- ১১ রানে হেরে বাংলাদেশের বিদায়, ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল
- শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার
- ৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের
- শামীমও গেলেন, ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের
- নুরুলের বিদায়, ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের
- বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৫৮/৪
- চতুর্থ উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ, মেহেদীর বিদায়
- সাইফেরও বিদায়, বিপদে বাংলাদেশ
- হৃদয়কেও ফেরালেন আফ্রিদি
- প্রথম ছক্কা সাইফের
- আবারও প্রথম ওভারে উইকেট আফ্রদির, পারভেজ আউট
- ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
- কঠিন ক্যাচ নিয়ে নেওয়াজকে ফেরালেন সেই পারভেজ
- হারিস–নেওয়াজের জুটি ভাঙলেন মেহেদী
- হারিস–নেওয়াজে ১০০ পেরিয়েছে পাকিস্তান
- ফিরলেন সেই আফ্রিদি
- সেই আফ্রিদির ব্যাটে ছক্কা
- এক ওভারে তিনবার বাঁচলেন আফ্রিদি
- ৫০ রানের আগেই ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের
- রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট, পাকিস্তান ১০ ওভারে ৪৬/৪
- সাইম আইয়ুবের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড
- পাওয়ার প্লেতে ২৭ রান পাকিস্তানের
- পাঁচ ওভারে পাকিস্তান ২১/২
- সাকিব, মোস্তাফিজের পর তাসকিন
- সাইমকে চতুর্থ শূন্য উপহার দিলেন মেহেদী
- চতুর্থ বলেই উইকেট, তাসকিনের ‘১০০’
- টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
- বাংলাদেশ–পাকিস্তান ‘সেমিফাইনালে’ স্বাগতম
১১ রানে হেরে বাংলাদেশের বিদায়, ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল
অবশেষ এশিয়া কাপে ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল!
‘সেমিফাইনাল’ হয়ে যাওয়া সুপার ফোরের পঞ্চম ম্যাচে বাংলাদেশকে ১১ রানে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে পাকিস্তান। তাতে ৪১ বছরের ইতিহাসের প্রথমবার ভারত–পাকিস্তান ফাইনাল দেখতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। রোববার দুবাইয়েই ফাইনাল।
শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার ছিল ১ উইকেট হাতে থাকা বাংলাদেশের। হারিস রউফের করা প্রথম বলে বাই থেকে আসে ১ রান, স্ট্রাইকে আসেন রিশাদ হোসেন। দ্বিতীয় বলে চার মেরে দেওয়া রিশাদ তৃতীয় বলে রান নেননি। ৩ বলে যখন ১৮ রান দরকার, বিশাল এক ছক্কা মেরে দেন রিশাদ, তাতে ২ বলে প্রয়োজন নেমে আসে ১২ রানে। শেষ ২ বলে ব্যাটে বলই লাগাতে পারেননি রিশাদ। তাতে বাংলাদেশ থামে ৯ উইকেটে ১২৪ রান তুলে।
এর আগে ২০১১ সালে মিরপুরে ১৩৫ রান করেই বাংলাদেশকে ৫০ রানে হারিয়েছিল পাকিস্তান। ১৪ বছর পর একই স্কোর করে পাকিস্তান জিতল ১১ রানে।
ফিল্ডিংয়ে শাহিন আফ্রিদি ও মোহাম্মদ নেওয়াজকে একাধিকবার জীবন দেওয়ার চড়া মূল্যই দিতে হলো বাংলাদেশকে। ব্যাটিংটাও ভালো হয়নি। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩০ রান করেছেন শামীম হোসেন, সেটিও ২৫ বলে।
পাকিস্তানি পেসার শাহিন আফ্রিদি ও দুই স্পিনার মোহাম্মদ নেওয়াজ এবং সাইম আইয়ুবই মূলত ডানা মেলতে দেননি বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের। এই তিন বোলার ১১ ওভারে ৪৭ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (হারিস ৩১, নেওয়াজ ২৫, আফ্রিদি ১৯, সালমান ১৯, ফাহিম ১৪*, ফখর ১৩; তাসকিন ৩/২৮, রিশাদ ২/১৮, মেহেদী ২/২৮, মোস্তাফিজ ১/৩৩)।
বাংলাদেশ: ২০ ওভারে ১২৪/৯ (শামীম ৩০, সাইফ ১৮, নুরুল ১৬, রিশাদ ১৬*, মেহেদী ১১, তানজিম ১০; আফ্রিদি ৩/১৭, রউফ ৩/৩৩, সাইম ২/১৬, নেওয়াজ ১/১৪)।
ফল: পাকিস্তান ১১ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শাহিন শাহ আফ্রিদি।
শেষ ওভারে ২৩ রান দরকার
১ ওভারে ২৩ রান নেওয়ার অবিশ্বাস্য কাজ কী করতে পারবেন মোস্তাফিজ ও রিশাদ! বল করছেন হারিস রউফ
১ম বল—লেগ বাই ১ রান
২য় বল—রিশাদ ৪ রান
৩য় বল—ডট
৪র্থ বল—রিশাদের ছক্কা!
