- ১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই বাংলাদেশ
- টসে হার মিরাজের,আবারও আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ দলে ৩ পরিবর্তন
- প্রথম ওভারেই ‘জীবন’ পেলেন সৌম্য
- তানজিদ শূন্য, লিটন শূন্য
- ফ্লপ!
- বাংলাদেশ ১০০, মিরাজ ৫০, সৌম্য ৫০
- সৌম্য ফিরলেন ৭৩ রানে
- আচমকাই রানআউট মিরাজ!
- উইকেট ছুঁড়ে এলেন আফিফ
- ২০০ পার করল বাংলাদেশ
- মাহমুদউল্লাহর টানা তৃতীয় ফিফটি
- জাকেরের প্রথম ফিফটি, বাংলাদেশের ৩০০
- বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১
- ২ চার ও ১ ছক্কার পর রানআউট কিং
- নাসুমের বলে বোল্ড অ্যাথানেজ
- এবার হাসানের শিকার হোপ
- বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
- বৃষ্টি থেমেছে, রোদ উঠেছে, খেলা শুরু শিগগিরই
- ২৫ মিনিট পর খেলা শুরু
- ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ফিরলেন রাদারফোর্ড
- ১০০ পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ...
- জাঙ্গুকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন কার্টি
- সেঞ্চুরির পথে কার্টি
- ওয়ানডে অভিষেকেই জাঙ্গুর ফিফটি
- ৯৫ রানে আউট কার্টি
- রিশাদের ‘অবিশ্বাস্য’ ক্যাচে আউট চেজ
- দ্রুত রান তুলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
- সেঞ্চুরিতে অভিষেক রাঙালেন জাঙ্গু
- রইল বাকি টি–টোয়েন্টি
১০ বছর পর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ধবলধোলাই বাংলাদেশ
বাংলাদেশের বিপক্ষে ৩–০ ব্যবধানে সিরিজ জিততে হলে সেন্ট কিটসে রান তাড়ার রেকর্ড গড়তে হবে, তা জেনেই নেমেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুর অপরাজিত সেঞ্চুরি, কিসি কার্টির ৯৫ আর গুড়াকেশ মোতির ঝোড়ো ৪৪ রানে রেকর্ড গড়েই জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বাংলাদেশের দেওয়া ৩২২ রানের লক্ষ্য স্বাগতিকেরা টপকে গেল ৪ উইকেট ও ২৫ বল হাতে রেখে!
এ জয়ে ১০ বছর পর বাংলাদেশকে ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই করল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সর্বশেষ ২০১৪ সালে মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দল ক্যারিবীয়দের কাছে ৩–০ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ হেরেছিল। সেই সিরিজও হয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজে।
সব মিলিয়ে বাংলাদেশ কোনো ওয়ানডে সিরিজে ধবলধোলাই হলো ৩ বছর ৯ মাস পর। এর আগে ২০২১ সালের মার্চে নিউজিল্যান্ড সফরে ৩–০ ব্যবধানে হেরেছিল তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দল।
সেন্ট কিটসে টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ। চার ব্যাটসম্যানের ফিফটিতে বাংলাদেশ করেছিল ৩২১ রান, যা ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে তাদের সর্বোচ্চ। কিন্তু মিরাজের দলের নির্বিষ বোলিংয়ে বড় সংগ্রহকেও সহজ বানিয়ে ফেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ ব্যাটসম্যানরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫
