হোল্ডিং-হ্যাডলি-ডোনাল্ডদের চোখে অ্যান্ডারসন

টেস্টে ৭০০ উইকেট নেওয়া প্রথম পেসার জেমস অ্যান্ডারসনএএফপি

ইতিহাসের তৃতীয় বোলার ও প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৭০০ উইকেট নিয়েছেন জেমস অ্যান্ডারসন। ধর্মশালায় ক্যারিয়ারের ১৮৭তম টেস্ট খেলতে নেমে আজ তৃতীয় দিনে কুলদীপ যাদবকে উইকেটের পেছনে ক্যাচ বানিয়ে মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন ইংল্যান্ড কিংবদন্তি। অ্যান্ডারসন তেমন একটা উদ্‌যাপন করেননি। সেটি হয়তো ৭০০তম উইকেটের দেখা পেতে ধৈর্যের পরীক্ষা দেওয়ার জন্য—মাইলফলকে পৌঁছাতে শেষ ১৫টি উইকেট নিতে তাঁর ৮ টেস্ট খেলতে হয়েছে।

ধর্মশালার গ্যালারিতে উপস্থিত ছিলেন কয়েক হাজার ইংরেজ সমর্থক। তাঁদের মধ্যে ছিলেন অ্যান্ডারসনের বাবা মাইকেলও। ৪১ বছর বয়সী ছেলের মুত্তিয়া মুরালিধরন (৮০০) এবং শেন ওয়ার্নের (৭০৮) ‘সেভেন হানড্রেডস’ ক্লাবে যোগদান নিশ্চয়ই তিনি উপভোগ করেছেন। তবে অ্যান্ডারসন এখন প্রথম পেসার হিসেবে এই মাইলফলকের দেখা পেলেও ইতিহাসের শেষ পেসার হিসেবে এ তালিকায় একাই থেকে যাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট জনপ্রিয় হয়ে ওঠায় টেস্ট ক্রিকেটের গুরুত্ব তো দিন দিন কমছে খেলোয়াড়দের কাছে। সে যাহোক, ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’ অ্যান্ডারসনের ৭০০ উইকেট নেওয়া উদ্‌যাপন করতে পাঁচটি দেশের কিংবদন্তি পাঁচজন ফাস্ট বোলারের সঙ্গে কথা বলেছে। জেমস মাইকেল অ্যান্ডারসনকে নিয়ে সেই পাঁচ কিংবদন্তির কথা—

মাইকেল হোল্ডিং, ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১৯৭৫–১৯৮৭)

৬০ টেস্টে ২৪৯ উইকেট, বোলিং গড় ২৩.৬৮

জিমি নিজের প্রতি কতটা খেয়াল রেখেছে কিংবা কোন যুগে খেলেছে—এসব প্রসঙ্গ অর্থহীন। ওর বয়স ৪১ বছর। সে এখনো দৌড়াচ্ছে এবং জোরে বল করছে। আর জোরে বল করা মানেই কঠোর পরিশ্রম, সেটি বোলিং অ্যাকশন যত সহজই হোক না কেন।
অতীতে অনেক ফাস্ট বোলার এসেছেন। তাঁরা জিমির মতো ম্যানেজমেন্ট পেলেও ক্যারিয়ার এত লম্বা হতো না। এমনকি তাঁর সময়ের কোনো ফাস্ট বোলার তাঁর মতো ম্যানেজমেন্ট পেলেও এত দিন টিকতে পারত না। ত্রিশের (বয়স) কোটার শেষ দিকে এসে কোর্টনি ওয়ালশ যখন এটা করল (প্রথম পেসার হিসেবে টেস্টে ৫০০ উইকেট), তখন ভেবেছিলাম, ‘এই লোকটা অনন্য এবং প্রচুর স্ট্যামিনা ধারণ করে।’ জিমি তার চেয়েও অনেক অনেক এগিয়ে! আমি তো ৬০টি টেস্ট খেলার পরই শারীরিকভাবে শেষ হয়ে গিয়েছিলাম।

জিমির শুরুটা আমার মনে আছে। তার যে বিষয়টি ভালো লাগে, শুরুতে বিদেশের মাটিতে তার রেকর্ড সাদামাটা ছিল। কিন্তু নতুন নতুন স্কিল যোগ করে সে বিদেশের মাটিতে অবিশ্বাস্য উন্নতি করেছে। যখন বয়স হয়ে যায়, একজন খেলোয়াড়ের কাছ থেকে খুব বেশি উন্নতি করার আশা করা যায় না। বড়জোর নিজের মানটা ধরে রাখতে পারে, কিন্তু উন্নতি নয়।

আরও পড়ুন

জিমির সেরা দক্ষতা হলো নিয়ন্ত্রণ। তার বোলিংয়ে এটা সব সময়ই দেখা যায়। খুব কম ফাস্ট বোলারই এমন। কৌশল, দক্ষতা ও পেস যে কারও থাকতে পারে—কিন্তু এসবের ওপর নিয়ন্ত্রণ না থাকলে টিকতে পারবেন না। সে কখন শতভাগ ফিট নেই, সেটা আমি সব সময়ই বলে দিতে পারব। কারণ, শুধু তখনই সে নিয়ন্ত্রণটা হারায়।

স্টুয়ার্ট ব্রডকে নিয়েও কিছু বলতে হয়। ওরা (ব্রড–অ্যান্ডারসন) সব সময় একে–অপরের প্রশংসা করেছে, সাহায্য করেছে। ব্যাটসম্যানদের প্রাণ ওষ্ঠাগত করে ফেলেছে। বোলিংয়ে আসলে জুটির প্রয়োজন। আশির দশকে আমার ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলটি অনন্য ছিল। কারণ, প্রচুর বোলার ছিল, তবে সেটা জোড়া হিসেবে। একজন গ্রেট ফাস্ট বোলারই শুধু অন্য প্রান্তে আরেকজন অসাধারণ ফাস্ট বোলারকে পাননি। তিনি রিচার্ড হ্যাডলি।

৭০০—স্তম্ভিত করে দেওয়ার মতো সংখ্যা। ফ্রেড ট্র্রুম্যান যখন ফাস্ট বোলারদের হয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়লেন, কেউ ভাবেনি অন্য কোনো ফাস্ট বোলার তাঁকে টপকে যেতে পারবে। একজন স্পিনার ল্যান্স গিবস তাঁকে টপকে যান। আর এখন যখন শুনছি, একজন ফাস্ট বোলার ৭০০ উইকেট পেয়েছে...এটা অলৌকিক।

আরও পড়ুন

রিচার্ড হ্যাডলি, নিউজিল্যান্ড (১৯৭৩–১৯৯০)

৮৬ টেস্টে ৪৩১ উইকেট, বোলিং গড় ২২.২৯

জিমি অ্যান্ডারসনের ৭০০ টেস্ট উইকেট নেওয়া অবিশ্বাস্য অর্জন এবং তাঁর জন্য গৌরবের মুহূর্ত। অসাধারণ ফিটনেস ও স্ট্যামিনার সঙ্গে সত্যিকারের সহনশীলতা দেখিয়েছে সে। দুই দিকেই সুইংয়ের অসামান্য দক্ষতা দিয়ে সে বিশ্বের বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে নাকানিচুবানি খাইয়েছে।

আমার ৩৯তম জন্মদিনের পরপরই টেস্ট ক্রিকেট ছেড়ে দিই। ৮৬টি টেস্ট খেলতে আমার ১৭ বছর লেগেছে। কারণ, নিউজিল্যান্ড বছরে ৬টি করে টেস্ট খেলত (তিনটি ঘরে, তিনটি বিদেশে, আমি চার টেস্টের দুটি সিরিজ খেলতে পেরেছি)। এ পরিমাণ খেলায় খেলোয়াড় হিসেবে নিজের প্রেরণা ধরে রাখতে পেরেছিলাম। বিশেষ করে যখন ইয়ান বোথামের ৩৭৩ উইকেটের বিশ্ব রেকর্ড (যেটা আমি ১৯৮৮ সালে টপকে যাই) এবং তারপর প্রথম বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেটও (১৯৯০ সালে টপকে যাই) সামনে ছিল।

নিউজিল্যান্ডের সাবেক অলরাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলি।
ফাইল ছবি

এত দীর্ঘ সময় খেলা চালিয়ে যাওয়ার পেছনে আমি ফিটনেসের ওপর নির্ভর করেছি। জিমে খুব কম গিয়েছি। কিন্তু দৌড়ানো, স্প্রিন্ট নিয়ে কাজ করা এবং স্ট্রেচিংয়ের মাধ্যমে শরীরটা ফ্লেক্সিবল রেখেছি। ক্যারিয়ারের শেষ ১০ বছরে রানআপ ছোট করেছি, সেটাও বোলিংয়ের একই রকম সরল টেকনিক ধরে রেখে। এতে দীর্ঘ হয়েছে ক্যারিয়ার। কিন্তু ৩৯ বছর বয়সে এসে বোলিংয়ের একটা দীর্ঘ দিন কাটিয়ে সতেজ হয়ে পরের দিন আবারও একই কাজ করাটা খুব কঠিন লাগত। শারীরিক ধকল কাটিয়ে উঠতে পর্যাপ্ত সময় পাইনি। বুঝতে পেরেছিলাম এখন অবসর নিতে হবে।

জিমি প্রতিবছর (আমার চেয়ে) বেশি টেস্ট খেলেছে, বেশি বছর ধরে খেলছে এবং বয়স বিবেচনায় বেশি দিন খেলছে। এটা অসাধারণ ব্যাপার।

আরও পড়ুন

অ্যালান ডোনাল্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা (১৯৯২–২০০২)

৭২ টেস্টে ৩৩০ উইকেট, বোলিং গড় ২২.২৫

আমার মনে প্রথম যে শব্দ দুটি এসেছে, তা হলো—অদ্ভুত এবং অসাধারণ। জিমি অ্যান্ডারসন এখনো যেভাবে খেলছে, তাতে আমি চমকে যাই। দক্ষতাটা সে কখনো হারাবে না। কিন্তু শক্তি, ইনটেনসিটি এবং ভালো করার ইচ্ছাটা ধরে রাখা—এসব অবিশ্বাস্য। ভারতে জোরে বল করা খুব কঠিন। কিন্তু সে এখনো উইকেট নিচ্ছে এবং বলকে দিয়ে কথা বলাচ্ছে। এটা সত্যিই খুব অদ্ভুত ব্যাপার এবং আমি তো মনে করি, আরেকজন ফাস্ট বোলার ৭০০ উইকেট পাবে না।

দক্ষিণ আফ্রিকান কিংবদন্তি অ্যালান ডোনাল্ড
প্রথম আলো

২০০৩ বিশ্বকাপে ক্যারিয়ারের শেষ দেখছিলাম। মনে আছে, টিম হোটেলে বসে নিউল্যান্ডসে ইংল্যান্ড–পাকিস্তান ম্যাচ দেখছিলাম। জিমি সেখানে পেসের সঙ্গে দুর্দান্ত সুইং করাচ্ছিল। তখন তার চুলের স্টাইলও দারুণ ছিল। ২০০৭ সালে চার মাসের জন্য ইংল্যান্ডের বোলিং কোচ ছিলাম। জিমি তখনো তরুণ হলেও দক্ষতায় পরিপূর্ণ ছিল। তবে দুই দিকেই বলকে বেশি সুইং করানোর প্রতি তার আগ্রহ ছিল বেশি। তাকে (বোলিং করতে) দেখার যে আনন্দ, তার মধ্যে এটাও একটা। এই (সুইং) বিদ্যাটা বুঝে উন্নতি করেছে সে। ক্রিজটা দারুণভাবে ব্যবহার করতে পারে। তবে কোনো কিছুই অতিরিক্ত করে না।

দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন আমি লায়নসের কোচ। দলটির ফাস্ট বোলারদের জিমির বোলিংয়ের ক্লিপ দেখিয়েছি সেদিন। জিমি ব্যাটসম্যানদের কীভাবে ফাঁদে ফেলে এবং সব সময়ই যে তার পরিকল্পনা থাকে, সেটাও দেখিয়েছি। নিজের স্টক বল নিয়ে সে খুবই ধৈর্যবান। একদম ঠিক মুহূর্তে গিয়ে বৈচিত্র্য ব্যবহার করে। আমি বলেছি, তোমরা যদি সুইং শিখতে চাও তাহলে জিমির বোলিং দেখো।

আরও পড়ুন

স্টুয়ার্ট ব্রড, ইংল্যান্ড (২০০৭–২০২২)

১৬৭ টেস্টে ৬০৪ উইকেট, বোলিং গড় ২৭.৬৮

জিমিকে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছি, এমন ১৩৮টি টেস্টে মিড অনে ফিল্ডিং করেছি। গতিতে আমি কখনোই রোলস রয়েসের মতো নই। কিন্তু যাত্রীর আসনে বসে (তাঁর ব্যাপারে) আমি এটাই ভেবেছি। তাঁর সবকিছুই খুব মসৃণ, অ্যাকশনে জোর করে কিছু করে না। কোনো বাড়াবাড়িও নেই।

