বিশ্বকাপের দল
•কেইন উইলিয়ামসন (অধিনায়ক) •ফিন অ্যালেন •ট্রেন্ট বোল্ট •মাইকেল ব্রেসওয়েল •মার্ক চ্যাপম্যান •ডেভন কনওয়ে •লকি ফার্গুসন •মার্টিন গাপটিল •অ্যাডাম মিলনে •ডেরিল মিচেল •জিমি নিশাম •গ্লেন ফিলিপস •মিচেল স্যান্টনার •ইশ সোধি •টিম সাউদি
কেইন উইলিয়ামসনের বয়স তখনো ২৫ পূর্ণ হয়নি। এমসিজির ওই দিনটায় তিনে নেমে ৩৩ বল খেলে ১২ রান করে আউট হয়েছিলেন। প্রথম ওভারে মিচেল স্টার্ককে ডাউন দ্য উইকেটে খেলতে এসে ব্রেন্ডন ম্যাককালামের বোল্ড হওয়া যেন ঠিক করে দিয়েছিল ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপের ফাইনালটা কোন পথে যাচ্ছে। উইলিয়ামসনও বদলাতে পারেননি সেটি।
ছয় বছর পর, দুবাইয়ে উইলিয়ামসন খেলেছিলেন ৪৮ বলে ৮৫ রানের ইনিংস। দলকে লড়াই করার মতো স্কোর এনে দিয়েছিলেন ৩১ বছর বয়সী অধিনায়ক। তবে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠা নিউজিল্যান্ডের জন্য যথেষ্ট হয়নি সেটি। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের মেলবোর্ন-ক্ষতে নতুন একটা আঘাতই দিয়ে গিয়েছিল দুবাই। ম্যাককালামের নিউজিল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে আটকাতে পারেনি মেলবোর্নে, দুবাইয়ে অস্ট্রেলিয়াকে থামাতে পারেননি উইলিয়ামসনরাও।
আরেকটি বিশ্বকাপ, সেই অস্ট্রেলিয়ায়। সেই মেলবোর্নেই আরেকটি ফাইনাল। ৩২ বছর বয়সী উইলিয়ামসনকে বেশ কিছুদিন ধরেই ভোগাচ্ছে চোট, বিশ্বকাপের আগে দেশের মাটির ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে এ বছর খেলেছেন মাত্র তিনটি আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি। সব মিলিয়ে তাঁর ক্যারিয়ারের আবহ সংগীতে এক বা একাধিক সংস্করণে বেলা শেষের একটা চাপা সুরও আছে। মেলবোর্নে উইলিয়ামসন পারবেন তো এবার?
শুধু উইলিয়ামসন নন, টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্ট, জিমি নিশাম, মার্টিন গাপটিল—নিউজিল্যান্ডের একটা প্রজন্মের অতৃপ্তি সীমিত ওভারের একটা ট্রফি নিয়ে, খুব কাছ থেকে যে একাধিকবার ঘুরে এসেছেন তাঁরা! অবশ্য ওয়ানডে বিশ্বকাপে শেষ চারে জায়গা করে নেওয়াটা নিউজিল্যান্ডের জন্য যেমন অলিখিত রীতি, টি-টোয়েন্টিতে ঠিক তেমন নয়। সাতটি আসরের মধ্যে দুবার সেমিফাইনাল আর গতবার ফাইনাল খেলা অর্জন দলটির।
এবারও ‘ফেবারিট’ তকমা হয়তো সেভাবে নেই, তবে হিসাবের বাইরেও রাখতে পারবেন না তাদের। সেপ্টেম্বরের শেষ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়ের ৫ নম্বর দল তারা। অবশ্য গত বিশ্বকাপের পর থেকে এ সময়ের মধ্যে জয়ের শতকরা হিসাবে ভারতের পরই নিউজিল্যান্ডের (১৩ ম্যাচে ৯ জয়) অবস্থান। অস্ট্রেলিয়ার কন্ডিশন তাসমান প্রতিবেশীদের পেসার আর ব্যাটসম্যানদের জন্যও আদর্শই হওয়ার কথা। বোল্ট, লকি ফার্গুসন, অ্যাডাম মিলনেদের সঙ্গে টিম সাউদির পেস আক্রমণ ঝামেলায় ফেলতে পারে যেকোনো দলকেই। দীর্ঘদেহী স্পিনার মিচেল স্যান্টনারও ধারাবাহিক, পিচের বাউন্সকে কাজে লাগাতে পারেন ভালোভাবেই। আছেন ইশ সোধি, সুযোগের অপেক্ষায় মাইকেল ব্রেসওয়েলও।
নিউজিল্যান্ডের অন্যতম শক্তি তাদের দুই অলরাউন্ডার জিমি নিশাম ও ড্যারিল মিচেল। সর্বশেষ বিশ্বকাপে হুট করেই ওপেনিংয়ে উঠে চমক দেখিয়েছিলেন মিচেল, নিশাম তো ম্যাচ ঘুরিয়ে দিতে পারেন যেকোনো দিনই।
টপ অর্ডারও বিধ্বংসী হয়ে উঠতে পারে তাদের। মার্টিন গাপটিল খেলতে যাচ্ছেন নিজের সপ্তম বিশ্বকাপ, গতবার ব্যাটের ওপর ক্ষোভ ঝেড়ে অদ্ভুত চোটে পড়ে ফাইনাল মিস করা ডেভন কনওয়েও আছেন টপ অর্ডারে ঝড় তুলতে। ফিন অ্যালেন, গ্লেন ফিলিপস বা মার্ক চ্যাপম্যান—সুযোগ পেলে জ্বলে উঠতে পারেন। টপ অর্ডারের ক্ষেত্রে নিউজিল্যান্ডের অপশন এত বেশি, ওপেন করতে পারেন ওপরের সবাই। যে তালিকায় আছেন উইলিয়ামসনও।
সূচি
সুপার টুয়েলভ
২২ অক্টোবর বেলা ১টা সিডনি অস্ট্রেলিয়া
২৬ অক্টোবর বেলা ২টা মেলবোর্ন আফগানিস্তান
২৯ অক্টোবর বেলা ২টা সিডনি এ ১
০১ নভেম্বর বেলা ২টা ব্রিসবেন ইংল্যান্ড
০৪ নভেম্বর সকাল ১০টা অ্যাডিলেড বি ২