সিরিজের সেরা ক্রিকেট খেলার তৃপ্তি সাকিবের

বল হাতে উইকেট না পেলেও ব্যাট হাতে ফিফটি পেয়েছেন সাকিব আল হাসানছবি: এএফপি

আরও একটি ম্যাচ। আরও একটি হার। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে বাংলাদেশের সাম্প্রতিক সময়ের পারফরম্যান্সের ছবিটা এমনই। তবে দলের অধিনায়ক সাকিব আল হাসান হার-জিতের মাপকাঠিতে বাংলাদেশ দলের পারফরম্যান্স বিচার করছেন না।

নিউজিল্যান্ডের মাটিতে ত্রিদেশীয় সিরিজে খেলা চারটি ম্যাচেই দলের মধ্যে ধারাবাহিক উন্নতি দেখতে পেয়েছেন সাকিব। সেই ধারবাহিকতায় আজ পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ ম্যাচটায় বাংলাদেশ তাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছে বলেই দাবি সাকিবের।

আরও পড়ুন

ক্রাইস্টচার্চে পাকিস্তানের বিপক্ষে ৭ উইকেটে হারের পর পুরস্কার বিতরণের মঞ্চে সাকিব বলেছেন, ‘আজ আমরা আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলেছি। হয়তো আর কিছু রান বেশি করতে পারতাম। শেষ ওভারে আমরা ৩ রান করতে পেরেছি। শেষের দিকে স্বীকৃত ব্যাটসম্যান ক্রিজে ছিল। তাদের কাছ থেকে দলের আশা ছিল ১০-১৫ রানের। তবে এমন হতেই পারে।’

ত্রিদেশীয় সিরিজের প্রথম তিন ম্যাচে মাঝের ওভারে বড় কোনো জুটি গড়তে পারেনি বাংলাদেশ। আজ সাকিব ও লিটন দাস মিলে ৮৪ বলে যোগ করেছেন ১৩৭ রান।

তাতে বাংলাদেশ শেষ তিন ওভারে মাত্র ২১ রান নিলেও ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৭৩ রান করতে পেরেছে, যা সাকিবের দৃষ্টিতে ইতিবাচকই। তাঁর কথা, ‘আমি নেতিবাচক দিকগুলো উল্লেখ করতে চাচ্ছি না। আমার মতে, মাঝের ওভারে আমরা দারুণ খেলেছি। এই জায়গায় আমরা পিছিয়ে ছিলাম।’

তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৮৮ রান যোগ করেন সাকিব–লিটন
ছবি: এএফপি

ব্যাটিংয়ের উন্নতিটা সাকিবকে স্বস্তি এনে দিলেও বোলিং আরও আঁটসাঁট হতে পারত বলে মনে করেন সাকিব। তাঁর কথা, ‘আমরা যে অবস্থায় ছিলাম, সেখান থেকে আরও বেশি রান করতে পারতাম। তবে ইনিংসের শুরুতে যদি আমাকে কেউ বলত ১৭৫ দেওয়া হবে, আমি সেটি নিয়ে নিতাম। পাঁচজন বিশেষজ্ঞ বোলার নিয়ে আমরা আরেকটু ভালো বোলিং করতে পারতাম। টি-টোয়েন্টিতে ব্যাটসম্যান থিতু হয়ে গেলে আটকে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে।’

সাকিবকে নিজের বোলিং পারফরম্যান্সেও খুশি মনে হয়নি। ত্রিদেশীয় সিরিজে ৩ ইনিংসের দুটিতে ৭০ ও ৬৮ রান করে ব্যাটিংটা ঝালিয়ে নিয়েছেন ঠিকই। কিন্তু বোলিং করে কোনো উইকেট পাননি। নিজের বোলিং নিয়ে যে কাজ করার আছে, সেটি নিজেই বলছিলেন সাকিব, ‘রান করা আমার কাজ। অন্য দিক থেকে চিন্তা করলে তিন ম্যাচে বোলিংটা ভালো হয়নি। এই জায়গায় আমার হয়তো কিছু কাজ করতে হবে।’

আরও পড়ুন

এ ছাড়া বিশ্বকাপের প্রস্তুতির মোড়কে অনুষ্ঠেয় ত্রিদেশীয় সিরিজ থেকে যা নেওয়ার, দলগতভাবে সেটি নাকি নিতে পেরেছে বাংলাদেশ। সাকিব বেশ আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই বলেন, ‘টিম ম্যানেজমেন্টের দৃষ্টিকোণ থেকে আমরা এখন পরিষ্কার যে বিশ্বকাপে কোন দল খেলানো হবে, আমরা ঠিক কী চাচ্ছি। এই সিরিজ থেকে যেমন প্রস্তুতি চাচ্ছিলাম, আমরা সেটা পেয়েছি। এখন আমাদের কাজ হলো, বিশ্বকাপে নিজেদের মেলে ধরা, দেশের জন্য ভালো কিছু করা। আমরা যেভাবে খেলেছি, প্রথম ম্যাচ ও শেষ ম্যাচ দেখুন, অনেক উন্নতি হয়েছে। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচের আগপর্যন্ত আমরা এই ধারা বজায় রাখতে চাই।’