‘গোল্ডেন সামার’ কাটাচ্ছে নেদারল্যান্ডস

নেদারল্যান্ডস ক্রিকেট দলফাইল ছবি

বিশ্বকাপের দল

•স্কট এডওয়ার্ডস (অধিনায়ক) •কলিন অ্যাকারমান •শারিজ আহমেদ •লোগান ফন বিক •টম কুপার •ব্রেন্ডন গ্লোভার •টিম ফন ডার গুগটেন •ফ্রেড ক্ল্যাসেন •বাস ডি লিডি •পল ফন মিকেরেন •রোলেফ ফন ডার মারওয়ে •স্টিভেন মাইবুর্গ •তেয়া নিদামানুরু •ম্যাক্স ও’ডাউড •টিম প্রিঙ্গল •বিক্রম সিং

‘গোল্ডেন সামার’ বলতে যা বোঝায়, নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটের জন্য এবারের গ্রীষ্মটা ঠিক সেটাই ছিল। ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পাকিস্তান ও নিউজিল্যান্ড দল এবার নেদারল্যান্ডস সফর করে গেছে। আইসিসি ওয়ানডে সুপার লিগের সিরিজ খেলার বাধ্যবাধকতা ছিল বলেই এক গ্রীষ্মে এতগুলো বড় দলের নেদারল্যান্ডস সফরে আসা।

টানা বড় দলের বিপক্ষে খেলার মধ্যে থাকায় নেদারল্যান্ডস ক্রিকেটও এ বছর ছিল আলোচনায়। ম্যাক্স ও’ডাউড, বাস ডি লিড, লোগান ফন বেক, ফ্রেড ক্লাসেনের মতো ক্রিকেটাররাও পারফরম্যান্স দিয়ে এসেছেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের আলোয়। এবার অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠেয় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাই নেদারল্যান্ডসের চমক দেখানোর ভালো সম্ভাবনাই থাকছে।

কিছু তরুণ ক্রিকেটার উঠে আসায় এবারের নেদারল্যান্ডস দলটায় তারুণ্য ও অভিজ্ঞতার মিশেলটা ভালো হয়েছে। রোলেফ ফন ডার মারওয়ে, কলিন অ্যাকারমান, টিম ফন ডার গুগটেন, ক্লাসেন, পল ফন মাকেরেন, ব্র্যান্ডন গ্লোভর, টম কুপার, স্টিভেব মাইবুর্গ—বিশ্বকাপ দলে থাকা ডাচ ক্রিকেটারদের মধ্যে তাঁরাই সবচেয়ে বেশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ও কাউন্টি খেলার অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। দলটির নেতৃত্ব দেবেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান স্কট এডওয়ার্ড।

অধিনায়ক স্কট এডয়ার্ডস
ফাইল ছবি

বিশ্বকাপে ডাচদের টপ অর্ডারে দেখা যাবে ও’ডাউড ও মাইবুর্গকে। দুজনই মেরে খেলতে পছন্দ করেন। নিজেদের দিনে প্রতিপক্ষের বোলারদের পরীক্ষা নেওয়ার সামর্থ্য রাখেন দুজনই। বিশেষ করে মাইবুর্গের বিশ্বমঞ্চে ভালো করার অতীত রেকর্ডও আছে। ২০১৪ সালে তাঁর ইনিংসের সৌজন্যেই ডাচরা সুপার টেনে জায়গা করে নেয়। বিশ্বকাপে তাঁর স্ট্রাইক রেটও ঈর্ষণীয় (১৪৫)। আর ফর্ম পক্ষে আছে ও’ডাউডের। এ বছর তিনি ডাচদের হয়ে সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক, ১০ ইনিংসে ৩০ গড়ে ৩০৯ রান করেছেন।

মাঝের ওভারগুলো সামলে দেবেন অভিজ্ঞ কুপার ও অধিনায়ক এডওয়ার্ডস। দুজনই বেশ ধারাবাহিক। এর মধ্যে কুপারের অভিজ্ঞতার তো অভাব নেই। নিয়মিত অস্ট্রেলীয় টি-টোয়েন্টি লিগ বিগ ব্যাশ খেলেন তিনি। সঙ্গে তরুণ ডি লিড তো আছেনই। অভিজ্ঞ ফন ডার মারওয়ে হিটিং–সামর্থ্য তো সবার জানা। দীর্ঘদিন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা এই ক্রিকেটার বাঁহাতি স্পিনের পাশাপাশি ডেথ ওভারে ঝড় তুলতে সক্ষম। কদিন আগে শেষ হওয়া ইংল্যান্ডের দ্য হান্ড্রেড-এ নিয়মিত খেলেছেন। তাঁর বড় মঞ্চে খেলার অভিজ্ঞতাটাও ব্যবহার করতে চাইবে ডাচরা।

গত এক বছর ডাচ বোলিং আক্রমণের সবচেয়ে ধারাবাহিক বোলার লোগান ফন বিক। ৩২ বছর বয়সী এই পেসার এ বছর ৮ ইনিংসে ১৩ উইকেট নিয়েছেন। নিউজিল্যান্ডের হয়ে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব বাস্কেটবল চ্যাম্পিয়নশিপ খেলেছিলেন ফন বিক। ডাক পেয়েছিলেন কিউইদের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলেও। নিউজিল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে টেস্ট খেলা স্যামি গুইলেনের নাতি তিনি। বাঁহাতি পেসার ক্লাসেনও আছেন দারুণ ছন্দে। এ বছর ৮টি ম্যাচ খেলে ১২ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ডাচদের বছরের সেরা বোলারদের তালিকায়ও দেখতে পাবেন ১০ উইকেট নেওয়া ডি লিডের নাম। তিনজনই অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশনে বিশ্বকাপের প্রথম পর্বে প্রতিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও নামিবিয়াকে চমকে দিতে পারেন।

সূচি

১৬ অক্টোবর বেলা ২টা       গিলং            আরব আমিরাত

১৮ অক্টোবর   সকাল ১০টা   গিলং            নামিবিয়া

২০ অক্টোবর   সকাল ১০টা   গিলং            শ্রীলঙ্কা

১৯
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ছক্কা নেদারল্যান্ডসের। ২০১৪ বিশ্বকাপে সিলেটে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে।
৩৯
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলীয় সর্বনিম্ন ইনিংস ডাচদের, ২০১৪ সালে চট্টগ্রামে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।
২০০৯ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যাত্রা শুরু করেছিল নেদারল্যান্ডস।