স্টোকসের সঙ্গে নিজের অতীতের ঘটনার মিল খুঁজে নিচ্ছেন পিটারসেন

কেভিন পিটারসেনের স্টোকসের ঘটনার সঙ্গে নিজের অতীতের মিল পাচ্ছেনফাইল ছবি

বেন স্টোকসের ওয়ানডে থেকে অবসরের ঘটনার সঙ্গে অনেক মিল অতীতের এক ঘটনার। অন্তত কেভিন পিটারসেনের দাবি তেমনটিই। ইংল্যান্ডের সাবেক তারকা কেভিন পিটারসেনের দাবি, স্টোকসের মতোই তিনিও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাসা সূচিতে টিকতে না পেরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিয়েছিলেন। কিন্তু স্টোকস যেমন সমব্যথী হিসেবে অনেককেই পাশে পাচ্ছেন, পিটারসেনের সেই সৌভাগ্য হয়নি। পিটারসেনের ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন।

কেভিন পিটারসেনের দাবি তিনিও সীমিত ওভারের ক্রিকেট ছেড়েছিলেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের ঠাসা সূচির চাপে
ফাইল ছবি

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের কঠিন সূচি এখন। এক সিরিজ শেষ হতে না হতেই আরেক সিরিজের জন্য বাক্সপেটরা গোছাতে হয় ক্রিকেটারদের। এক শহর থেকে আরেক শহর, এক দেশ থেকে আরেক দেশ। সঙ্গে যোগ হয়েছে কোভিডকালীন স্বাস্থ্যবিধি—জৈব সুরক্ষাবলয়। দিনের পর দিন, মাসের পর মাস পরিবার-পরিজন, বন্ধুবান্ধবহীন পরিবেশে যন্ত্রের মতো ক্রিকেট খেলে যেতে হয় তাদের। বেন স্টোকসই কিছুদিন আগে জৈব সুরক্ষাবলয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। অনির্দিষ্টকালের জন্য বিরতি নিয়েছিলেন ক্রিকেট থেকে। একই ঘটনা ঘটেছিল ইংল্যান্ডেরই আরেক তারকা জেসন রয়ের ক্ষেত্রে। তিনি এতটাই মরিয়া ছিলেন যে কেবল পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে আইপিএলে কোটি টাকার হাতছানি উপেক্ষা করেছিলেন।

স্টোকসের বিদায় জানিয়ে দিয়েছে, তিনি এমন সূচিতে তিন সংস্করণেই টিকে থাকতে পারছেন না। এমন সমস্যার মুখোমুখি হয়তো অনেক ক্রিকেটারই। কিন্তু নিজে থেকে ‘সরে দাঁড়ানো’র সাহস বা বুকের বল হয়তো তাদের নেই। স্টোকসের অবসর আন্তর্জাতিক সূচির বাড়াবাড়ি সামনে নিয়ে এসেছে আবারও। নাসের হুসেইন এই সূচিকে বলছেন, ‘পাগলামি’। মাইকেল ভন তো ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের বাইরে সব ধরনের দ্বিপক্ষীয় সিরিজকেই সূচিই থেকে বাদ দিতে বলেছেন। স্টোকস নিজেও বলেছেন, ক্রিকেটাররা তো আর গাড়ি নয় যে পেট্রল ভরা হবে আর সেটি চলতে থাকবে।

শেষ ওয়ানডে খেলে ফেললেন স্টোকস
ছবি: এএফপি

এমন একটা পরিস্থিতিতে কেভিন পিটারসেনও মুখ খুললেন। তিনি অবশ্য নিজের যন্ত্রণার অতীতটাই সামনে নিয়ে এসেছেন। ২০১২ সালে তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন। তবে এর আগে নানা বিতর্কে জেরবার ছিলেন তিনি। ইংল্যান্ড সফররত দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটারদের খুদে বার্তা পাঠানোর অভিযোগ উঠেছিল তাঁর বিরুদ্ধে। এর পরপরই তিনি ইংল্যান্ড দল থেকে বাদ পড়ে যান। তাঁর ক্যারিয়ারই শেষ হয়ে গিয়েছিল তখন।

তবে পিটারসেন সম্প্রতি এক টুইটে নিজের সঙ্গে স্টোকসের ঘটনার মিল খুঁজে নিয়েছেন, ‘আমি যখন বাজে সূচির কারণে ওয়ানডে ক্রিকেটকে বিদায় বলেছিলাম, তখন ইসিবি আমাকে টি-টোয়েন্টি থেকেও বাদ দিয়ে দিয়েছিল।’

ইংলিশ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে সব সময়ই অম্লমধুর সম্পর্ক ছিল পিটারসেনের। যদিও তিনি তাঁর সময়ে ছিলেন ইংল্যান্ডের সেরা ব্যাটসম্যানদের একজন। ১০৪টি টেস্ট, ১৩৬ ওয়ানডে আর ৩৭ টি-টোয়েন্টি খেলে যবনিকা পড়েছিল তাঁর ক্যারিয়ারে। টেস্টে ৮ হাজার ১৮১ রান করা এই ব্যাটসম্যান ওয়ানডেতে রান করেছেন ৪ হাজার ৪৪০। টি-টোয়েন্টিতেও হাজারের ওপর রান তাঁর। আইপিএলেও খেলেছেন একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে।