অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তান ম্যাচে ৫ বলের ওভার

আফগানিস্তানের নাভিন–উল–হকের করা ওভারে এই ঘটনা ঘটে। স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়িয়ে আম্পায়ার রুসেরেছবি: এএফপি

অ্যাডিলেড ওভালে আজ আফগানিস্তানের বিপক্ষে খুব গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ ছিল অস্ট্রেলিয়ার। সেমিফাইনালে ওঠার আশা টিকিয়ে রাখতে এই ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিততে হতো ডেভিড ওয়ার্নারদের। অস্ট্রেলিয়া শেষ পর্যন্ত ৪ রানে জিতেছে। তবে জয়ের ব্যবধানটা আরও বাড়তে পারত।

অস্ট্রেলিয়া নিজেদের ইনিংসে পুরো ২০ ওভার খেলেনি। ১টি বৈধ ডেলিভারি কম খেলেছে। অর্থাৎ মাঠের দুই আম্পায়ার ৫ বলে একটি ওভার দিয়েছেন! ম্যাচে অন ফিল্ড দায়িত্ব পালন করেন পাকিস্তানের আলিম দার ও জিম্বাবুয়ের ল্যাংটন রুসেরে। টেলিভিশন আম্পায়ার ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আড্রিয়ান হোল্ডস্টক।

আফগান পেসার নাভিন–উল–হকের করা ইনিংসের চতুর্থ ওভারে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ওভারের চতুর্থ বলে ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ ২ রান নেওয়ার পর ওভার–থ্রোয়ে আরও ১ রান নেন। পরের বলে কোনো রান নিতে পারেননি দুজন।

সংবাদমাধ্যম ‘ফক্স ক্রিকেট’ জানিয়েছে, ম্যাচের অফিশিয়াল কাভারেজের স্কোরবোর্ডে সেই ওভারে একটি বল বেশি গণনা করে লেখা হয়—একটিতে ২ রান এবং আরেকটিতে ৩ রান হয়েছে। আর পরের বলে তো কোনো রানই হয়নি। এখানেই ভুল করেন মাঠের আম্পায়াররা।

স্ট্রাইক প্রান্তে দাঁড়ানো রুসেরে ওই ওভারে ৫ বলে ওভার দিয়ে দেন। মাঠে দুই দলের কোনো খেলোয়াড়ই খেয়াল করেননি। পরে অফিশিয়াল স্কোরবোর্ডে এই ভুল ঠিক করা হলেও একটি বল কম খেলেই ইনিংস শেষ করে অস্ট্রেলিয়া। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে, বিশেষ করে টি-টোয়েন্টিতে এমন ঘটনা বেশ দুর্লভই।

শেষ পর্যন্ত অবশ্য ওই বল ম্যাচের ফলে তেমন কোনো প্রভাব রাখেনি। আগে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ১৬৮ রান তুলেছিল অস্ট্রেলিয়া। তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৬৪ রানে থেমেছে আফগানিস্তানের ইনিংস। নিউজিল্যান্ডের নেট রানরেট টপকে যাওয়ার প্রায় অসম্ভব সুযোগ অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিংয়ের পরই শেষ হয়ে যায়, ইংল্যান্ডকেও টপকাতে পারেনি তারা।

তবে ৫ বলের ওভারের পর সমালোচনা হচ্ছে ঠিকই। অ্যাডিলেডে আন্তর্জাতিক ম্যাচে ৫ বলে ওভার দেওয়ার ঘটনা অতীতেও ঘটেছে। ২০১২ সালে ত্রিদেশীয় ওয়ানডে সিরিজে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে লাসিথ মালিঙ্গার একটি ওভার ৫ বলে শেষ করেন মাঠের আম্পায়াররা। ভারত ২৩৭ রান তাড়া করতে নেমেছিল। ম্যাচটি টাই হয়।

টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং এবারই প্রথম আলোচনায় এল না। ভারত–বাংলাদেশের ম্যাচে বিরাট কোহলি ‘ফেক ফিল্ডিং’ করেছিলেন বলে অভিযোগ তোলা হয় বাংলাদেশ দলের বিপক্ষে। ওই ম্যাচে অন ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার মারাই এরাসমাস ও নিউজিল্যান্ডের ক্রিস ব্রাউন।

ওই ম্যাচে মাঠ ভেজা থাকার পরও আম্পায়াররা খেলা চালিয়ে গেছেন, আলোচনা আছে এমনও। যদিও বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান বলেছেন, ভেজা মাঠে ফিল্ডিং দল ভারতেরই বেশি অসুবিধা হওয়ার কথা, এটিকে কোনো অজুহাত হিসেবেও দাঁড় করাতে চান না।