(মাহমুদউল্লাহ ৮৪*, মিরাজ ৭৭, সৌম্য ৭৩, জাকের ৬২*; জোসেফ ২/৪৩, রাদারফোর্ড ১/৩৭, মোতি ১/৬৪)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫.৫ ওভারে ৩২৫/৬
(জাঙ্গু ১০৪*, কার্টি ৯৫, মোতি ৪৪*, রাদারফোর্ড ৩০; রিশাদ ২/৬৯, তাসকিন ১/৪৯, হাসান ১/৫২, নাসুম ১/৫৬)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আমির জাঙ্গু।
ম্যান অব দ্য সিরিজ: শেরফান রাদারফোর্ড।
সিরিজ: ৩ ম্যাচের সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩–০ ব্যবধানে জয়ী।
টসে হার মিরাজের,আবারও আগে ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ
সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচের মতো শেষ ওয়ানডেতেও আগে ব্যাট করবে বাংলাদেশ। টসে জিতেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ, বেছে নিয়েছেন বোলিং।
সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও টসে হেরে ব্যাটিং করতে হয়েছিল বাংলাদেশকে। আর প্রথম ওয়ানডেতে টসে জিতেই আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন মিরাজ।
বাংলাদেশ দলে ৩ পরিবর্তন
আগের ম্যাচের একাদশ থেকে তিনটি পরিবর্তন এনেছে বাংলাদেশ। বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে তিন পেসার শরীফুল ইসলাম, তানজিম হাসান ও নাহিদ রানাকে। তাঁদের জায়গায় দলে ঢুকেছেন তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও নাসুম আহমেদ।
বাংলাদেশ একাদশ: তানজিদ হাসান, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, মাহমুদউল্লাহ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে ২ জনের অভিষেক
একাদশে চার পরিবর্তন এনেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে জেদিয়াহ ব্লেডস ও আমির জাঙ্গু আজই প্রথম ওয়ানডে খেলবেন। এ ছাড়া দলে ফিরেছেন আলজারি জোসেফ ও অ্যালিক অ্যাথানেজ।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ২২ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হওয়া জেইডেন সিলস চোটের কারণে ম্যাচ থেকে ছিটকে গেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশ: ব্র্যান্ডন কিং, আমির জাঙ্গু, কিসি কার্টি, শাই হোপ, অ্যালিক অ্যাথানেজ, শেরফান রাদারফোর্ড, রোস্টন চেজ, রোমারিও শেফার্ড, গুড়াকেশ মোতি, আলজারি জোসেফ ও জেডিয়াহ ব্লেডস।
প্রথম ওভারেই ‘জীবন’ পেলেন সৌম্য
এক ইঞ্চিও ডানে–বামে নড়তে হয়নি ব্র্যান্ডন কিংকে। প্রথম স্লিপে যে জায়গায় দাঁড়িয়ে ছিলেন, সেখানেই তাঁর হাতে ক্যাচ দিয়েছিলেন সৌম্য সরকার।
কিন্তু প্রথম ওভারের চতুর্থ বলে আলজারি জোসেফের বলে ওঠা এই ক্যাচ দুই হাতে নিয়েও ফেলে দিয়েছেন কিং। সৌম্য ‘জীবন’ পেলেন ০ রানে।
তানজিদ শূন্য, লিটন শূন্য
তৃতীয় ওভারে তিন বলের ব্যবধানে ২ উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। আলজারি জোসেফের করা দ্বিতীয় বলে পুল শট করতে গিয়ে বল ওপরে তুলে রাদারফোর্ডের সহজ ক্যাচে পরিণত হয়েছেন তানজিদ হাসান (৫ বলে ০)।
এরপর ব্যাট করতে নামা লিটন দাস নিজের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ব্র্যান্ডন কিংয়ের হাতে (২ বলে ০)।
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ৯/২। সৌম্য সরকারের সঙ্গে ব্যাটিংয়ে মেহেদী হাসান মিরাজ।
ফ্লপ!
