সল্টের শতকের পর ব্রুকের ‘মহাপ্রলয়ে’ সিরিজে টিকে রইল ইংল্যান্ড

ইংল্যান্ডকে অবিশ্বাস্য জয় এনে দিয়েছেন ফিল সল্ট ও হ্যারি ব্রুকএএফপি

বাঁচা–মরার ম্যাচ। হারলেই সিরিজ হাতছাড়া। এমন বিষম চাপের ম্যাচে শেষ ৪ ওভারে দরকার ৭১ রান। এরপর ৩ ওভারে ৫১, ২ ওভারে ৩১ আর শেষ ওভারে ২১।

দুরূহ এই সমীকরণ কেউ মিলিয়ে ফেললে সেটাকে ‘অতিমানবীয়’র চেয়ে বেশি কিছু বলতে হয়। ৪, ৬, ৬, ২, ৬–এর সুবাদে সেই কাজটাই কী অনায়াসে করে ফেললেন হ্যারি ব্রুক!

হার্ড হিটার ব্রুক ক্যারিবীয় সাগরপাড়ে মহাপ্রলয় বইয়ে দেওয়ার কিছুক্ষণ আগে ফিলিপ সল্টও দিয়েছেন তাঁর ‘নুনের ছিটা’। ২৮ বছর বয়সী ওপেনার পেয়ে গেছেন টি–টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম শতক।

মাত্র ১২ বলে দুজনের ৪০ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টি–টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জিতল ইংল্যান্ড। এ জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ব্যবধান ২–১–এ নামিয়ে এনে সিরিজে টিকে রইল সফরকারীরা। সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে জিতেছিল স্বাগতিকেরা।

গ্রেনাডায় আজ সিরিজ জিইয়ে রাখার ম্যাচে টস জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলার। ব্যাটিং–স্বর্গে নিকোলাস পুরানের ক্যারিয়ারসেরা ৮২ আর অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েলের পর দলে ফেরা শেরফান রাদারফোর্ডের ক্যামিওতে ৬ উইকেট হারিয়ে ২২২ রানের ইমারত গড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।

ইংল্যান্ড সেটাকেও ১ বল আর ৭ উইকেট অক্ষত রেখে টপকে গেছে সল্টের শতক, বাটলারের অর্ধশতক আর আন্দ্রে রাসেলের করা শেষ ওভারে ব্রুকের সেই তাণ্ডবে।

টি–টোয়েন্টির বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডের এই সংস্করণে এটি যৌথভাবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়। ২০২০ সালেও ইংলিশরা ২২৩ রান তাড়া করে জিতেছিল। সেঞ্চুরিয়নে ওই ম্যাচে তাদের প্রতিপক্ষ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই মুম্বাইয়ে ২০১৬ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের সর্বোচ্চ ২৩০ রান তাড়া করে জিতেছিল।

নিকোলাস পুরানের ক্যারিয়ারসেরা ৮২ রানের ইনিংস বৃথা গেছে
এএফপি

আজকের চার–ছক্কায় ধুন্ধুমার ম্যাচটা ওয়েস্ট ইন্ডিজ–ইংল্যান্ডের সম্মিলিত রানের তালিকাতেও শীর্ষস্থান দখল করে নিয়েছে। দুই দল মিলে আজ করেছে ৪৪৮ রান। আগের সর্বোচ্চ ছিল ৪২৮। গত বছর বার্বাডোজে হওয়া সেই ম্যাচটা অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজ জিতেছিল।

সিরিজের শেষ দুই ম্যাচ হবে আগামী মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার। দুটি ম্যাচেরই ভেন্যু ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়াম।

সংক্ষিপ্ত স্কোর

ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ২০ ওভারে ২২২/৬

(পুরান ৮২, পাওয়েল ৩৯, রাদারফোর্ড ২৯; রশিদ ২/৩২, কারেন ২/৩৪, মঈন ১/২৬)

ইংল্যান্ড : ১৯.৫ ওভারে ২২৬/৩

(সল্ট ১০৯*, বাটলার ৫১, ব্রুক ৩১*; মোতি ১/৩০, রাসেল ১/৫০, হোল্ডার ১/৫২)

ফল : ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ : ফিলিপ সল্ট।

সিরিজ : পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে।