১০৬ রান করেও জয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন তানজিমরা

নেপালকে হারানোর পথে দুর্দান্ত বোলিং করেন তানজিম। উইকেট নেওয়ার পর তাঁর উদ্‌যাপনআইসিসি

মাত্র ১০৬ রান করলেও নেপালের বিপক্ষে জিততে আত্মবিশ্বাসী ছিল বাংলাদেশ দল—জানিয়েছেন ম্যাচসেরা তানজিম হাসান ও নাজমুল হোসেন। সেন্ট ভিনসেন্টের কিংসটাউনে নেপালকে ২১ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের সুপার এইটে চলে গেছে বাংলাদেশ।

তৃতীয় ওভারে ৩ বলের মধ্যে ২ উইকেট নিয়ে নেপালকে চাপে ফেলেন তানজিম। সেটি আবার করেন মেডেন। নিজের পরের ওভারেও কোনো রান না দিয়ে তানজিম নেন আরেকটি উইকেট। সব মিলিয়ে মাত্র ৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন এই পেসার, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যেটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা বোলিং ফিগার।

আরও পড়ুন

ম্যাচসেরার পুরস্কার নিতে এসে তানজিম নিজের বোলিং প্রসঙ্গে বলেন, ‘আমি শুধু আক্রমণাত্মক হতে চেয়েছি এবং পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে চেয়েছি। নজর সেদিকেই ছিল।’

দলের পরিকল্পনা নিয়ে তানজিম বলেছেন, ‘আমরা সবকিছু সরল রাখতে চেয়েছি। ভালো জায়গায় বোলিং করতে চেয়েছি, আতঙ্কগ্রস্ত হতে চাইনি। আমরা জানতাম, এ স্কোর ডিফেন্ড করতে পারব। সেটি করতে পেরেছি।’

আমরা জানি ডিফেন্ড করতে পারব, যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি। বোলারদের এটিই বলেছি।
নাজমুল হোসেন, বাংলাদেশ অধিনায়ক

সেন্ট ভিনসেন্টের উইকেটে ব্যাটিং সহজ ছিল না সেভাবে। পেসাররা মুভমেন্ট পেয়েছেন, স্পিনাররা পেয়েছেন টার্ন ও বাউন্সের দেখা। নেপাল ১৫.৩ ওভার স্পিনারদের দিয়ে করালেও বাংলাদেশ অবশ্য শুরুতে ভরসা রাখে পেসের ওপর। সব মিলিয়ে ১৯.২ ওভারের মধ্যে মাত্র ৭.২ ওভার করেন স্পিনাররা।

দ্রুত উইকেট তুলে নিয়ে নেপালকে চাপে ফেলেছে বাংলাদেশ
বিসিবি

নাজমুল জানিয়েছেন, দ্রুত উইকেট নিতে চেয়েছেন তাঁরা, ‘আমরা রান বেশি করছি না। কিন্তু আমরা জানি ডিফেন্ড করতে পারব, যদি দ্রুত উইকেট নিতে পারি। বোলারদের এটিই বলেছি।’

বাংলাদেশের বোলিং আক্রমণকে তানজিম বলেছেন ‘একেবারে সুন্দর’। আর নাজমুলের ভাষায়, ‘আমাদের সবই আছে। সব ফাস্ট বোলার কঠোর পরিশ্রম করেছে গত দু-তিন বছরে। এ সংস্করণে বোলিং বিভাগ বেশ গুরুত্বপূর্ণ। আশা করি, তারা ফর্মটা বয়ে নেবে।’

আরও পড়ুন

বাংলাদেশের বোলিংয়ের প্রশংসা করেছেন নেপাল অধিনায়ক রোহিত পৌড়েলও, ‘নতুন বলে বাংলাদেশ সত্যিই ভালো বোলিং করেছে এবং আমরা এরপর চাপে পড়ে গেছি। তারা আমাদের চ্যালেঞ্জ জানিয়েছে।’

ব্যাটিংয়ে নাজমুল নিজেও রানখরায় ভুগছেন
আইসিসি

সব দিক থেকে বোলিংয়ের প্রশংসা এলেও বাংলাদেশ দলের ব্যাটিং নিয়ে দুশ্চিন্তা থেকেই যাচ্ছে। এ ম্যাচেও প্রথম বলে উইকেট হারানোর পর থেকে সেভাবে গতি পায়নি ইনিংস। শেষ পর্যন্ত ১০৬ রান করলেও তাতে আছে নিচের দিকের ব্যাটসম্যানদের অবদান। এমন উইকেটে ১২০-১৩০ রান চ্যালেঞ্জিং স্কোর হবে, সেটিও বোঝা যাচ্ছিল আগে থেকেই। তবে সে পর্যন্তও যেতে পারেনি বাংলাদেশ।

নাজমুলের আশা, পরের পর্বে ব্যাটিংয়ে ফর্মটা বদলাবে তাঁদের, ‘এ পর্বে যেভাবে খেলেছি, তাতে খুশি। আশা করি, আমাদের বোলিং পারফরম্যান্সটা ধরে রাখতে পারব। আশা করি, আমাদের ব্যাটিং পারফরম্যান্স পরের পর্বে ভালো হবে।’