সৌম্য-মিরাজের প্রতিরোধ
৯ রানের মধ্যে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর জুটি গড়েছেন সৌম্য সরকার ও অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। দুজনের পাল্টা আক্রমণে কিছুটা চাপমুক্ত হয়ে বাংলাদেশ। এরই মধ্যে ৫৬ বলে ৫০ রানের জুটি গড়েছেন দুজন মিলে। বাংলাদেশের রান ৫০ পেরিয়েছে ১১তম ওভারে এসে।
বাংলাদেশ: ১২ ওভারে ৬০/২।
বাংলাদেশ ১০০, মিরাজ ৫০, সৌম্য ৫০
ইনিংসের ২০তম ওভারে তিনটি মাইলফলক ছুঁয়েছে বাংলাদেশ। গুড়াকেশ মোতির করা ওভারের প্রথম মিরাজ নিয়েছেন সিঙ্গেল, বাংলাদেশ দলের রান পৌঁছেছে ১০০–তে।
চতুর্থ বলে চার মেরে পঞ্চাশে পৌঁছেছেন মিরাজ। এই সিরিজে তাঁর দ্বিতীয়।
আর শেষ বলে সিঙ্গেল নিয়ে ১৩তম ফিফটিতে পৌঁছেছেন সৌম্য সরকার।
তিন মাইলফলক ছোঁয়ার পরের ওভারেই জেডিয়াহ ব্লেডসের কাছ থেকে মিরাজ–সৌম্যরা তুলেছেন ১৬ রান।
বাংলাদেশ: ২১ ওভারে ১২৩/২। মিরাজ ৬৩, সৌম্য ৫৫ রানে ব্যাট করছেন।
সৌম্য ফিরলেন ৭৩ রানে
৫৮ বলে ৫০ ছুঁয়ে বেশ আক্রমণাত্মক ব্যাটিংই শুরু করেছিলেন সৌম্য সরকার। জেডিয়াহ ব্লেডসকে তিন চারের পর গুড়াকেশ মোতিকে মেরেছেন ছক্কা।
তবে ছক্কার পরের বলেই এলবিডব্লু হয়েছেন বাংলাদেশের বাঁহাতি ওপেনার। ৬ চার ৪ ছক্কার ইনিংসটি থেমেছে ৭৩ বলে ৭৩ রান করে। নতুন ব্যাটসম্যান আফিফ হোসেন।
বাংলাদেশ: ২৭ ওভারে ১৫৯/৩। মিরাজ ৭০, আফিফ ১০ রানে ব্যাট করছেন।
আচমকাই রানআউট মিরাজ!
রাদারফোর্ডের থ্রোটা সরাসরিই স্টাম্প ভেঙেছে। আউটের আবেদন করলেও খুব একটা আত্মবিশ্বাসী ছিল না ওয়েস্ট ইন্ডিজ। মিরাজেরও মনে হয়েছে সময়মতো ব্যাট পপিং ক্রিজে ঢুকেছিল।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেল ভিন্ন চিত্র। অল্পের জন্য লানআউট মিরাজ। বাংলাদেশ অধিনায়ক ফিরলেন ৭৩ বলে ৭৭ রান করে। তাঁর ইনিংসে ছিল ৮টি চার ও ২টি ছয়।
বাংলাদেশ: ৩০ ওভারে ১৭১/৪। আফিফ ১৫, মাহমুদউল্লাহ ০ রানে ব্যাট করছেন।
উইকেট ছুঁড়ে এলেন আফিফ
শেরফান রাদারফোর্ডের শর্ট ডেলিভারিটি ছিল অফ স্টাম্পের বাইরে। টেনে লেগ সাইডে খেলতে গিয়ে মিড–উইকেটে সহজ ক্যাচ তুললেন আফিফ (২৯ বলে ১৫)। ৬ বলের মধ্যে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ: ৩১ ওভারে ১৭১/৫। মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী ০ রানে ব্যাট করছেন।
২০০ পার করল বাংলাদেশ
৩৮তম ওভারের শেষ বলে গুড়াকেশ মোতিকে লং অনের ওপর দিয়ে লম্বা এক ছক্কা মেরেছেন মাহমুদউল্লাহ। এই ছক্কায় বাংলাদেশ দলের রান ২০০ পেরিয়েছে। ১৭১ রানে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর জুটি বেঁধেছেন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ৩৮ ওভারে ২০৫/৫। মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী ১৭ রানে ব্যাট করছেন।
মাহমুদউল্লাহর টানা তৃতীয় ফিফটি
প্রথম দুই ওয়ানডের মতো শেষ ম্যাচেও ফিফটি করলেন মাহমুদউল্লাহ। অভিজ্ঞ এ ব্যাটসম্যান শেরফান রাদারফোর্ডকে চার মেরে ৪৮তম বলে পঞ্চাশে পৌঁছান। এটি তাঁর ২৩৮ ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ৩২তম ফিফটি।
ষষ্ঠ উইকেটে জাকের আলীর সঙ্গে মাহমুদউল্লাহর জুটিতে এরই মধ্যে এক শ পেরিয়েছে।
বাংলাদেশ: ৪৭ ওভারে ২৭৯/৫। মাহমুদউল্লাহ ৫৭ ও জাকের আলী ৪৭ রানে ব্যাট করছেন।
