গুজরাট জিতল ঠিকই, তবে ‘রশিদ’ নামের মাথাব্যথাটা থেকেই গেল
গুজরাট টাইটানসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটার কে? একটা নাম বলা মুশকিল। তবে গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারদের একজন যে রশিদ খান, সেটা তো নিশ্চিত। সেই রশিদই এবারের আইপিএলে ছন্দে নেই। আজ আহমেদাবাদে সানরাইজার্স হায়দরবাদকে ৩৮ রানে হারানোর ম্যাচেও বেধড়ক পিটুনি খেয়েছেন রশিদ।
টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামা গুজরাট তুলেছিল ২২৪ রান। তাড়া করতে নেমে হায়দরাবাদ থেমেছে ১৮৬ রানে। এদিন ৩ ওভার বোলিং করে ৫০ রান দিয়েছেন রশিদ। যা ন্যূনতম এক ওভার করেছেন এমন ম্যাচে রশিদের ওভারপ্রতি রান দেওয়ার সর্বোচ্চ রেকর্ড। এবারের আইপিএলে রশিদ ১০ ম্যাচে উইকেট নিয়েছেন মাত্র ৭টি। ওভারপ্রতি খরচ করেছেন ৯ রানের বেশি।
রশিদ সেরা ছন্দে না থাকলেও আজ জ্বলে উঠেছিলেন গুজরাটের অন্য বোলাররা। গুজরাট পেসার প্রসিধ কৃষ্ণা ৪ ওভারে ১৯ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। মোহাম্মদ সিরাজ ৩৩ রানে নেন ২ উইকেট। শুরুটা ভালো করলেও তাঁদের বোলিং তোপে বেশি দূর এগোতে পারেননি ট্রাভিস হেড ও অভিষেক শর্মারা। ৪১ বলে ৭৪ রান করেন অভিষেক। হাইনরিখ ক্ল্যাসেন ছিলেন ব্যর্থ। করেছেন ১৮ বলে ২৩ রান।
আগে ব্যাট করা গুজরাট যেভাবে শুরু করেছিল তাতে তাদের মোট রান কমই হয়েছে বলতে হবে। ২৩ বলে ৪৮ রান করে গুজরাট ওপেনার সাই সুদর্শন যখন আউট হন, তাদের দলীয় রান তখন ৬.৫ ওভারে ৮৭। আরেক ওপেনার শুবমান গিল করেন ৩৮ বলে ৭৬।
রান আউটে কাটা পড়ে গিল আউটের সময়ে গুজরাটের রান ১৩ ওভারে ১৪৯। মানে শেষ ৭ ওভারে গুজরাট তুলেছে ৭৫ রান। এমন শুরুর পর যা কিছুটা কমই। গুজরাট এই রান তুলেছে শেষদিকে পাওয়া জস বাটলারের ফিফটিতে। ৩৭ বলে ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন বাটলার।
১০ ম্যাচে এটি গুজরাটের সপ্তম জয়। হায়দরাবাদের সপ্তম হার। এই হারে টুর্নামেন্ট থেকে অনেকটাই ছিটকে গেছে তারা।