ভারতের ড্রেসিংরুমে ‘হাসিখুশি মুখ আছে, চিন্তিত মুখও আছে’

অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ ফাইনালে নামবে ভারতএএফপি

দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ, তাই রোহিত শর্মাদের ওপর বিশ্বকাপ জেতার চাপ টুর্নামেন্ট শুরুর আগে থেকেই। লিগ পর্ব থেকে ফাইনালে উঠে আসার পথে ১০ ম্যাচের দাপুটে ক্রিকেট যে প্রত্যাশার চাপ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে।

যে দলের দুজন ছাড়া আর কারও বিশ্বকাপ ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা নেই, সেই দল কি ১৩০ কোটি মানুষের প্রত্যাশা কাঁধে নিয়ে সুস্থির থাকতে পারছে? পারছে কি অন্য আট-দশটি ম্যাচের মতো নির্ভার থাকতে?

ফাইনাল-পূর্ব সংবাদ সম্মেলনে ‘হ্যাঁ’-সূচকই উত্তরই দিয়েছেন ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা। বলতে চাইলেন, ভারতীয় দল সব সময়ই প্রত্যাশা, চাপ, সমালোচনা নিয়ে পথ চলে। সতীর্থদের যতটুকু দেখছেন, শান্ত-স্থিরই মনে হয়েছে। তবে আসলেই সবাই মানসিকভাবে নির্ভার আছেন কিনা, সে কথা জানেন না ভারত অধিনায়ক। একপর্যায়ে তাই বলেই ফেলেছেন, সারাক্ষণ তো ওদের সঙ্গে থাকি না।

ভারতীয় সমর্থকদের প্রত্যাশার চাপ সব সময়ই ছিল উল্লেখ করে রোহিত বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচেই আমরা ধীরস্থির থাকার চেষ্টা করি। আমরা জানি, বাইরের পরিবেশ কী, কেমন। আমাদের ওপর কত প্রত্যাশা, চাপ, সমালোচনা—এসবও জানি। যে কারণে আমাদের দলীয় শক্তির ওপর মনোযোগী থাকাটা বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

বাইরে সব সতীর্থকে নির্ভার দেখলেও ভেতরে ভেতরে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কে কেমন অনুভব করছেন, তা জানেন না মন্তব্য করে রোহিত বলেন, ‘কার ভেতরে কী অনুভূতি হচ্ছে, সেটা তো আমি বলতে পারব না। আমি ওদের সঙ্গে ২৪ ঘণ্টা থাকি না। ব্যক্তিবিশেষের অনুভূতিও তাই জানি না। তবে যখন আমরা একত্রে থাকি, টিম মিটিং বা অনুশীলনে থাকি, সবাইকে শান্তই মনে হয়।’

আরও পড়ুন

অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে অবশ্য ক্রিকেটারদের মধ্যে বিশ্বকাপ ফাইনাল নিয়ে কিছুটা হলেও চিন্তা আছে আছে বলে স্বীকার করে নেন ভারত অধিনায়ক। তবে এখানেও তিনি ইতিবাচক দিক থেকেই ভাবছেন, ‘আমি শান্ত থাকায় বিশ্বাসী মানুষ। বিশ্বকাপ জেতাটা চমৎকার ব্যাপার হবে। কারণ, এর জন্যই আমরা পরিশ্রম করেছি। তবে ভাবনা-চিন্তায় একটা সাম্য রাখা ভালো। চেঞ্জিং রুমে হাসিখুশি মুখ যেমন আছে, কিছু চিন্তিত মুখও আছে। আমি এটা আড়াল করব না। এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য।’

ভারতের অনুশীলনে ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা
এএফপি

এটি সাধারণ ওয়ানডে ম্যাচ নয়, এখানে জয়-হারে ক্যারিয়ারের বড় কিছু যোগ হবে—মনের ভেতরে বিশ্বকাপ ফাইনালের এই গুরুত্বটা ঠিকই থাকবে বলেও জানান রোহিত, ‘নিঃসন্দেহে এটা অনেক বড় উপলক্ষ। কারণ, যে পরিশ্রম আমরা করেছি, সে তো এর জন্যই। তবে পেশাদার ক্রীড়াবিদের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, সবকিছু এক পাশে রেখে নিজের কাজে মনোযোগী হওয়া। আমি এবং অন্য যে ১০ জন মাঠে নামব, তাদেরও আসল মনোযোগ থাকবে ম্যাচে, “এটাই আমাদের জীবনের সবচেয়ে বড় মুহূর্তে” নয়।’

আরও পড়ুন