জাকেরের প্রথম ফিফটি, বাংলাদেশের ৩০০
৪৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ব্লেডসকে ছয় মারলেন মাহমুদউল্লাহ, বাংলাদেশ দলের রান পৌঁছে গেল ৩০০–এর ঘরে। আগের ওভারেই রোমারিও শেফার্ডকে চার মেরে ৫৩ বলে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেছেন জাকের আলী।
বাংলাদেশ: ৪৯ ওভারে ৩১১/৫। মাহমুদউল্লাহ ৭৪ ও জাকের আলী ৬২ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশ ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ওয়ানডেতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৫ উইকেটে ৩২১ রান করেছে বাংলাদেশ।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে এর আগে কোনো দলই ৩০০ রানের বেশি তাড়া করতে জিততে পারেনি। সর্বোচ্চ ২৯৪ রান তাড়া করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ, এই সিরিজেরই প্রথম ম্যাচে।
বাংলাদেশ দল সিরিজে প্রথমবারের মতো তিন শ পার করতে পেরেছে দুটি বড় জুটি এবং চারটি ফিফটির সৌজন্যে। শুরুতে ৯ রানে ২ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ গড়েন ১৩৬ রানের জুটি। দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচে যাওয়া সৌম্য করেন ৭৩ বলে ৭৩, রানআউট হয়ে ফেরা মিরাজ করেন ৭৩ বলে ৭৭।
এরপর স্কোরবোর্ড ৫ উইকেটে ১৭১ রানে পরিণত হওয়ার পর দ্বিতীয় বড় জুটিটি গড়েন মাহমুদউল্লাহ ও জাকের আলী। অবিচ্ছিন্ন ষষ্ঠ উইকেট জুটিতে এ দুজন যোগ করেছেন ১৫০ রান। মাহমুদউল্লাহ অপরাজিত থেকেছেন ৬৩ বলে ৮৪ রান করে।
সিরিজের তিন ম্যাচেই ফিফটি করা মাহমুদউল্লাহ আজকের ইনিংসে ৭ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৪ ছক্কা। আর ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি ছোঁয়া জাকের আলী অপরাজিত থেকেছেন ৫ চার ২ ছক্কায় ৫৭ বলে ৬২ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ: ৫০ ওভারে ৩২১/৫ (মাহমুদউল্লাহ ৮৪, মিরাজ ৭৭, সৌম্য ৭৩, জাকের ৬২*; আলজারি ২/৪৩)।
২ চার ও ১ ছক্কার পর রানআউট কিং
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের প্রথম ওভারটা করেছেন হাসান মাহমুদ। ওই ওভারে এসেছেন ৫ রান। তবে দ্বিতীয় ওভার করতে আসা নাসুম আহমেদের ওপর প্রথম বল থেকেই চড়াও হয়েছেন ব্র্যান্ডন কিং। ওভারের প্রথম পাঁচ বলে ২ চার ও ১ ছক্কা মেরেছিলেন। কিন্তু ঝড়ের আভাস দিয়েই থামতে হয়েছে। উদ্বোধনী সঙ্গী অ্যালিক অ্যাথানেজের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রানআউট হয়েছেন কিং।
নাসুমের ওভারের শেষ বলে ১ রান নিতে চেয়েছিলেন কিং। কিন্তু অ্যাথানেজ সাড়া দেননি। ততক্ষণে পিচের প্রায় মাঝপথে চলে এসেছিলেন কিং। বাংলাদেশের অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজের থ্রোটা ছিল দারুণ। বাকি কাজ সারতে ভুল করেননি লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২ ওভারে ১ উইকেটে ১৯ রান। জিততে দরকার আরও ৩০৩ রান।
নাসুমের বলে বোল্ড অ্যাথানেজ
নিজের প্রথম ওভারে ১৪ রান দিলেন দ্বিতীয় ওভারে দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছেন নাসুম। তাঁর দ্বিতীয় বলে স্টাম্প থেকে সরে এসে সুইপ করতে চেয়েছিলেন অ্যাথানেজ। কিন্তু বাঁহাতি স্পিনারের ফুল লেংথের বলটা আঘাত হানল স্টাম্পে।
অ্যাথানেজ আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক শাই হোপ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪ ওভারে ২ উইকেটে ২৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৯৩ রান।
এবার হাসানের শিকার হোপ
আগের দুই ওয়ানডেতে দারুণ ব্যাটিং করলেও আজ বেশিক্ষণ টিকতে পারলেন না শাই হোপ (৩)। হাসান মাহমুদের করা অফ স্টাম্পের বাইরে বল তাড়া করতে গিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ক প্রথম স্লিপে ক্যাচ দিলেন সৌম্য সরকারকে।
হোপ আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছেন এই সিরিজে স্বাগতিকদের ব্যাটিংয়ের ভরসার প্রতীক হয়ে ওঠা শেরফান রাদারফোর্ড।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫ ওভারে ৩ উইকেটে ৩২ রান। জিততে দরকার আরও ২৯০ রান।
বৃষ্টিতে খেলা বন্ধ
আবহাওয়ার পূর্বাভাসবিষয়ক পরিষেবা অ্যাকুওয়েদার –এর তথ্য অনুযায়ী, ম্যাচের ভেন্যু সেন্ট কিটসের বাসেটেরেতে আজ বৃষ্টি নামার কোনো সম্ভাবনা ছিল না। কিন্তু তাদের দেওয়া তথ্য এখন ভুল!
বৃষ্টির কারণে বাংলাদেশ–ওয়েস্ট ইন্ডিজ তৃতীয় ওয়ানডে আপাতত বন্ধ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের অষ্টম ওভার করতে এসেছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। প্রথম চার বলে তিনি দেন ৪ রান। এরপর হঠাৎ বৃষ্টি নামলে খেলোয়াড়দের মাঠ ছাড়তে বলেন মাঠের দুই আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা ও লেসলি রেইফার। পিচ ও এর চারপাশ এখন কাভারে ঢাকা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৭.৪ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৭৩ রান।
বৃষ্টি থেমেছে, রোদ উঠেছে, খেলা শুরু শিগগিরই
হঠাৎ নামা বৃষ্টি থেমে গেল দ্রুতই। কিছুক্ষণের মধ্যেই খেলা আবার শুরু হবে। কোনো ওভার কাটা হয়নি।
২৫ মিনিট পর খেলা শুরু
বৃষ্টির কারণে ২৫ মিনিট বন্ধ থাকার পর আবারও বল মাঠে গড়িয়েছে। মিরাজ তাঁর অসমাপ্ত ওভারের বাকি ২ বল করেছেন। এরপর প্রথমবার বোলিংয়ে এসেছেন তাসকিন আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৯ ওভারে ৩ উইকেটে ৫৯ রান। জিততে দরকার আরও ২৬৩ রান।
ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই ফিরলেন রাদারফোর্ড
এক ম্যাচ বাকি রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ওয়ানডে সিরিজ জেতাতে সবচেয়ে বড় অবদান রেখেছেন শেরফান রাদারফোর্ড। সেই রাদারফোর্ড আজও উইকেটে থিতু হয়ে বড় কিছুর আভাস দিচ্ছিলেন। তবে ভয়ংকর হয়ে ওঠার আগেই তাঁকে ফেরালেন তাসকিন আহমেদ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ইনিংসের ১৫তম ওভার করতে আসা তাসকিন অনেকটা ফাঁদ পেতেই রাদারফোর্ডকে শিকার করলেন। রাউন্ড দ্য উইকেট থেকে বল করতে আসা পেসার ডিপ স্কয়ার লেগে ফিল্ডার রেখে শর্ট ডেলিভারি করলেন। ছক্কা মারার আশায় পুল করতে গেলেন রাদারফোর্ড। কিন্তু টাইমিং ঠিকঠাক হলো না। ধরা পড়লেন তানজিদ হাসানের হাতে।
রাদারফোর্ড আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন অভিষিক্ত আমির জাঙ্গু।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৭ ওভারে ৪ উইকেটে ৯২ রান। জিততে দরকার আরও ২৩০ রান।
১০০ পেরিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ...
