বিপিএল জাতীয় নির্বাচনের পর

গত মৌসুমে বিপিএল শিরোপা হাতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসের খেলোয়াড়দের ফটোসেশনছবি: ফাইল ছবি

গত বছরই পরের তিন বছরের বিপিএলের সময় জানিয়ে দিয়েছিল বিসিবি। পূর্বঘোষিত সূচি অনুযায়ী আগামী বিপিএল শুরু হওয়ার কথা ৬ জানুয়ারি, শেষ ১৭ ফেব্রুয়ারি। কিন্তু জাতীয় নির্বাচনের কারণে বিপিএল নির্ধারিত সময়ের এক-দুই সপ্তাহ পর শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছেন বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব ইসমাইল হায়দার মল্লিক। তবে বিপিএলের খেলোয়াড় ড্রাফট হয়ে যাবে আগামী সেপ্টেম্বরেই।

আজ মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের বিসিবি কার্যালয়ে সাংবাদিকদের মল্লিক বলেন, ‘আমাদের প্রাথমিক সিদ্ধান্ত, জাতীয় নির্বাচনের পরপরই আমরা বিপিএল করব। জাতীয় নির্বাচন জানুয়ারির প্রথম সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে বলে শোনা যাচ্ছে।

সে ক্ষেত্রে আমরা ১০ তারিখ বা এর আগে–পরে একটা উপযুক্ত তারিখ দেখে বিপিএল শুরু করব। জানুয়ারিতে শুরু করে টুর্নামেন্টটা ফেব্রুয়ারিতেই শেষ করতে হবে। কারণ, এরপর শ্রীলঙ্কা সিরিজ আছে।’

বিপিএল পিছিয়ে গেলেও এগিয়ে এসেছে প্লেয়ার্স ড্রাফট। প্রতিবার অক্টোবর মাসের শেষ সপ্তাহে বিপিএল ড্রাফট হয়। এবার বিসিবির পরিকল্পনা সেপ্টেম্বরে ঘরের মাঠে নিউজিল্যান্ড সিরিজের আগেই ড্রাফট আয়োজন করার। ‘প্লেয়ার্স ড্রাফটটা চেষ্টা করব সেপ্টেম্বরের শেষের দিকে করে ফেলতে। যেন প্রতিটি টিম দল গোছাতে পর্যাপ্ত সময় পায়,’ বলেছেন গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্যসচিব।

বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইসমাইল হায়দার (বায়ে)
ফাইল ছবি

সাতটি ফ্র্যাঞ্চাইজি নিয়ে গত বিপিএল আয়োজন করেছিল বিসিবি। তবে বিপিএলের পরবর্তী আসর হতে পারে আট দলের। রাজশাহী ফ্রাঞ্চাইজি পেতে এরই মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে বলে জানিয়েছেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক, ‘রাজশাহীর জন্য দুটি প্রতিষ্ঠান আগ্রহ দেখিয়েছে। কেউ যদি দল চালাতে না চায়, তাহলে রাজশাহীর সুযোগ থাকবে। আবার আমরা যদি বিপিএল ৮ দল নিয়ে করি, তাহলেও তাদের সুযোগ হতে পারে।’

পুরোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে কেউ সরে গেলেও বিকল্প ভেবে রেখেছে বিসিবি। ‘আমাদের কাছে আগ্রহী তিন-চারটি প্রতিষ্ঠানের নাম আছে। আগের কেউ যদি থাকতে না চায়, তাহলে আমরা পরিবর্তন করে দিতে পারি। আমাদের যদি স্লট বাড়ে, তাহলে একটা দল বাড়াতেও পারি। বোর্ডেও এ রকম আলাপ–আলোচনা হয়েছে,’ বলেছেন ইসমাইল হায়দার মল্লিক।