৫ম বল—ডট
৬ষ্ঠ বল—ডট
৯ উইকেট নেই বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ১৮ ওভারে ১০৩/৯
তানজিম হাসানকে বোল্ড করে বাংলাদেশের বিপদ বাড়িয়েছেন হারিস রউফ। ৯৭ রানে ৮ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। এরপর তাসকিন নেমেই চার মারলেও পরের বলেই বোল্ড হয়েছেন রউফের বলেই। ১০১ রানে ৯ উইকেট খোয়ানো বাংলাদেশকে ১ উইকেট হাতে নিয়ে শেষ ১২ বলে করতে হবে ৩৩ রান।
শামীমও গেলেন, ৭ উইকেট নেই বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ১৭ ওভারে ৯৭/৭
কী শট খেললেন শামীম হোসেন! শাহিন আফ্রিদির করা ১৭তম ওভারে পঞ্চম বলটি ছিল স্লোয়ার। সেই বলে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে হুসেইন তালাতকে ক্যাচিং প্র্যাকটিস করালেন শামীম। ৯৭ রানে ৭ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। উইকেটে এখন তানজিম ও রিশাদ।
ম্যাচ জিততে ১৮ বলে ৩৯ রান দরকার বাংলাদেশের।
৪ ওভারে বাংলাদেশের দরকার ৪৬ রান
সাইম আইয়ুবের করা ১৬তম ওভারে এসেছে ৫ রান। পাকিস্তানি অফ স্পিনার ৪ ওভারে দিয়েছেন ১৬ রান, নিয়েছেন ২ উইকেট।
অবিবেচকের মতো আউট জাকের, ৬ উইকেট হারাল বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ১৫ ওভারে ৮৫/৬
অবিশ্বাস্য এক শট খেলে লং অফে মোহাম্মদ নেওয়াজকে ক্যাচ দিলেন জাকের আলী। ৭৩ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ঘোর বিপদে বাংলাদেশ। ৯ বলে ৫ রান করেছেন জাকের। শেষ ৬ ওভারে ৬৩ রান দরকার বাংলাদেশের। ব্যাটিংয়ে নেমেছেন তানজিম।
আবরার আহমেদের করা ১৫তম ওভারে শামীম–তানজিম তুলেছেন ১২ রান। তাতে শেষ ৩০ বলে বাংলাদেশের প্রয়োজন দাঁড়িয়েছে ৫১ রান।
নুরুলের বিদায়, ৫ উইকেট নেই বাংলাদেশের
বাংলাদেশ: ১৩ ওভারে ৬৮/৫
৬৩ রানে পঞ্চম উইকেট হারাল বাংলাদেশ। সাইম আইয়ুবকে ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে মোহাম্মদ নেওয়াজের ক্যাচ হয়েছেন নুরুল হাসান। ২১ বলে ১৬ রান করেছেন দলে ফেরা নুরুল। শেষ ২ ওভারে মাত্র ৬ রান তুলতে পেরেছে বাংলাদেশ। নেওয়াজের করা পরের ওভারে এসেছে ৪ রান।
৪২ বলে ৬৮ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশ ১০ ওভারে ৫৮/৪
প্রথম ১০ ওভারে পাকিস্তানের স্কোর ছিল ৪৬/৪, সমান উইকেট হারিয়ে প্রথম ১০ ওভারে বাংলাদেশ ১২ রান বেশি করেছে। ম্যাচ জিতে ফাইনালে যেতে শেষ ১০ ওভারে ৭৮ রান দরকার বাংলাদেশের।