ইনিংসের ১৮তম ওভার করতে আসা রিশাদ হোসেনের প্রথম দুই বলেই চার মেরেছেন কিসি কার্টি। এতেই ১০০ ছুঁয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ। পরের চার বলে রিশাদ দিয়েছেন আরও ৩ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৮ ওভারে ৪ উইকেটে ১০৩ রান। জিততে দরকার আরও ২১৯ রান।
জাঙ্গুকে নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন কার্টি
অভিষিক্ত আমির জাঙ্গুকে নিয়ে উইকেটে জমে গেছেন কিসি কার্টি। দুজন প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি বের করছেন। প্রয়োজনীয় রানরেটের চাপ আসতে দিচ্ছেন না। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সংগ্রহ এরই মধ্যে ১৫০ পেরিয়ে গেছে। মাঝে রিভিউ নিয়েও কার্টিকে আউট করতে পারেননি নাসুম।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৬ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬৫ রান। জিততে দরকার আরও ১৫৩ রান।
সেঞ্চুরির পথে কার্টি
গত নভেম্বরেই ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন। বার্বাডোজে ইংল্যান্ডের তাঁর অপরাজিত ১২৮ রানের ইনিংস ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৮ উইকেটের জয় এনে দিয়েছিল। সেন্ট কিটসে আজ বাংলাদেশের বিপক্ষেও সেঞ্চুরি করার পথে কিসি কার্টি। ৯ চার ও ২ ছক্কায় এই মুহূর্তে তিনি অপরাজিত আছেন ৮৪ রানে। অভিষিক্ত জাঙ্গু ব্যাট করছেন ৪৬ রান নিয়ে। পঞ্চম উইকেটে দুজনের জুটি ৮৯ বলে ১০৪ রান হয়েছে।
উইকেটের খোঁজে থাকা বাংলাদেশ অধিনায়ক বোলিংয়ে এনেছেন আফিফ হোসেনকে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ২৯ ওভারে ৪ উইকেটে ১৯০ রান। জিততে দরকার আরও ১৩২ রান।
ওয়ানডে অভিষেকেই জাঙ্গুর ফিফটি
আমির জাঙ্গু যখন ব্যাটিংয়ে নামেন, ৮৬ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে তখন প্রবল চাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই চাপ কী দারুণভাবেই না সামলে নিলেন জাঙ্গু। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে ইতিহাসের নবম ব্যাটসম্যান হিসেবে অভিষেকেই ফিফটি পেলেন জাঙ্গু। তাঁর সঙ্গে কার্টি ক্রিজে জমে যাওয়ায় জয়ের দিকে ছুটছে স্বাগতিকেরা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩২ ওভারে ৪ উইকেটে ২১০ রান। জিততে দরকার আরও ১১২ রান।
৯৫ রানে আউট কার্টি
অল্পের জন্য ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি পাওয়া হলো না কার্টির। ৯৫ রানে থাকতে রিশাদ হোসেনের করা অফ স্টাম্পের বাইরের বল মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্ট সৌম্য সরকারের দারুণ ক্যাচে পরিণত হলেন কার্টি। এর মধ্য দিয়ে ভাঙল বাংলাদেশকে ভোগানো কার্টি–জাঙ্গুর ১৩২ রানের জুটি।
অবশ্য আগের বলেই ‘জীবন’ পেয়েছেন জাঙ্গু। রিশাদকে এক্সট্রা কাভারের ওপর দিয়ে তুলে মারতে গিয়ে ক্যাচ দিয়েছিলেন। সহজ সুযোগটা নিতে পারেননি বদলি ফিল্ডার পারভেজ হোসেন।
