পাকিস্তানের হয়ে না খেলার আক্ষেপ থেকে গেছে তাহিরের

পাকিস্তানের জুনিয়র লিগের (পিজেএল) দল ভাওয়ালপুর রয়্যালসের সঙ্গে কাজ করছেন ইমরান তাহিরছবি: ফাইল ছবি

জন্ম পাকিস্তানে, তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে খ্যাতি পেয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে খেলে। কখনো পাকিস্তানের হয়ে খেলা না হলেও দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটের সঙ্গে বেশ ভালোভাবেই সম্পৃক্ত ইমরান তাহির।

তবে তাহিরের স্বপ্ন ছিল পাকিস্তান জাতীয় দলের হয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রতিনিধিত্ব করা। সেটি পূরণ না হলেও পাকিস্তানের ঘরোয়া ক্রিকেটের প্রতিটি পর্যায়ে খেলার তৃপ্তি আছে তাহিরের মনে।

লেগ স্পিনের দ্যুতি ছড়িয়ে লম্বা সময় দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে তাহির। ৪৩ বছর বয়সী পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার এখন যুক্ত আছেন পাকিস্তানের জুনিয়র লিগের (পিজেএল) দল ভাওয়ালপুর রয়্যালসের সঙ্গে।

উদ্‌যাপনের জন্যও বিখ্যাত ছিলেন ইমরান তাহির
ছবি: রয়টার্স

দলটির মেন্টর হিসেবে কাজ করছেন তাহির। সম্প্রতি পিজেএলের সঙ্গে যুক্ত তরুণ ক্রিকেটারদের এক লেকচারে ক্রিকেটে নিজের অভিজ্ঞতা, প্রাপ্তি ও অপ্রাপ্তির কথা তুলে ধরেন তাহির।

লেকচারে সাবেক এই স্পিনার বলেন, ‘আমি জীবনে কখনো সাহস হারাইনি। আমি দোকানে প্যাকিংয়ের কাজ করেছি। কেউ আমাকে বল করতে ডাকেনি। ট্রায়ালে আমাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কে আমাকে পাঠিয়েছে।’

২০১১ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন তাহির। এ সময়ের মধ্যে ২০টি টেস্ট, ১০৭টি ওয়ানডে ৩৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন পাকিস্তানের লাহোরে জন্ম নেওয়া এই ক্রিকেটার।

পাকিস্তানের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপেও খেলেছিলেন, তবে জাতীয় দলের হয়ে খেলা হয়নি। এ নিয়ে কিছুটা আক্ষেপও আছে তাঁর মনে। তাহির বলেছেন, ‘আমি পাকিস্তানের প্রতিটি স্তরে সফলতার সঙ্গে খেলেছি। তবে আমার স্বপ্ন ছিল (জাতীয় দলের হয়ে) পাকিস্তানের প্রতিনিধিত্ব করা, যদিও এটা কখনো সত্যি হয়নি।’

তরুণ ক্রিকেটারদের কাছে নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরতে গিয়ে তাহির আরও বলেন, ‘আমাকে সুযোগ দেওয়ার জন্য আমি দক্ষিণ আফ্রিকাকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমি একটি সুযোগের অপেক্ষায় ছিলাম এবং যখন পেয়েছি, তখন তা কাজে লাগিয়েছি।’

এ সময় উদীয়মান ক্রিকেটারদের কখনো সাহস না হারানোর বার্তাও দিয়েছেন তাহির, ‘আমি ক্রিকেটারদের কখনো সাহস না হারানোর পরামর্শ দেব এবং তারা যেন সব সময় সুযোগ খুঁজতে থাকে। এ ক্ষেত্রে আমি বিশ্বের জন্য উদাহরণ এবং ২২ বছর ধরে ক্রিকেট খেলে চলেছি।’