বাংলাদেশের হয়ে ব্যাট করছেন নুরুল হাসান ও শামীম হোসেন। দুজনেই ১টি করে ছক্কা মেরেছেন। আবরার আহমেদের করা ১০ম ওভারে ৯ রান নিয়েছেন দুজন, একটি ছক্কা মেরেছেন শামীম।
চতুর্থ উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ, মেহেদীর বিদায়
বাংলাদেশ: ৮ ওভারে ৪৪/৪
আরেকটি উইকেট হারাল বাংলাদেশ। অষ্টম ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের বলে হুসেইন তালাতকে ক্যাচ প্র্যাকটিস করিয়েছেন মেহেদী হাসান। ১০ বলে ১১ রান করে দলকে ৪৪ রানে রেখে ফিরলেন মেহেদী। ব্যাটিংয়ে নেমেছে শামীম হোসেন।
সাইফেরও বিদায়, বিপদে বাংলাদেশ
বাংলাদেশ: ৭ ওভারে ৩৮/৩
হৃদয়ের পর সাইফ হাসানও গেলেন। ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারিয়ে বিপদেই পড়েছে বাংলাদেশ। হৃদয়ের মতোই ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে সাইম আইয়ুবের ক্যাচ হয়েছেন ১৫ বলে ১৮ রান করা সাইফ। উইকেটটি পেয়েছেন হারিস রউফ। পরের বলেই থার্ড ম্যান দিয়ে ছক্কা মেরেছেন নুরুল হাসান। পাওয়া প্লেতে ৩৬ রান তুলেছে বাংলাদেশ।
হৃদয়কেও ফেরালেন আফ্রিদি
বাংলাদেশ: ৫ ওভারে ২৯/২
হারিস রউফের করা আগের ওভারে চার–ছক্কায় ১০ রান নিয়েছিলেন সাইফ হাসান। পরের ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানি ফিল্ডারদের হাস্যকর ব্যর্থতায় নিশ্চিত রানআউট হওয়া থেকে রক্ষা পেয়েছেন বাংলাদেশ ওপেনার। তবে পরের বলেই উইকেট হারিয়েছে বাংলাদেশ। শাহিন আফ্রিদির বলে সাইম আইয়ুবকে ক্যাচ দিয়েছেন তাওহিদ হৃদয় (১০ বলে ৫ রান)। ২৩ রান দ্বিতীয় উইকেট খোয়াল বাংলাদেশ। দুই বল পর ছক্কা মেরেছেন মাত্রই উইকেটে আসা মেহেদী হাসান।
প্রথম ছক্কা সাইফের
বাংলাদেশ: ৩ ওভারে ১৩/১
ফাহিম আশরাফের করা দ্বিতীয় ওভারের পঞ্চম বলে ইনিংসের প্রথম ছক্কা মেরেছেন সাইফ হাসান। মিড অন দিয়ে ছক্কাটি মেরেছেন সাইফ।
শাহিন আফ্রিদির করা পরের ওভারে এসেছে ৪ রান।
আবারও প্রথম ওভারে উইকেট আফ্রদির, পারভেজ আউট
বাংলাদেশ: ১ ওভারে ১/১
ফাঁদ পেতে পারভেজ হোসেনের উইকেট শিকার করলেন শাহিন শাহ আফ্রিদি। ইনিংসের পঞ্চম বলটি লাফিয়ে উঠেছিল। সেই বলে লেগ সাইডে উড়িয়ে মারতে গিয়ে ব্যাকওয়ার্ড স্কয়ার লেগে মোহাম্মদ নেওয়াজের দারুণ এক ক্যাচের শিকার হয়েছেন পারভেজ। ১ রানে প্রথম উইকেট হারাল বাংলাদেশ, ২ বলে শূন্য রানে ফিরলেন পারভেজ। উইকেটে এসেছেন তাওহিদ হৃদয়।
