‘আমাকে বাঁচানোর জন্য ধন্যবাদ, অশ্বিন’

দীনেশ কার্তিক পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ জিতিয়ে ফিরতে পারেননিছবি: এএফপি

৫ বলে দরকার ১৬ রান—গত রোববার ভারত-পাকিস্তান ম্যাচে যখন দীনেশ কার্তিক ক্রিজে আসেন তখন ভারতের সামনে ছিল এই সমীকরণ। এমন ম্যাচ ভারতকে জেতাবেন বলেই তো কার্তিককে দলে নেওয়া! ব্যাট হাতে দলে তাঁর ভূমিকা তো পরিষ্কার—শেষ কয়েক ওভারে কিংবা কয়েক বলে ক্রিজে এসে ঝোড়ো গতিতে রান তুলবেন। কিন্তু কার্তিক সেদিন পারলেন না।

নিজের খেলা প্রথম বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের করা বুকের কাছাকাছি মাপের বলটি সামনে বেরিয়ে এসে শট খেলতে চাইলেন। ঠিকঠাক ব্যাটে না হওয়ায় এক রান হয়, স্ট্রাইক পান কোহলি। এরপর বাকি কাজটা প্রায় শেষ করেই ফেলেছিলেন কোহলি। কার্তিক পরবর্তী সময় যখন স্ট্রাইক পেলেন, তখন ভারতের প্রয়োজন ২ বলে ২ রান।

আরও পড়ুন

খুব বেশি কিছু করার প্রয়োজন ছিল না তাঁর। কিন্তু ‘ফিনিশার’ কার্তিক একটু তাড়াহুড়োই করলেন। নেওয়াজের লেগ সাইডে করা বলে সুইপ খেলার চেষ্টায় সফল হননি, সাজঘরে ফিরে যান স্টাম্পিং হয়ে। ২ বলে ২ রান—এমন সহজ সমীকরণের সমাধানও মেলাতে পারলেন না। কার্তিক তখন বোধ হয় ভেবেছিলেন, এই ম্যাচ হেরে গেলে তাঁর আর রক্ষা নেই!

পাকিস্তানের বিপক্ষে ফিনিশার বনে যান অশ্বিন
ছবি: এএফপি

কিন্তু কার্তিক সে যাত্রায় বেঁচে যান। সেদিন তাঁর রক্ষাকর্তা ছিলেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ১ বলে ২ রান—এমন সমীকরণে ব্যাট করতে এসে লেগ স্টাম্পের বাইরে করা বলটি অশ্বিন মাথা ঠান্ডা রেখে ছেড়ে দেন। পরের বলে ঠান্ডা মাথায় মিড-অফের ওপর দিয়ে মেরে ভারতের রোমাঞ্চকর জয় নিশ্চিত করেন এ অলরাউন্ডার।

একে তো প্রয়োজনের মুহূর্তে দলে ব্যাট হাতে ভূমিকা রাখতে না পারার চাপ, সঙ্গে এই ম্যাচ হেরে গেলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাঁকে নিয়ে যে ‘ট্রল’ হতো সেটাই ভালো করেই জানা আছে কার্তিকের।

আরও পড়ুন

তাই অশ্বিনের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে ভোলেননি এ উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিসিসিআইয়ের পোস্ট করা ভিডিওতে দেখা যায় কার্তিক অশ্বিনকে বলছেন, ‘আমাকে রক্ষা করার জন্য ধন্যবাদ, অশ্বিন।’

ঠান্ডা মাথায় ম্যাচ শেষ করায় অশ্বিনের প্রশংসা করেছিলেন সে ম্যাচের নায়ক বিরাট কোহলিও। ম্যাচ শেষে তিনি বলেছেন, ‘যখন ওভারপ্রতি ১৫ থেকে ১৬ রান দরকার হয় এবং এমন সমীকরণ যখন ২ বলে ২ রানে নেমে আসে, তখন অনেক ক্রিকেটারই পরিস্থিতি খুব হালকাভাবে নেয় কিংবা বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ে। কিন্তু অশ্বিন তাঁর মাথা তখন খুব ভালোভাবে কাজে লাগিয়েছে।’