খাজার ‘শান্তির প্রতীকেও’ আপত্তি আইসিসির

মেলবোর্নে আজ অনুশীলনে জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রার স্টিকার লাগিয়ে ব্যাট করেছেন উসমান খাজাএএফপি

পার্থে অস্ট্রেলিয়া-পাকিস্তান সিরিজের প্রথম টেস্ট শুরুর আগে অনেকটা আলোচনা ছিল উসমান খাজাকে নিয়েই। জুতায় ইসরায়েলি আগ্রাসনে ক্ষতবিক্ষত ফিলিস্তিনের জন্য সহানুভূতি জানিয়ে স্লোগান লিখে টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন খাজা। ‘রাজনৈতিক’ কারণ দেখিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ওপেনারকে তখন অনুমতি দেয়নি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট সংস্থা আইসিসি।

দুই দিন পর মেলবোর্নে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামবে অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান। সেই ম্যাচের আগেও আবার আলোচনায় খাজার নাম। কোনো স্লোগান নয়, এবার নিজের ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীকের স্টিকার লাগিয়ে বক্সিং ডে টেস্টটা খেলতে চেয়েছিলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এই ক্রিকেটার। তবে অস্ট্রেলিয়ার সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে আইসিসি খাজাকে সেই অনুমতিও দেয়নি।

মেলবোর্নে আজ ব্যাটে ও জুতায় শান্তির প্রতীক পায়রা ও ‘01: UDHF’ লেখা স্টিকার লাগিয়ে অনুশীলন করতে দেখা যায় খাজাকে। ‘সব মানুষ মুক্ত ও স্বাধীন হিসেবে জন্মগ্রহণ করে এবং মর্যাদা ও অধিকারেও তাঁরা সমান’—আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ঘোষণার রেফারেন্স হিসেবেই ‘01: UDHF’ সংকেতটা ব্যবহৃত হয়।

অস্ট্রেলিয়ার বেশ কটি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে গত কয়েক দিনে বেশ কয়বার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে এ নিয়ে কথা বলেছেন খাজা। কী ধরনের বার্তায় কোনো আপত্তি থাকবে না, মূলত সেটি নিয়েই ছিল বৈঠকগুলো।

প্রথম টেস্টটা কালো বাহুবন্ধনী পরে খেলেছেন উসমান খাজা
এএফপি

তবে দ্য অস্ট্রেলিয়ান ও মেলবোর্ন এইজ আজ জানিয়েছে খাজাকে এবারও অনুমতি দেয়নি আইসিসি। কী কারণ, সেটিও অবশ্য এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদমাধ্যমকে জানায়নি সংস্থাটি।

পার্থে প্রথম টেস্টের আগে জুতায় ‘স্বাধীনতাই মানবাধিকার’ ও ‘প্রতিটি জীবনের মূল সমান’ স্লোগান লিখে অনুশীলন করলেও ম্যাচে এমন কিছু করার অনুমতি মেলেনি খাজার। কারণ হিসেবে আইসিসি জানিয়েছিল রাজনৈতিক, ধর্মীয় ও জাতিগত কিছু নিয়ে বার্তা দেওয়া যাবে না।

আরও পড়ুন

৩৬ বছর বয়সী খাজা এরপর পার্থ টেস্টটা খেলেন কালো বাহুবন্ধনী লাগিয়ে। এই কারণে খাজাকে আনুষ্ঠানিকভাবে তিরস্কারও করেছিল আইসিসি। তবে খাজা ‘লড়াই’ চালিয়ে যাওয়ার কথাও বলেছিলেন তখন।

এই প্রতীকটা ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন খাজা
ফাইল ছবি

গাজায় ইসরায়েলের হামলা নিয়ে গত শুক্রবার কথা বলেছেন খাজা। অস্ট্রেলীয় ব্যাটসম্যান জানিয়েছেন এই ঘটনা কতটা প্রভাব ফেলেছে তাঁর মনোজগতে, ‘ইনস্টাগ্রামে চোখ রাখলেই দেখি নিরীহ শিশুরা মারা যাচ্ছে, প্রচণ্ডরকম মানসিক আঘাত পাই আমি। আমি কোনো উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন করতে এসব করছি না। আমি শুধু চাই, আমার মনের অবস্থাটা বোঝাতে, কী ঘটছে, তাতে আলোকপাত করতে।’

আরও পড়ুন