এ নিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথম ওভারে ২২ উইকেট পেলেন আফ্রিদি।
ফাইনালে উঠতে ১৩৬ রানের লক্ষ্য পেল বাংলাদেশ
মোস্তাফিজুর রহমানের করা শেষ ওভারে ১১ রান তুলে বাংলাদেশকে ১৩৬ রানের লক্ষ্য দিয়েছে পাকিস্তান। ৮ উইকেটে ১৩৫ রান করেছে পাকিস্তান। প্রথম ১০ ওভারে ৪ উইকেটে ৪৬ রান তোলা দলটি শেষ ১০ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে যোগ করেছে ৮৯ রান।
গোটা তিনেক ক্যাচ ছাড়ার মূল্যই দিল বাংলাদেশ। শূন্য রানে জীবন পেয়ে ১৫ বলে ২৫ রান করেছেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। দুবার ক্যাচ তুলেও ১ ও ২ রানে জীবন পাওয়া শাহিন আফ্রিদি করেছেন ১৯ রান। আর তাতেই কচ্ছপগতির শুরু করেও শেষ পর্যন্ত ১৩০ ছাড়িয়েছে পাকিস্তান।
টি–টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথমে ব্যাট করে এটি পাকিস্তানের তৃতীয় সর্বনিম্ন ইনিংস। ২০১১ সালে মিরপুরেও একবার ১৩৫ করেছিল দলটি। সেই ম্যাচটি ৫০ রানে জিতেছিল পাকিস্তান। পুরো ২০ ওভার খেলে ৯ উইকেটে ৮৫ রান করতে পেরেছিল বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান: ২০ ওভারে ১৩৫/৮ (হারিস ৩১, নেওয়াজ ২৫, আফ্রিদি ১৯, সালমান ১৯, ফাহিম ১৪*, ফখর ১৩; তাসকিন ৩/২৮, রিশাদ ২/১৮, মেহেদী ২/২৮, মোস্তাফিজ ১/৩৩)।
কঠিন ক্যাচ নিয়ে নেওয়াজকে ফেরালেন সেই পারভেজ
পাকিস্তান: ১৯ ওভারে ১২৪/৮
১৪তম ওভারে শেষ বলে তাসকিন আহমেদের বলে শূন্য রানে সহজ ক্যাচ তুলেও পারভেজ হোসেনের সৌজন্যে বেঁচে গিয়েছিলেন মোহাম্মদ নেওয়াজ। পাকিস্তানি অলরাউন্ডার ২৫ রান যোগ করে ফিরলেন সেই পারভেজকে ক্যাচ দিয়েই। উইকেটটি পেয়েছেন তাসকিনই। ১৯তম ওভারের দ্বিতীয় বলে এক্সট্রা কাভার থেকে অনেকটা পেছনে দৌড়ে দারুণ এক ক্যাচ নিয়েছেন পারভেজ। ১২০ রানে অষ্টম উইকেট হারিয়েছে পাকিস্তান। তাসকিন পেলেন তৃতীয় উইকেট। বাংলাদেশ পেসার ৪ ওভারে খরচ করেছেন ২৮ রান।
হারিস–নেওয়াজের জুটি ভাঙলেন মেহেদী
পাকিস্তান: ১৮ ওভারে ১১৪/৭
১৮তম ওভারের প্রথম বলে মোহাম্মদ নেওয়াজ ছক্কা মেরেছিলেন মেহেদী হাসানকে। বাংলাদেশের অফ স্পিনার তৃতীয় বলে ফিরতি ক্যাচ নিয়ে ফিরিয়েছেন মোহাম্মদ হারিসকে। ১০৯ রানে ৭ উইকেট হারাল পাকিস্তান। ২৩ বলে ৩১ রান করেছেন পাকিস্তানের উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান। ওভারটায় ১২ রান দিয়েছেন মেহেদী। ৪ ওভারে ২৮ রানে ২ উইকেট নিয়ে বোলিং শেষ করলেন এই অফ স্পিনার।
