বদলের হাওয়া লেগেছে জিম্বাবুয়ের

জিম্বাবুয়ে ক্রিকেট দলফাইল ছবি

বিশ্বকাপের দল

•ক্রেগ আরভিন (অধিনায়ক) •রায়ান বার্ল •রেজিস চাকাভা •টেন্ডাই চাতারা •ব্র্যাডলি ইভান্স •লুক জঙ্গুয়ে •ক্লাইভ মাদান্দে •ওয়েসলি মাধেভেরে •ওয়েলিংটন মাসাকাদজা •টনি মুনিয়োঙ্গা •ব্লেসিং মুজারাবানি •রিচার্ড এনগারাভা •সিকান্দার রাজা •মিল্টন শুম্বা •শন উইলিয়ামস

অ্যান্ডি ও গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ার, অ্যালিস্টার  ক্যাম্পবেল, গাই ও অ্যান্ডি হুইটাল, হিথ স্ট্রিক, পল স্ট্র্যাংদের সোনালি প্রজন্ম চলে যাওয়ার পর থেকেই আসলে জিম্বাবুয়ে ক্রিকেটের পতনের শুরু। গত দুই দশকে দলটা এতই সাধারণ মানের হয়ে উঠেছে যে এখন টেস্ট খেলুড়ে কোনো দেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ের যেকোনো সংস্করণে জয়টাই বড় ঘটনা। অনেক ক্ষেত্রে তো অঘটনই বলা যায়।

সেই জিম্বাবুয়ে দলে কিছুদিন ধরে বদলের হাওয়া লেগেছে দেশটির প্রথম টেস্ট অধিনায়ক ডেভ হটন এ বছরের জুনে কোচ হয়ে ফেরার পর। দায়িত্ব নেওয়ার পর বাছাইপর্ব পার করে দলকে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিয়ে গেছেন। এরপর ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজে হারিয়েছে বাংলাদেশকে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে তিন ওয়ানডে ম্যাচের সিরিজে পেয়েছে একটা জয়ও।

জয় যেকোনো সংস্করণেই হোক, সেটা যদি হয় অস্ট্রেলিয়ার মতো পরাশক্তির বিপক্ষে, একটা বাড়তি আত্মবিশ্বাস এনে দেয় আসলে। বিশ্বকাপের আগে জিম্বাবুয়েকেও তাই বেশ আত্মবিশ্বাসী বলা যায়।

অধিনায়ক ক্রেগ আরভিন
ফাইল ছবি

জিম্বাবুয়ে দলে ওই অর্থে নিখাদ ব্যাটসম্যানের ঘাটতি আছে। টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিন ও মিল্টন শুম্বা ছাড়া আর কেউই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান নন। তবে সেই ঘাটতি পুষিয়ে দেওয়ার জন্য দলে আছে একঝাঁক অলরাউন্ডার। রায়ান বার্ল, সিকান্দার রাজা, ব্র্যাড ইভান্স, ওয়েসলি মাধেবেরে, শন উইলিয়ামস ও টনি মুনিয়ুঙ্গা। তাঁদের মধ্যে ইভান্স ও মুনিয়ুঙ্গা ছাড়া বাকি চারজন মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার। তবে বল হাতে এই চারজনেরই ইকোনমি রেট ৭.৫-এর নিচে। তার মানে বোলার হিসেবে তাঁরা অধিনায়ক ক্রেইগ আরভিনের জন্য ভালো বিকল্প। দুই বোলিং অলরাউন্ডার ইভান্স ও মুনিয়ুঙ্গা তুলনামূলক তরুণ, দলেও নতুন। ঘরোয়া ক্রিকেটে পরীক্ষিত হলেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুজনেই এখনো নিজেদের মেলে ধরার অপেক্ষায়। জিম্বাবুয়ের দলের মূল শক্তিও আসলে এই অলরাউন্ডাররাই।

জিম্বাবুয়ের বোলিং আক্রমণটা মূলত চার বিশেষজ্ঞ পেসার ও এক বিশেষজ্ঞ স্পিনার দিয়ে সাজানো। চোট কাটিয়ে টেন্ডাই চাতারা ও ব্লেসিং মুজারাবানির ফেরাটা জিম্বাবুয়ের জন্য সুখবর। টি-টোয়েন্টিতে  দুজনেরই ইকোনমি রেট ৭.৫-এর আশপাশে। অস্ট্রেলিয়ান কন্ডিশনে অন্য দুই পেসার লুক জঙ্গুয়ে ও রিচার্ড এনগাভারা কেমন করেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে।

স্পিনে অভিজ্ঞ ওয়েলিংটন মাসাকাদজা নির্ভর করার মতো। টি-টোয়েন্টিতে তাঁর ইকোনমি রেটও ৭.২৩। মাঝের ওভারে রান আটকাতে পারেন, ব্রেক থ্রু দেওয়ার অভ্যাসও আছে।

আগের সাত আসরের মধ্যে জিম্বাবুয়ে পাঁচবার খেলেছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে, কখনোই প্রথম রাউন্ড পার হতে পারেনি। এবারই প্রথম।

সুপার টুয়েলভে জিম্বাবুয়ের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তান, দক্ষিণ আফ্রিকা ও নেদারল্যান্ডস।

সূচি

১ম রাউন্ড

১৭ অক্টোবর  বেলা ২টা       হোবার্ট          আয়ারল্যান্ড

১৯ অক্টোবর বেলা ২টা       হোবার্ট          ওয়েস্ট ইন্ডিজ

২১ অক্টোবর বেলা ২টা       হোবার্ট          স্কটল্যান্ড

টেস্ট খেলুড়ে দলগুলোর মধ্যে টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ে হারিয়েছে শুধু অস্ট্রেলিয়াকে।
৫৯
টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুটি ৫৯ রানের জিম্বাবুয়ের ব্যাটসম্যানদের, দুটিই ৪৬ বলে খেলা।
এই প্রথম এল্টন চিগুম্বুরা ও হ্যামল্টিন মাসাকাদজাকে ছাড়া টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলবে জিম্বাবুয়ে