ভালো প্রস্তুতির ফল পাচ্ছে আয়ারল্যান্ড

আয়াল্যান্ড ক্রিকেট দলফাইল ছবি

বিশ্বকাপের দল

•অ্যান্ড্রু বলবার্নি (অধিনায়ক) •মার্ক অ্যাডাইর •কার্টিস ক্যাম্ফার •গ্যারেথ ডেলানি •জর্জ ডকরেল •স্টেফেন ডোহানি •ফিওনা হ্যান্ড •জশ লিটল •ব্যারি ম্যাকার্থি •কনর ওলফার্ট •সিমি সিং •পল স্টার্লিং •হ্যারি টেক্টর •লোরকান টাকার •ক্রেগ ইয়াং

বাছাইপর্বের ‘এ’ গ্রুপে সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে হেরে রানার্সআপ হয়ে আয়ারল্যান্ড সুযোগ পেয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। প্রথম পর্ব পেরিয়ে সুপার টুয়েলভেও উঠেছে আয়ারল্যান্ড। 

বাছাইপর্ব শেষে আয়ারল্যান্ড তিন পরাশক্তি ভারত, নিউজিল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে পরপর তিনটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলেছে। তিন সিরিজ মিলিয়ে সাত ম্যাচের একটাও জিততে পারেনি।

সব মিলিয়ে বিশ্বকাপ শুরুর আগপর্যন্ত এ বছর ২০টি টি-টোয়েন্টি খেলেছে আয়ারল্যান্ড। প্রস্তুতি তাই ভালোই হয়েছে আইরিশদের। তবে সেই ২০টি ম্যাচের মধ্যে টেস্ট খেলুড়ে দেশের বিপক্ষে জয় মাত্র ৩টি। এটা এক দিক থেকে যেমন চিন্তার কারণ, তেমনি গত আগস্টে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বেলফাস্টে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে পাওয়া ওই তিন জয়ই বিশ্বকাপে আইরিশদের প্রেরণা হতে পারে।

অভিজ্ঞ কেভিন ও’ব্রায়েন গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর আর দলে জায়গা পাননি। সেই ক্ষোভে কিছুদিন আগে বিদায়ই বলে দিয়েছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে।

অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নি
ফাইল ছবি

আয়ারল্যান্ডের ব্যাটিং এখন মূলত নির্ভরশীল অভিজ্ঞ ওপেনার পল স্টার্লিং, অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বালবির্নি, উইকেটকিপার লোর্কান টাকার, হ্যারি টেকটর, গ্যারেথ ডেলানি ও জর্জ ডকরেলের ওপর। এর মধ্যে ২২ বছর বয়সী হ্যারি টেকটরকে মনে করা হচ্ছে আইরিশ ব্যাটিং লাইনআপের নতুন তারকা। এ বছর জুলাইয়েই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে দুটি সেঞ্চুরি করেছেন মিডল অর্ডার এই ব্যাটসম্যান। টি-টোয়েন্টিতেও তাঁর স্ট্রাইক রেট ১৩০-এর মতো। জর্জ ডকরেল এ বছর ১৭ ইনিংস ব্যাট করে ৩৩২ রান করেছেন ১৪৬ স্ট্রাইক রেটে। মূলত এ দুজনের ব্যাটিং বড় দলগুলোর বিপক্ষে পথ দেখাতে পারে আয়ারল্যান্ডকে।

পেস আক্রমণে আয়ারল্যান্ডের মূল ভরসা তরুণ জশ লিটল, ৬ ফুট ৪ ইঞ্চির মার্ক অ্যাডাইর, অভিজ্ঞ ক্রেইগ ইয়াং ও ব্যারি ম্যাকার্থি। ৩৩ ছুঁই ছুঁই ক্রেইগ ইয়াং এ বছর ১১টি টি-টোয়েন্টিতে ৪১ ওভারের মতো বল করেই ২১ উইকেট নিয়েছেন ৭.৫ ইকোনমিতে। তবে বেশির ভাগ ম্যাচই আসলে আয়ারল্যান্ডের সমমানের দলগুলোর বিপক্ষে। ভারত-নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে যে কয়টা ম্যাচ খেলেছেন এ বছর, ইয়াং রান দিয়েছেন বেশ।  বড় ব্যাটসম্যানদের বিপক্ষে নিয়মিত বোলিংয়ের অভ্যাস যেহেতু আয়ারল্যান্ডের অন্য বোলারদেরও খুব একটা নেই, বিশ্বকাপে তাঁরা কেমন করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। ভারতীয় বংশোদ্ভূত সিমি সিং ও অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনের অফ স্পিন এবং গ্যারেথ ডেলানির লেগ স্পিনটাও বিশ্বকাপে কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে আইরিশরা।

গ্রুপে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে জয়ের আশা করতেই পারে আয়ারল্যান্ড। তবে সুপার টুয়েলভে যেতে হলে হারাতে হবে জিম্বাবুয়ে বা ওয়েস্ট ইন্ডিজের যেকোনো একটি দলকেও। অ্যান্ড্রু বালবির্নির দল সম্ভবত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ম্যাচটাকেই বেছে নেবেন সুপার রাউন্ডে খেলার সমীকরণ মেলানোর জন্য।

সূচি

১৭ অক্টোবর  বেলা ২টা       হোবার্ট          জিম্বাবুয়ে

১৯ অক্টোবর   সকাল ১০টা   হোবার্ট          স্কটল্যান্ড

২১ অক্টোবর   সকাল ১০টা   হোবার্ট          ওয়েস্ট ইন্ডিজ

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আয়ারল্যান্ড খেলেছে, এমন তিনটি ম্যাচ ফল দেখেনি। আর কোনো দলের একবারের বেশি এ অভিজ্ঞতা নেই।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আইরিশদের সর্বোচ্চ দুটি দলীয় ইনিংসই বাংলাদেশের সিলেটে ২০১৪ সালে।
২০০৯ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অভিষেকে প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশকে হারায় আয়ারল্যান্ড।