ব্যক্তিগত আক্রমণেই তাহলে খেই হারালেন গিল

প্রথম দুই টেস্টে ৫৮৫ রান। সেই শুবমান গিল লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় টেস্টে করলেন কিনা মোটে ২২ রান। ভারত অধিনায়ক কেন ব্যর্থ হলেন তৃতীয় টেস্টে, সেটির কারণ খুঁজে বের করেছেন সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।

লর্ডস টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষ দিকে ইংল্যান্ড ওপেনার জ্যাক ক্রলির সঙ্গে শুবমান গিলের কথা–কাটাকাটি হয়েছিল। পরদিন রান তাড়ার সময় সেই ঘটনার প্রভাবই গিলের ব্যাটিংয়ে পড়েছে বলে মনে করেন ভারতের সাবেক ক্রিকেটার ও বর্তমানে ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার।

ইএসপিএনক্রিকইনফোর এক ভিডিওতে মাঞ্জরেকার বলেন, ‘চতুর্থ দিনে যখন ব্যাটিংয়ে নামল গিল, এটা অনুমিতই ছিল ইংল্যান্ড ওকে ফিরতি জবাব দেবে। মেজাজ হারানোটা স্বাভাবিক, এমন হয়। কিন্তু বিরাট কোহলির ব্যাপারটা ছিল অন্য রকম, ও রাগলে আরও উজ্জীবিত হতো আর ব্যাটিংয়ে আরও ভালো করত। গিলের ক্ষেত্রে উল্টোটা হলো। ওকে দেখে বেশ দ্বিধাগ্রস্ত লাগছিল। এখন তো স্টাম্প মাইকে আমরা কথাগুলো শুনতে পাই, সেখানে কিছু ব্যক্তিগত আক্রমণও হয়েছিল। কিন্তু সেটা সামলাতে গিল প্রস্তুত ছিল না, আর সেটার প্রভাব পড়ল ওর ব্যাটিংয়ে।’

মাঞ্জরেকারের মতে, বিদেশে ভারতীয় খেলোয়াড়দের এখন তুলনামূলক বন্ধুত্বপূর্ণ পরিবেশেই স্বাগত জানানো হয়। তাই এ ধরনের কটূক্তি গিলের জন্য ছিল নতুন অভিজ্ঞতা। আর তাতেই ব্যাট হাতে দেখা গেল অস্বাভাবিক দুর্বলতা, ‘এই সিরিজে গিল যেভাবে দুর্দান্ত নিয়ন্ত্রণে ব্যাট করছিল, ভালো বলগুলো সহজেই সামলে দিচ্ছিল, হঠাৎ করেই সেটা হারিয়ে গেল। ৯ বলের মধ্যে ৪ বার মিস করল, একটা রিভিউর পরিস্থিতিও এল, আর পরের বলেই এল এলবিডব্লু। গিলের ডিফেন্স ভাঙা এত সহজ নয়, তাই আমি নিশ্চিত মানসিক চাপের প্রভাব পড়েছে।’

মাঞ্জরেকারের কথায় স্পষ্ট, গিলের মেজাজ হারানো তাঁর ব্যাটিংয়ে ইতিবাচক প্রভাব ফেলেনি। ইংল্যান্ড–ভারত ‘অ্যান্ডারসন–টেন্ডুলকার’ ট্রফির চতুর্থ টেস্ট ম্যানচেস্টারে শুরু হবে ২৩ জুলাই।