কানাডার বিপক্ষে পাকিস্তানের আজ বাঁচামরার লড়াই

নিউইয়র্কে আজ কানাডার বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ পাকিস্তানের। বিশ্বকাপে টিকে থাকতে জয় ছাড়া অন্য কোনো সমীকরণ নেই বাবরদের।

ভারতের বিপক্ষে দলকে জেতাতে না পেরে কাঁদছেন নাসিমএএফপি

পাকিস্তান-কানাডা ম্যাচও এতটা গুরুত্বপূর্ণ হয়ে যাবে, কে জানত!

নিউইয়র্কের আজকের ম্যাচটি পাকিস্তানের জন্য আরেকটি রুটিন ম্যাচই হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের কাছে সুপার ওভারে হারের পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের কাছেও হেরে গিয়ে ম্যাচটিকে ‘বাঁচামরার ম্যাচ’ বানিয়ে ফেলেছে পাকিস্তান। আজ জয় না পেলে বাবর আজমদের সুতায় ঝুলতে থাকা সুপার এইটে ওঠার স্বপ্নসুতা ছিঁড়েই পড়ে যাবে। 

ম্যাচটা কানাডার জন্যও মহাগুরুত্বপূর্ণ। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে হেরে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শুরু করলেও পরের ম্যাচে টেস্ট খেলুড়ে আয়ারল্যান্ডকে হারিয়ে সুপার এইটে ওঠার স্বপ্ন দেখছে কানাডিয়ানরাও। আজ পাকিস্তানকে হারিয়ে দিতে পারলে সেই স্বপ্নে রং লাগবে আরও। তবে নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামের ‘মাইনফিল্ডে’ পাকিস্তানের মতো আজকের ম্যাচটি ‘নকআউট’ নয় কানাডার জন্য। এই ম্যাচ হেরে গেলেও আরেকটি সুযোগ থাকবে তাদের। তবে তখন সুযোগ কাজে লাগাতে হলে ভারতকে হারানোর মতো কঠিন এক কাজ করতে হবে আয়তনে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম দেশটিকে।

আরও পড়ুন

অন্যদিকে পাকিস্তান আজ কানাডাকে হারিয়ে প্রথম জয়ের দেখা পেলেই শুধু সুপার এইটে ওঠার ক্ষীণ স্বপ্নটাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারবে। এরপর নিজেদের শেষ ম্যাচে আয়ারল্যান্ডকেও হারাতে হবে তাদের। শেষ দুই ম্যাচে জয় পেলেও অবশ্য অনেক যদি-কিন্তু ওপর নির্ভর করতে হবে পাকিস্তানকে। যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত, দুই দলই নিজেদের শেষ দুই ম্যাচের একটিতে জয় পেলেই কোনো জটিল হিসাব-নিকাশ ছাড়াই বাদ পড়ে যাবে ২০০৯ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়নরা। 

পাকিস্তানের বাঁচামরার লড়াই আজ
এএফপি

ভারত ও যুক্তরাষ্ট্র, দুই দলের পক্ষেই অবশ্য যার যার শেষ দুই ম্যাচে শুধুই হারা বা শুধুই জেতা সম্ভব নয়। আগামীকাল যে নিউইয়র্কে মুখোমুখি ‘এ’ গ্রুপের এই দুই দলই! আবহাওয়া বাগড়া না দিলে এক দল তো জিতবেই। অবশ্য বৃষ্টি এসে ম্যাচ ভাসিয়ে দিলেও বিপদ পাকিস্তানের। বাবর-ফখররা তখন শেষ দুই ম্যাচ জিতেও ছুঁতে পারবেন না ভারত-যুক্তরাষ্ট্রকে। ইন্দো-মার্কিন ম্যাচটি ফল না দেখলে যে দুদলেরই পয়েন্ট হবে ৫ করে। শেষ দুই ম্যাচ জিতে পাকিস্তান সর্বোচ্চ ৪ পয়েন্ট পেতে পারে। আজ পাকিস্তান-কানাডা ম্যাচ পরিত্যক্ত হলেও অবশ্য বাদ পড়ে যাবে পাকিস্তান। 

আরও পড়ুন

সর্বশেষ টি-টোয়েন্টি র‌্যাঙ্কিংয়ে পাকিস্তানের অবস্থান ছয়ে, কানাডা আছে ২৩-এ। র‌্যাঙ্কিংয়ের পার্থক্যের চেয়ে যে ক্রিকেটীয় সামর্থ্যের বিচারেই পাকিস্তান-কানাডার পার্থক্য অনেক বেশি সেটি না বললেও চলে। পাকিস্তানের বিশ্বমানের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে কানাডা কতটা কী করতে পারবে, প্রশ্ন সেটিই।

পরশু ভারতের কাছে হারের পরও পাকিস্তানের দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ গ্যারি কারস্টেন প্রশংসায় ভাসিয়েছেন বোলারদের। তবে ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তার কথা বলতেও ভোলেননি। প্রথম দুই ম্যাচেই একসঙ্গে বেশ কয়েকটি করে উইকেট হারিয়েছে দলটি। কানাডার সঙ্গে আজও তেমন কিছু হলে বিপদ শুধু বাড়বেই পাকিস্তানের। 

আরও পড়ুন

অবশ্য এর আগে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট যে তিনবার দেখা হয়েছে দুই দলের, সেই তিনবারই বড় ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। এর মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে দেখা একবারই, ২০০৮ সালে কানাডায় একটি চার জাতি টুর্নামেন্টে। কিং সিটির সেই ম্যাচে পাকিস্তান জয় পায় ৩৫ রানে। ২০ ওভারের সেই ম্যাচে খেলা ২২ জনের কেউই অবশ্য নেই আজকের ম্যাচে।