলনটা শেষ করলেন কল্পনায় একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের প্রায় ১৫ ওভার ব্যাটিং করে।

আরও পড়ুন

সিলেট স্ট্রাইকার্স দলে নাজমুলের প্রাথমিক দায়িত্বও ইনিংসের ১৫ ওভার ব্যাটিং করা, লম্বা ইনিংস খেলা। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও বাংলাদেশ দলের হয়ে একই দায়িত্ব নিয়ে খেলেছেন এ বাঁহাতি। কাঙ্ক্ষিত ধারাবাহিকতার আভাস পাওয়া যাচ্ছে নাজমুলের ব্যাটিংয়ে। বিশ্বকাপ থেকে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলে ৩৫০ রান করেছেন ৪৩ গড়ে।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে একই ভূমিকায় নাজমুল
ছবি: শামসুল হক

নাজমুল জানিয়েছেন, দলের পরিকল্পনার সঙ্গে নিজের ব্যাটিং–পরিকল্পনা মিলে যাওয়ায় ধারাবাহিকভাবে রান পাচ্ছেন তিনি। প্রথম আলোকে বলেন, ‘দলের একটা ব্যাটিং–পরিকল্পনা থাকে। আমি সে অনুযায়ী ব্যাটিং করতে পারছি, যার কারণে আমি ব্যাটিং করার সময়ও পাচ্ছি। দলের পরিকল্পনা থাকে টপ অর্ডারের কেউ একজন অন্তত ১৫-১৬ ওভার পর্যন্ত যেন ব্যাটিং করে। আমি সে চেষ্টাই করছি, যে কারণে আমি ব্যাটিংয়ের সময় পাচ্ছি। দলও লাভবান হচ্ছে। এটা সাধারণত কেউ জানে না, জানার কথাও নয়। কারণ, দলের পরিকল্পনা, সেটা দলের মধ্যেই থাকা ভালো।’

আরও পড়ুন

সিলেটের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজারও কৃতিত্ব আছে। নাজমুলকে স্বাধীনভাবে খেলার সুযোগ করে দিয়েছেন তিনি, যা তাঁকে মন খুলে খেলতে সাহায্য করছে, ‘একদম স্বাধীনতা নিয়ে খেলা যাকে বলে, সিলেটে সেটিই পাচ্ছি। আমাদের যা খুশি, তা করার স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে, কোনো চাপ নেই। ম্যাচ জিততেই হবে, এমন চাপ নেই। অভিজ্ঞ আর তারুণ্যের মধ্যে দারুণ বোঝাপড়া আছে, এটাই আসল।’

বিপিএলে সিলেট সিক্সার্সের হয়ে রান পাচ্ছেন নাজমুল হোসেন
ছবি: শামসুল হক

উন্নতির তো শেষ নেই। নতুন অর্পিত দায়িত্বটা আরও ভালো করে কীভাবে পালন করা যায়, সে চেষ্টাও আছে নাজমুলের। তাঁর কথা, ‘এখানে ভারসাম্যের ব্যাপার আছে। দলের চাহিদা আর আমার খেলার ধরনের সংমিশ্রণটা ভালো হলে ফল ভালো আসবে। এই মুহূর্তে আমার পরিকল্পনার সঙ্গে দলের পরিকল্পনার একটা মিল আছে। যে কারণে আমাকে খুব বেশি কিছু মানিয়ে নিতে হচ্ছে না। আমি আমার সহজাত খেলাটাই খেলছি। মারতে হলে মারছি, একটু ধরে খেলার দরকার হলে সেটাই করছি। তবে এই দায়িত্বে আমার উন্নতির অনেক জায়গা আছে।’

***পুরো সাক্ষাৎকারটি পড়ুন আগামীকালের ছাপা পত্রিকায়