কার্টি আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমেছেন রোস্টন চেজ। তিনি এরই মধ্যে ১১ রান করে ফেলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৩৬ ওভারে ৫ উইকেটে ২৩২ রান। জিততে দরকার আরও ৯০ রান।
রিশাদের ‘অবিশ্বাস্য’ ক্যাচে আউট চেজ
বলটা খুব একটা ভালো ছিল না। দিয়েছিলেন লো ফুল টস। রোস্টন চেজ চাইলে যেকোনো দিকে মারতে পারতেন। তিনি খেলতে চেয়েছিলেন কাভারের ওপর দিয়ে। কিন্তু ব্যাটের মাঝ বরাবর লাগাতে পারেনি। তবু শটে জোর ছিল। তবে দীর্ঘদেহী রিশাদের লম্বা হাত বলটিকে পার হতে দিল না। ডান দিকে ঝাঁপিয়ে এক হাতে ‘অবিশ্বাস্য’ রিটার্ন ক্যাচ নিলেন রিশাদ।
চেজ আউট হওয়ার পর ক্রিজে এসেছেন গুড়াকেশ মোতি। তিনি এই মধ্যে ১২ রান করে ফেলেছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪০ ওভারে ৬ উইকেটে ২৬১ রান। জিততে দরকার আরও ৬১ রান।
দ্রুত রান তুলছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
৬ উইকেট হারালেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তোলার গতিতে বাঁধ দেওয়া যাচ্ছে না। প্রায় প্রতি ওভারেই বাউন্ডারি মারছেন আমির জাঙ্গু ও গুড়াকেশ মোতি। সপ্তম উইকেটে দুজনের জুটি ৬০ রান পেরিয়ে গেছে। বাংলাদেশের বোলাররাও হাল ছেড়ে দিয়েছেন। জয় থেকে নিশ্বাস দূরত্বে ক্যারিবীয়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৪ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯৮ রান। জিততে দরকার আরও ২৪ রান।
সেঞ্চুরিতে অভিষেক রাঙালেন জাঙ্গু
ইতিহাসের ১৮তম ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২য় ব্যাটসম্যান হিসেবে ওয়ানডে অভিষেকেই সেঞ্চুরি পেলেন আমির জাঙ্গু। ইনিংসের ৪৫তম ওভার করতে আসা আফিফের তৃতীয় বলে বিশাল ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূরণের আনন্দে মাতেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। জাঙ্গুর আগে এই কীর্তি ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের ডেসমন্ড হেইন্সের। অ্যান্টিগায় ১৯৭৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ১৪৮ রানের ইনিংসটা এখনো ওয়ানডে অভিষেকে কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৫ ওভারে ৬ উইকেটে ৩০৯ রান। জিততে দরকার আরও ১৩ রান।
রইল বাকি টি–টোয়েন্টি
বাংলাদেশের এবারের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্ট সিরিজ শেষ হয়েছে ১–১ সমতায়। মিরাজের দলের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ ৩–০ ব্যবধানে জিতে নিল ক্যারিবীয়রা। লিটন দাসের নেতৃত্বে টি–টোয়েন্টি সিরিজে কী করবে বাংলাদেশ?
সেন্ট ভিনসেন্টে তিন ম্যাচের টি–টোয়েন্টি সিরিজ শুরু ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসের সকালে। পরের দুটি ম্যাচ ১৮ ও ২০ ডিসেম্বর। সেই সিরিজে আবারও সরাসরি ধারাবিবরণী ও বিশ্লেষণ নিয়ে হাজির হবে প্রথম আলো ক্রীড়া বিভাগ।
সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। শুভ বিদায়!