আফগানিস্তান এবার আরও বেশি বিপজ্জনক

আফগানিস্তান ক্রিকেট দলফাইল ছবি

বিশ্বকাপের দল

•মোহাম্মদ নবী (অধিনায়ক) •নজিবউল্লাহ জাদরান •ফরিদ আহমেদ •কায়েস আহমেদ •ফজলহক ফারুকি •উসমান গনি •রহমানউল্লাহ গুরবাজ •রশিদ খান •আজমতউল্লাহ ওমরজাই •দারবিশ রাসুলি •মোহাম্মদ সেলিম •নাভিন-উল-হক •মুজিব উর রেহমান •ইব্রাহিম জাদরান •হজরতউল্লাহ জাজাই

আফগানিস্তানকে ক্রিকেট-বিশ্বে নতুন হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার এক যুগ পেরিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু দুই সংস্করণের বিশ্বকাপেই বলার মতো সাফল্য নেই। তাই বলে টি-টোয়েন্টির আফগানিস্তানকে ফেলেও দেওয়া যায় না। এই সংস্করণে আফগানিস্তান বরাবরই বিপজ্জনক। এবার যেন আরও বেশি।

টি-টোয়েন্টিতে আফগানিস্তান এমন আহামরি কিছু করে ফেলেনি। র‍্যাঙ্কিংয়েও শুধু আয়ারল্যান্ড ও জিম্বাবুয়ের ওপরে (দশম)। কিন্তু দলটার চমকে দেওয়ার সামর্থ্য বেড়েছে। ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটের কল্যাণে এই সংস্করণে রশিদ-মুজিবের পরম্পরা ধরে বেশ ভালো কিছু খেলোয়াড় বের করেছে আফগানিস্তান। সে সুবাদে পারফরম্যান্সও আগের তুলনায় ধারাবাহিক। সর্বশেষ এশিয়া কাপই তার প্রমাণ।

অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী
ফাইল ছবি

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৮ উইকেটের দুর্দান্ত জয়ে শুরু, পরের ম্যাচে ৭ উইকেটে হারে বাংলাদেশও। সুপার ফোরে উঠে আফগানিস্তান জিততে পারেনি; তবে ওই দুটি ম্যাচে বোঝা গেছে নিজেদের দিনে আফগানরা কী করতে পারে! যেকোনো দলের জন্যই বিপজ্জনক। রশিদ খান ও মুজিব উর রেহমানের মতো বোলার টি-টোয়েন্টিতে যেকোনো অধিনায়কের স্বপ্ন। আফগানদের কাছে তা বাস্তব আর প্রতিপক্ষের জন্য দুঃস্বপ্ন।

অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে এই দুই স্পিনার কতটা ভালো করতে পারবেন, সে প্রশ্ন অবশ্য উঠছে। ভুললে চলবে না, তরুণ একজন লেগ স্পিনারও আছেন, কায়েস আহমেদ। অর্থাৎ স্পিনে বৈচিত্র্য নিয়ে অস্ট্রেলিয়ায় যাচ্ছে আফগানিস্তান। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন বিচারে কেউ আফগানিস্তানের স্পিনবহর দেখে মুচকি হাসলে, নবীর আস্তিন থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন বাঁহাতি পেসার ফজলহক ফারুকি। তাঁর উন্নতিটা নজরকাড়া। ২০ বছর বয়সী পেসার সেলিম শাফির দেশের হয়ে এখনো অভিষেক ঘটেনি। নজর থাকবে তাঁর ওপরও।

ব্যাটিংয়ে অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সময়টাও তাঁর ভালো যাচ্ছে। রানের মধ্যে আছেন। হার্ড হিটার নজিবুল্লাহ জাদরানও আগের চেয়ে ধারাবাহিক। উসমান ঘানির ওপর ইনিংসে হাল ধরার দায়িত্ব। বাকিরা রান তুলবেন। টপ অর্ডারে দারউইশ রাসুলিকে নিয়েও আশা করছে আফগানিস্তান।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে মূল পর্বে কখনো পরের ধাপে যেতে পারেনি আফগানিস্তান। ২০১০, ২০১২ ও ২০১৪ সংস্করণে বিদায় নেয় গ্রুপ পর্ব থেকেই। ২০১৬ সংস্করণে সরাসরি সুপার টেনে খেলে বাদ পড়ে। গত বছর বাদ পড়ে সুপার টুয়েলভ থেকে। গত সংস্করণে শুধু স্কটল্যান্ড ও নামিবিয়ার বিপক্ষে জিতেছে আফগানিস্তান। তার আগের সংস্করণে (২০১৬) হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। টি-টোয়েন্টিতে বড় দলকে হারানোর সামর্থ্য আছে আফগানিস্তানের। প্রয়োজন শুধু ধারাবাহিকতা ও ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলা। এবারের দলটাও বেশ ভালো। অনেক দিন ধরেই একসঙ্গে খেলছে। আফগানরা তাই স্বপ্ন দেখছে ভালো কিছুর।

সেই স্বপ্নকে মুঠোয় এনে দেওয়ার বাড়তি, দায়িত্ব থাকবে রশিদ খানের ওপর। টি-টোয়েন্টিতে অন্যতম সেরা এই বোলার কিন্তু ব্যাটিংয়েও বেশ ভালো। কে জানে, এবারের বিশ্বকাপটা রশিদেরও হতে পারে! সামর্থ্য আছে বলেই কথাটা অস্ট্রেলিয়ার পেসবান্ধব উইকেট মাথায় রেখেই বলা যায়।

সূচি

সুপার টুয়েলভ

২২ অক্টোবর   বিকেল ৫টা    পার্থ              ইংল্যান্ড

২৬ অক্টোবর  বেলা ২টা       মেলবোর্ন       নিউজিল্যান্ড

২৮ অক্টোবর   সকাল ১০টা   মেলবোর্ন       বি ২

০১ নভেম্বর    সকাল ১০টা   ব্রিসবেন        এ ১

০৪ নভেম্বর    বেলা ২টা       অ্যাডিলেড     অস্ট্রেলিয়া

১৯
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের ১৯টি ম্যাচই খেলেছেন মোহাম্মদ নবী ও মোহাম্মদ শেহজাদ।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম পাঁচটি ম্যাচেই হেরেছে আফগানরা।  
১৯
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেট রশিদ খানের।