শ্রীলঙ্কা প্রথম ইনিংসে তুলেছিল ৩৫৫ রান। জবাবে প্রথম ইনিংসে ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলে নিউজিল্যান্ড। সেখান থেকে মিচেলের সেঞ্চুরি ও ম্যাট হেনরির ৭২ রানে ১৮ রানের লিড পায় নিউজিল্যান্ড। ১৮ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শ্রীলঙ্কা দ্বিতীয় ইনিংসে স্কোরবোর্ড তোলে ৩০১ রান।

দ্বিতীয় ইনিংসে শ্রীলঙ্কার স্কোরটা আরও বড় হতে পারত। ৩ উইকেটে ৮৩ রান নিয়ে চতুর্থ দিনে ব্যাট করতে নেমে শুরুর দিকে প্রবাত জয়াসুরিয়াকে হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে এরপর ম্যাথুস ও দীনেশ চান্ডিমাল মিলে ১০৫ রানের জুটি গড়েন।

চান্ডিমালের পর ধনঞ্জয়া ডি সিলভার সঙ্গে ৬০ রানের জুটি গড়েন ম্যাথুস। তবে ম্যাথুসের বিদায়ের পর লোয়ার অর্ডার ব্যাটসম্যানরা স্কোরটাকে বেশি দূর টেনে নিয়ে যেতে পারেননি। শেষ ৪২ রান তুলতে খুইয়েছে ৪ উইকেট। শেষ পর্যন্ত ডি সিলভা সঙ্গীর অভাবে অপরাজিত থাকেন ৪৭ রানে।

এদিনও বড় ইনিংস খেলার সম্ভাবনা জাগিয়ে চান্ডিমাল ফিরেছেন ৪২ রান করে। ব্যাট হাতে শ্রীলঙ্কাকে অনেকটা একাই টেনেছেন ১১৫ রানের ইনিংস খেলা ম্যাথুস। ক্যারিয়ারে ১৪টি টেস্ট সেঞ্চুরির ৯টিই দেশের বাইরে করেছেন ম্যাথুস। নিউজিল্যান্ডের মাটিতে এটি তাঁর দ্বিতীয় সেঞ্চুরি।

প্রথম ইনিংসে কোনো উইকেট না পাওয়া ব্লেয়ার টিকনার দ্বিতীয় ইনিংসে পেয়েছেন ৪ উইকেট। টপ অর্ডারের তিন উইকেট নেওয়ার পর চতুর্থ দিনে শুরুতে জয়াসুরিয়ার উইকেট নেন এই পেসার। অধিনায়ক টিম সাউদি নিয়েছেন ২ উইকেট। ম্যাথুসের গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটি নিয়েছেন ম্যাট হেনরি।