হিথ স্ট্রিক বেঁচে আছেন

হিথ স্ট্রিকফাইল ছবি

‘হিথ স্ট্রিককে নিয়ে অনেক খবর পড়লাম, আমি খুব খুশি সেই খবর সত্যি ছিল না’—অস্ট্রেলিয়ার সাবেক উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান অ্যাডাম গিলক্রিস্টের টুইট।

শুধু গিলক্রিস্ট কেন, জিম্বাবুয়ের সাবেক অধিনায়ক হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদে পুরো ক্রিকেট বিশ্বই তো শোকাচ্ছন্ন হয়ে পড়েছিল। স্ট্রিকের সাবেক সতীর্থ হেনরি ওলোঙ্গারের একটি টুইটকে সূত্র ধরেই বার্তা সংস্থা রয়টার্সসহ বিশ্বের বড় বড় সংবাদমাধ্যমগুলো জানিয়েছিল মারা গেছেন ক্যানসারে আক্রান্ত স্ট্রিক। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই সেই ওলোঙ্গাই আবার আগের টুইট মুছে দিয়ে জানালেন বেঁচে আছেন স্ট্রিক। ওলোঙ্গা লিখেছেন—মৃত্যুর সংবাদটি গুজব ছিল।

হিথ স্ট্রিকের সঙ্গে খুদে বার্তা আদান–প্রদানের স্ক্রিন শট দিয়ে ওলোঙ্গা আবার লেখেন, ‘আমি নিশ্চিত করছি, হিথ স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ নিছকই গুজব। তার সঙ্গে মাত্রই কথা হলো। থার্ড আম্পায়ার তাঁকে ফিরিয়ে এনেছেন। বন্ধুরা, সে বেঁচে আছে’।

ওলোঙ্গার ওই টুইটের পর বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম স্ট্রিকের মৃত্যু সংবাদ সরিয়ে নিয়েছে।

ভারতীয় পত্রিকা মিড ডে স্বয়ং স্ট্রিককে উদ্ধৃত করে জানিয়েছে, বেঁচে আছেন জিম্বাবুয়ের সাবেক ক্রিকেটার। নিজের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়াকে দুঃখজনকও বলেছেন স্ট্রিক। হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় স্ট্রিক মিড ডেকে বলেন, ‘এটা গুজব। আমি জীবিত আছি, ভালোই আছি। আমি খুব দুঃখ পেয়েছি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের এই যুগে এত বড় একটা খবর কারও কাছ থেকে নিশ্চিত না হয়েই কীভাবে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। আমার মনে হয় যে সূত্র এই খবর ছড়িয়েছে, তাঁর ক্ষমা চাওয়া উচিত।’

স্ট্রিকের আরেক সাবেক সতীর্থ রেমন্ড প্রাইস তো আজ বুধবার সকালে স্ট্রিকের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। স্ট্রিক যে ভালো নেই, সেই ছবিতে সেটি স্পষ্ট।

স্ট্রিকের সঙ্গে রেমন্ড প্রাইস
ছবি: ফেসবুক

স্ট্রিকের মৃত্যুর সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার বড় কারণ ছিল তাঁর শারীরিক অবস্থা। গত মে মাসে খবর আসে কোলন ও লিভার ক্যানসারে ভুগছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক বোলিং কোচ। দুর্নীতিবিরোধী বিধির কয়েকটি ধারা ভঙ্গের কারণ ২০২১ সালে আইসিসি তাঁকে আট বছরের জন্য নিষিদ্ধ করে