হারিস–নেওয়াজে ১০০ পেরিয়েছে পাকিস্তান
পাকিস্তান: ১৭ ওভারে ১০২/৬
৭১ রানে ৬ উইকেট খোয়ানো পাকিস্তানকে টেনে তুলছেন দুই মোহাম্মদ, হারিস ও নেওয়াজ। মোস্তাফিজের করা ১৬তম ওভারে ১১ রান তোলা দুই ব্যাটস্যান ১৭তম ওভারের পঞ্চম বলে ১০০ এনে দিয়েছেন পাকিস্তান। ১০০তম রানটি নেওয়ার পর ১০১তম রানটি নিতে গিয়ে প্রায় রানআউট হয়ে গিয়েছিলেন নন স্ট্রাইকিং ব্যাটসম্যান হারিস। পারভেজ হোসেন ভুল প্রান্তে বল ছোড়ায় বেঁচে গেছেন।
ফিরলেন সেই আফ্রিদি
পাকিস্তান: ১৬ ওভারে ৯৪/৬
অবশেষে শাহিন আফ্রিদির ক্যাচ নিতে পারল বাংলাদেশ। খালি হাতে নয়, গ্লাভস হাতেই ক্যাচ নিয়ে আফ্রিদিকে ফিরিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। নিজের জায়গা ছেড়ে অনেকটা সামনে গিয়ে তাসকিনের বলে ক্যাচটি নিয়েছেন জাকের। ১৩ বলে ১৯ রান করে ষষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরলেন আফ্রিদি।
৭১ রানে ৬ উইকেট তুলে নেওয়া বাংলাদেশ ওই ওভারে সুযোগ হারিয়েছে আরেকটি উইকেট নেওয়ার। ওভারের শেষ বলে মোহাম্মদ নেওয়াজের তোলা সহজ ক্যাচটি তো নিতেই পারেননি পারভেজ হোসেন, উল্টো বানিয়ে দিয়েছেন চার।
তাসকিনের করা ১৪তম ওভারে ১০ ও রিশাদের করা ১৫তম ওভারে এসেছে ৮ রান।
সেই আফ্রিদির ব্যাটে ছক্কা
পাকিস্তান: ১৩ ওভারে ৬৫/৫
দুই–দুইটি ক্যাচ ছাড়ার মূল্য কতটা দিতে হয় কে জানে! আগের ওভারে দুবার ক্যাচ তুলেও বেঁচে যাওয়া শাহিন আফ্রিদি তানজিম হাসানের করা ১৩তম ওভারে তৃতীয় বলে বিশাল এক ছক্কা মেরে দিয়েছেন।
আফ্রিদি ছক্কা মেরেছেন তাসকিন আহমেদের করা পরের ওভারের প্রথম বলেও।
এক ওভারে তিনবার বাঁচলেন আফ্রিদি
পাকিস্তান: ১২ ওভারে ৫৫/৫
রিশাদ হোসেনের করা ১২তম ওভারের প্রথম বলে এক্সট্রা কাভারে শাহিন আফ্রিদির সহজ ক্যাচ নিতে পারেননি নুরুল হাসান। পরের বলে পাকিস্তান ব্যাটসম্যান বেঁচেছেন আম্পায়ার্স কলের কারণে। আর পঞ্চম বলে আকাশে তুলেও মেহেদী হাসানের ব্যর্থতায় বেঁচে গেছেন আফ্রিদি। ১ রানে প্রথম দুবার বেঁচে যাওয়া আফ্রিদি তৃতীয়বার বেঁচেছেন ২ রানে।
৫০ রানের আগেই ৫ উইকেট নেই পাকিস্তানের
পাকিস্তান: ১১ ওভারে ৫১/৫
সালমান আগার ব্যাট ছুঁয়ে বলটি চলে গিয়েছিল উইকেটকিপার জাকের আলীর গ্লাভসে। আম্পায়ার আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়েই উইকেটটি পেয়ে গেছে বাংলাদেশ। উইকেটটি পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪৯ রানে পঞ্চম উইকেট খোয়াল পাকিস্তান। ২৩ বলে ১৯ রান করেছেন পাকিস্তান অধিনায়ক।
রিশাদের দ্বিতীয় উইকেট, পাকিস্তান ১০ ওভারে ৪৬/৪
পাকিস্তান: ১০ ওভারে ৪৬/৪
নিজের দ্বিতীয় ওভারেও উইকেট পেয়েছেন রিশাদ হোসেন। বাংলাদেশের লেগ স্পিনার হুসেইন তালাতকে সাইফ হাসানের ক্যাচ বানিয়েছেন। সামনে এগিয়ে এসে মাটির সামান্য ওপর থেকে ক্যাচটি নিয়েছেন সাইফ। ৩৩ রানে ৪ উইকেট হারাল পাকিস্তান।
মেহেদী হাসানের করা দশম ওভারে এসেছে ৯ রান। পাকিস্তানের ইনিংসে এক ওভারে এটিই সর্বোচ্চ।
সাইম আইয়ুবের অনাকাঙ্ক্ষিত রেকর্ড
এবারের এশিয়া কাপে চারবার শূন্য রানে আউট হয়েছেন পাকিস্তানের সাইম আইয়ুব। যা আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে এক সিরিজ বা টুর্নামেন্টে যৌথভাবে সর্বোচ্ছ। টেস্ট খেলুড়ে দলের মধ্যে সাইমই প্রথম।
প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন রিশাদও
পাকিস্তান: ৭ ওভারে ২৯/৩
তাসকিন আহমেদ ও মেহেদী হাসানের মতো নিজের প্রথম ওভারে উইকেট পেলেন রিশাদ হোসেনও। বাংলাদেশের লেগ স্পিনারের শিকার ফখর জামান। ছক্কা মারতে গিয়ে লং অফে ক্যাচ দিয়েছেন ২১ বলে ১৩ রান করা ফখর। ২৯ রানে তৃতীয় উইকেট হারাল পাকিস্তান।
পাওয়ার প্লেতে ২৭ রান পাকিস্তানের
২০২২ টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম ৬ ওভারে ৩৫ রান তুলেছিল পাকিস্তান। এত দিন বাংলাদেশের বিপক্ষে পাওয়ার প্লেতে সেটিই ছিল পাকিস্তানের সর্বনিম্ন। আজ ২৭ রান তুলে সর্বনিম্ন রানের রেকর্ডটা নতুন করে লিখল পাকিস্তান।
পাঁচ ওভারে পাকিস্তান ২১/২
৫ রানেই ২ উইকেট খোয়ানো পাকিস্তান ইনিংসে এক–চতুর্থাংশ পথে পেরিয়ে ২ উইকেটে ২১ রান তুলেছে। সাহিবজাদা ফারহান ও সাইম আইয়ুবের বিদায়ের পর জুটি বেঁধেছেন ফখর জামান ও সালমান আগা।
সাকিব, মোস্তাফিজের পর তাসকিন
সাকিব আল হাসান ও মোস্তাফিজুর রহমানের পর বাংলাদেশের তৃতীয় বোলার হিসেবে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে ১০০ উইকেট পেলেন তাসকিন। সব দেশ মিলিয়ে তাসকিন এই মাইলফলকে ২৬তম।
পাকিস্তান: ৩ ওভারে ৯/২
সাইমকে চতুর্থ শূন্য উপহার দিলেন মেহেদী
পাকিস্তান: ২ ওভারে ৫/২
এক ম্যাচ পর দলে ফিরিয়েই প্রথম ওভারে উইকেট পেয়ে গেলেন মেহেদী হাসান। বাংলাদেশের অফ স্পিনার দ্বিতীয় ওভারের চতুর্থ বলে ফিরিয়েছেন ফর্ম হারিয়ে ফেলা সাইম আইয়ুবকে। তিন বলে শূন্য রানে ফেরা সাইমও ক্যাচ দিয়েছেন রিশাদকে, এবার মিড অনে। এবারের এশিয়া কাপে ছয় ম্যাচে এটি সাইমের চতুর্থ শূন্য। প্রথম তিন ম্যাচেই শূন্য রানে ফিরিছিলেন তিনি। ৫ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারাল পাকিস্তান।
চতুর্থ বলেই উইকেট, তাসকিনের ‘১০০’
পাকিস্তান: ১ ওভারে ৪/১
সাহিবজাদা ফারহানকে ব্যাকওয়ার্ড পয়েন্টে রিশাদ হোসেনের ক্যাচ বানিয়ে আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে উইকেটে সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন তাসকিন আহমেদ। আগের বলেই ৪ মেরে রানের খাতা খোলা সাহিবজাদা স্কয়ার ড্রাইভ করতে গিয়ে বলটা উঠিয়ে দেন রিশাদের হাতে। ৪ রানে প্রথম উইকেট হারাল পাকিস্তান। উইকেটে এসেছেন সাইম আইয়ুব।
টসে জিতে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
পাকিস্তানের বিপক্ষে ‘সেমিফাইনালে’ টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। আজও নেই মূল অধিনায়ক লিটন দাস। ভারতের বিপক্ষে খেলা ১১ জনের তিনজন নেই আজ। বাদ পড়েছেন নাসুম আহমেদ, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ও তানজিদ হাসান। দলে ফিরেছেন মেহেদী হাসান, নুরুল হাসান ও তাসকিন আহমেদ।
পাকিস্তান দলে কোনো পরিবর্তন নেই।
বাংলাদেশ দল
সাইফ হাসান, পারভেজ হোসেন, তাওহিদ হৃদয়, জাকের আলী (অধিনায়ক), শামীম হোসেন, নুরুল হাসান, রিশাদ হোসেন, মেহেদী হাসান, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ ও মোস্তাফিজুর রহমান।
পাকিস্তান দল
সাহিবজাদা ফারহান, ফখর জামান, সাইম আইয়ুব, হুসেইন তালাত, মোহাম্মদ নেওয়াজ, সালমান আগা (অধিনায়ক), ফাহিম আশরাফ, মোহাম্মদ হারিস (উইকেটকিপার), শাহিন আফ্রিদি, হারিস রউফ ও আবরার আহমেদ।
টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি
লিটন নেই আজও
পাকিস্তানের বিপক্ষে মহাগুরুত্বপূর্ণ ম্যাচেও অধিনায়ক লিটন দাসকে পাচ্ছে না বাংলাদেশ। তাই ভারত ম্যাচের মতো আজ পাকিস্তানের বিপক্ষেও নেতৃত্ব দেবেন জাকের আলী। তবে আজ উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে দাঁড়াতে পারেন নুরুল হাসান।
বাংলাদেশ–পাকিস্তান ‘সেমিফাইনালে’ স্বাগতম
ভারত ফাইনালে উঠে গেছে। রোববারের ফাইনালে বাংলাদেশ না পাকিস্তান, কারা হবে ভারতের প্রতিপক্ষ সেটি নির্ধারিত হবে আজ। সুপার ফোরের পঞ্চম ম্যাচটি তাই কার্যত সেমিফাইনাল হয়ে গেছে। যার জিতবে তারা উঠবে ফাইনালে, যারা হারবে তারা বাদ পড়বে।