মুলতানে ইংল্যান্ডের দরকার ২৬১ রান, পাকিস্তানের ৮ উইকেট
দ্বিতীয় দিন শেষে বলা কথাটা এখন হয়তো গিলেই ফেলতে চাইবেন বেন ডাকেট। তখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের চেয়ে ১২৭ রানে পিছিয়ে থাকলেও ইংল্যান্ড ওপেনার বলেছিলেন, ‘আমরা জানি পাকিস্তানের ব্যাটিং (দ্বিতীয় ইনিংসে) হুড়মুড় করে ভেঙে পড়তে পারে। সুতরাং চাপ আসলে ওদের ওপরেই।’
তৃতীয় দিন শেষে চাপে এখন ডাকেটের দল ইংল্যান্ডই। পাকিস্তান তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে ২২১ রান তুলে ইংল্যান্ডকে দিয়েছে ২৯৭ রানের লক্ষ্য। যে লক্ষ্যের পেছনে ছুটতে গিয়ে ১১ রানেই ২ উইকেট হারিয়ে ফেলে সফরকারীরা। আর কোনো উইকেট পড়তে না দিয়ে ৩৬ রানে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে তারা। জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় আর ২৬১ রান তাদের করতে হবে এমন পিচে, যা কার্যত নবম দিনের।
তিন শ ছুঁই ছুঁই রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ড শেষ বেলায় ব্যাট করেছে ১১ ওভার। এর মধ্যে প্রথম ওভারের তৃতীয় বলেই সাজিদের বলে রিজওয়ানকে ক্যাচ দিয়েছেন ডাকেট, দুই ওভার পর নোমান আলীকে ওড়াতে গিয়ে স্টাম্পড হয়েছেন জ্যাক ক্রলি। ইংল্যান্ড তাদের প্রথম ইনিংসেও ভুগেছে এই দুই স্পিনারের কাছেই। সকালে আগের দিনের ৬ উইকেটে ২৩৯ রান নিয়ে খেলতে নেমে বাকি ৪ উইকেটে ৫২ রান যোগ করতে পেরেছে ইংল্যান্ড। ওই চার উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন সাজিদ, একটি নোমান। সব মিলিয়ে ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে সাজিদের শিকার ১১১ রানে ৭ উইকেট। ২০০০ সালের পর পাকিস্তানের কোনো অফ স্পিনার দেশের মাটিতে ইনিংসে ৫ উইকেট পেলেন।
৭৫ রানের লিড পাওয়া পাকিস্তানও তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে এক অফ স্পিনার ও এক বাঁহাতি স্পিনারের ‘কবলে’ পড়ে। শোয়েব বশির ও জ্যাক লিচের ঘূর্ণিতে ১৫৬ রানেই ৮ উইকেট হারায় পাকিস্তান। অফ স্পিনে বশির নেন ৪ উইকেট, বাঁহাতি লিচ ৩। পাকিস্তানকে ওই পরিস্থিতি থেকে টেনে তোলে সালমান আগা–সাজিদ খানের নবম উইকেট জুটি। ৪ ও ৬ রানে জেমি স্মিথ ও জো রুটকে ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সালমান ফিফটি করেন। শেষ পর্যন্ত ৬৩ রান করা সালমানকে ফিরিয়ে ৭৫ রানের জুটি ভাঙেন ব্রাইডন কার্স। তবে এর মধ্যেই ইংল্যান্ডের সামনে ২৯৭ রানের লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে ফেলে পাকিস্তান।
পাকিস্তানের মাটিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার রেকর্ডটি অস্ট্রেলিয়ার। করাচিতে ১৯৯৪ সালে ৩১৫ রান তাড়া করে জিতেছিল তারা। ইংল্যান্ডকে এখন দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার কীর্তি গড়তে হবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ৩৬৬ ও ২২১ (সালমান ৬৩, শাকিল ৩১, কামরান ২৬, রিজওয়ান ২৩; বশির ৪/৬৬, লিচ ৩/৬৭, কার্স ২/২৯)।
ইংল্যান্ড: ২৯১ ও ২৬/২ (পোপ ২১*, রুট ১২*; নোমান ১/৯, সাজিদ ১/২৭)।