এমন মাইলফলকের দেখা পাওয়ার পর নিবেদন এবং ত্যাগ নিয়ে কথা বলা সহজ। অবশ্যই জিমির ক্ষেত্রে সেসব সত্যি। কিন্তু এটাই দিনের পর দিন করে যেতে অভিজাত পর্যায়ের দক্ষতার প্রয়োজন হয়। অনেক সময়ই তাকে দেখেছি, বিশেষ করে লর্ডসে যখন বল সুইং করছে। বিস্ময় নিয়ে ভেবেছি ‘এই লোকটার দক্ষতা প্রচুর এবং আনপ্লেয়েবল।’ ২০১৩ ট্রেন্ট ব্রিজে অনুষ্ঠিত ম্যাচটি স্মরণ করা যায়। সে একাই জিতিয়েছিল। লোকে ব্রাড হাডিনের উইকেটটি মনে রেখেছে। কিন্তু মন্থর ও শুকনো ক্ল্যাসিক ইংলিশ উইকেটে সেটা ছিল তাঁর ১০ম উইকেট। সে নিজের সব রকম দক্ষতাই ব্যবহার করেছে। এর মধ্যে মাইকেল ক্লার্ককে অবিশ্বাস্য এক অফ কাটারেও আউট করেছিল।

স্টুয়ার্ট ব্রড ও জিমি অ্যান্ডারসন—ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি পেস জুটি
ফাইল ছবি

জিমির রেকর্ড দিন দিন আরও ভালো হচ্ছে। অথচ গত গ্রীষ্মেই তাঁকে নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। প্রায় সাত মাস খেলার বাইরে থাকার পরও শীর্ষ পর্যায়ে পারফর্ম করতে হবে, কীভাবে সেটা সে বুঝেছে। আর তাই ভারতে এমনভাবে ফিরল যে দেখে মনে হয়, সে যেন প্রতি সপ্তাহেই খেলছে।

কিন্তু জিমি এই অর্জন করল কীভাবে? আমি বলি তার অ্যাপ্রোচ হলো স্বাস্থ্যকর আসক্তি। লোকে মুত্তিয়া মুরালিধরনের গল্প বলে। সে নাকি একদম অবসেসড ছিল। বেঁচে থেকেছে ক্রিকেট খেলার মধ্য দিয়ে। জিমি কিন্তু তেমন না। সে খেলাটি ভালোবাসে। তবে মাঝেমধ্যে খেলাটি থেকে দূরে থেকে অন্য সব আগ্রহও মেটায়। শারীরিকভাবে নিজেকে নিখুঁত করে প্রস্তুত করে। কিন্তু সে পরিসংখ্যানের পাগল কিংবা পাগলাটে গবেষক নয় খেলাটি নিয়ে। আসলে তার গবেষণারই প্রয়োজন নেই। কারণ (খেলাটির) এমন কিছু নেই, যে সে দেখেনি।

আরও পড়ুন

প্যাট কামিন্স, অস্ট্রেলিয়া (২০১১–বর্তমান)

৬১ টেস্টে ২৬৪ উইকেট, বোলিং গড় ২২.৫৯

সংখ্যাটা অবিশ্বাস্য মনে হয়, যখন আপনি এত বছরে ধরে খেলে সে টেস্ট প্রতি গড়ে ৪টি করে উইকেট নিয়েছে। জিমি আমার কাছে সব সময়ই অবিশ্বাস্য কঠিন প্রতিপক্ষ। সে সব সময়ই বল করতে চায় এবং কন্ডিশন যাই হোক মানিয়ে নিতে জানে, এটা বলাই যায়। জিমি যেভাবে বল সুইং করায়, আমি সব সময়ই সেটার প্রশংসা করেছি এবং আগ্রহ নিয়ে দেখেছি। সে কিন্তু বলকে প্রচুর সুইং করাতে পারে, কিন্তু সেটাতেও প্রয়োজনমতো নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখে। সে জানে প্রচুর সুইংয়ের চেয়ে পরিমাণমতো সুইং খুব বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। বলের সিম ব্যবহারেও সে অবিশ্বাস্য। বলতে পারেন নিখুঁত।

তবে জিমির ব্যাপারে আমার কাছে যেটা সবচেয়ে বড় ব্যাপার মনে হয়, তা হলো, দীর্ঘদিন ধরে খেলে যাওয়া ও সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেওয়া। অনেক টেস্ট খেলা খুব কঠিন ব্যাপার। কিন্তু ফাস্ট বোলার হিসেবে জিমি যত দিন ধরে এটা করে যাচ্ছে—এমনকিছু ইতিপূর্বে শোনা যায়নি।

আমি নিজে কি ৪২ বছরেও খেলা চালিয়ে যেতে পারতাম? (হেসে) সন্দেহ হয়। দক্ষতা ধরে রাখার ব্যাপারটি বাদ দিন। ৪১ বছর বয়সী কারও টেস্ট ক্রিকেটে বোলিং করার মতো শরীর এখনো অবশিষ্ট আছে—সেটা আর দেখব বলে মনে হয় না।

আরও পড়ুন