হেটমায়ার যেন ‘বাজপাখি’

অবিশ্বাস্য দক্ষতায় ক্যাচটি নেন হেটমায়ারছবি: এএফপি

নিউজিল্যান্ডের ইনিংসে তখন অষ্টম ওভারের খেলা চলছিল। ওডেন স্মিথ অফস্টাম্পের বেশ বাইরে বল করেছিলেন। কিউই ওপেনার মার্টিন গাপটিল সুযোগ ছাড়বেন কেন!

বেশ জোরে বাতাসে ভাসিয়ে কাট করেন গাপটিল। তাঁর দুর্ভাগ্য, পয়েন্টে বাউন্ডারি সীমানায় ফিল্ডিং করা শিমরন হেটমায়ার কীভাবে যেন বাজপাখি হয়ে গেলেন!

গাপটিল একটু বেশি ওপরে খেলে ফেলেছিলেন। সে কারণে বল সীমানা পার হওয়ার আগেই নিচে নেমে আসছিল। তবে সীমানায় দাঁড়িয়ে ক্যাচ নেওয়ার মতো ছিল না। হেটমায়ার উপস্থিত বুদ্ধির প্রয়োগ ঘটান। বলের ফ্লাইট বুঝে একদম সময়মতো লাফটা দেন। শূন্যে থাকতেই তাঁর বাঁ হাতটা ততক্ষণে সীমানার বাইরে থেকে বলটা লুফে নিয়েছে! বাজপাখি যেভাবে ছোঁ মেরে শিকার ধরে, হেটমায়ারের ক্যাচটা দেখতে ঠিক তেমনই ছিল। এমন ক্যাচ প্রতিদিন দেখা যায় না।

হেটমায়ার ক্যাচটা ধরতে পেরে খুশি হলেও ম্যাচের ফলাফলে নিশ্চয়ই খুশি হবেন না। কাল জ্যামাইকার স্যাবাইনা পার্কে সিরিজের প্রথম টি–টোয়েন্টিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ১৩ রানে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। আগে ব্যাট করতে নেমে ৫ উইকেটে ১৮৫ রান তোলে কেইন উইলিয়ামসনের দল। তাড়া করতে নেমে ৭ উইকেটে ১৭২ রানে থেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। স্পিনবান্ধব হয়ে ওঠা উইকেটে ১৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা কিউই স্পিনার মিচেল স্যান্টনার।

বৃষ্টিবিঘ্নিত এ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শেষটা দারুণ করেন উইলিয়ামসন ও জিমি নিশাম। গাপটিল ও ডেভন কনওয়ের ৪৫ বলে ৬২ রানের ওপেনিং জুটি ভাঙার পর উইকেটে আসেন উইলিয়ামসন। ওডেন স্মিথের সেই অষ্টম ওভারে টানা দুই বলে ফিরে যান গাপটিল (১৬) ও কনওয়ে (৪৩)। এরপর গ্লেন ফিলিপসের সঙ্গে ৩৬, ড্যারিল মিচেলের (১৬) সঙ্গে ৪৬ রানের জুটি গড়েন উইলিয়ামসন।

ষষ্ঠ উইকেটে নিশামের সঙ্গে উইলিয়ামসনের অবিচ্ছিন্ন ১৫ বলে ৩৬ রানের জুটিতে বড় সংগ্রহ পেয়ে যায় নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ড ২ উইকেটে ৯৫ রানে থাকতে বৃষ্টির কারণে খেলা প্রায় দুই ঘণ্টা বন্ধ ছিল। জেসন হোল্ডারের করা শেষ ওভারের শেষ তিন বলে তিন চার মারেন নিশাম। ওই ওভারে ২৩ রান তুলেছে নিউজিল্যান্ড।

তাড়া করতে নেমে ওপেনার শামারা ব্রুকসের কাছ থেকে ৪৩ বলে ৪২ রানের ইনিংস পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কিন্তু মিডল অর্ডারে কেউ দাঁড়াতে পারেননি। অষ্টম উইকেট জুটিতে এসে মূলত পাল্টা লড়াই করেছেন ক্যারিবিয়ানরা। রোমারিও শেফার্ড ও ওডেন স্মিথ মিলে ২৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৫৮ রানের জুটি গড়েন।

জয়ের জন্য শেষ তিন ওভারে ৬২ রানের সমীকরণ বেশি কঠিন হয়ে গিয়েছিল দুজনের জন্য। তাই লড়াই করেও হয়নি। ৩ ছক্কা ও ১ চারে ১৬ বলে ৩১ রানে অপরাজিত ছিলেন শেফার্ড। ১২ বলে ২৭ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ।