একটা ছোট সুযোগ জীবনের অনেক কিছু বদলে দিতে পারে, বললেন নাহিদ রানা
প্রথম যেকোনো কিছুর অনুভূতিই বিশেষ ধরনের। নাহিদ রানার ঠিক যেমন অনুভূতি হচ্ছে। প্রথমবার বিদেশি লিগে দল পেয়েছেন। সেটা আবার পিএসএলে। মানের দিক থেকে পিএসএল ঠিক আইপিএলের মতো নয়।
তবে বিপিএলের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে। বড় বড় তারকারা নাম লেখান এই টুর্নামেন্টে। ১ বছরের কম সময় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা নাহিদ রানা পিএসএলে দল পেলেন কীভাবে?
একটা কারণ বললে সেটা নাহিদ রানার গতি। তাঁর বোলিংয়ের গতি দেখেই দলে নিয়েছে বাবর আজমের পেশোয়ার জালমি। আর পাকিস্তানের মাটিতে গতির ঝড়টা যে ভালোই তুলতে পারবেন, সেটা তো গত বছরের আগস্ট-সেপ্টেম্বরেই দেখিয়ে এসেছেন।
সেই সময়ে বাংলাদেশ দলের হয়ে পাকিস্তানে টেস্ট খেলতে গিয়েছিলেন রানা। দুই টেস্টের সিরিজে দুই দল মিলিয়ে বোলিংয়ে সবচেয়ে বেশি গতি তুলেছিলেন রানা—ঘণ্টায় ১৫২ কিলোমিটার। দুই টেস্টেই দ্বিতীয় ইনিংসে রানার বলে আউট হয়েছিলেন বাবর। বাংলাদেশও সিরিজ জিতেছিল ২–০ ব্যবধানে।
সেই সিরিজেই পিএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর নজরে পড়েন রানা। সেটা তাঁকে বলা ইফতেখার আহমেদের কথা শুনলেই বোঝা যায়। রানা ও ইফতেখার দুজনই এখন রংপুর রাইডার্সে খেলছেন।
রানা আজ চট্টগ্রামে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘ইফতিখারের সঙ্গে পিএসএল ড্রাফটের আগেই কথা হয়েছিল। উনি বলছিল যে, ‘‘আমাদের দলে তোমাকে নেওয়ার কথা চলছে।’’ তারপরে তো যতটুকু জানি, আমি বাবর আজম ভাইয়ের দলে আছি। আর ইফতেখার ভাই সম্ভবত অন্য দলে আছেন। তবে উনি বলেছিলেন ওনার দলে নেবে। বাবর ভাইয়ের দলে নিয়েছে। যেটা হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ।’
রানা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে। বেশ জোরের সঙ্গে। এপ্রিলে এখানে (পাকিস্তান) যখন খেলা হবে, তখন এই ধরনের বোলারের প্রয়োজন হবে।
পেশোয়ার জালমির পরিচালক মোহাম্মদ আকরামের মুখেও নাহিদ রানার গতির প্রসঙ্গই উঠে এসেছে। মাত্র ১২টি স্বীকৃত টি-টোয়েন্টি খেলা রানাকে দলে নেওয়ার কারণ জানাতে গিয়ে তিনি বলেছিলেন, ‘রানা ঘণ্টায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বোলিং করতে পারে। বেশ জোরের সঙ্গে। এপ্রিলে এখানে (পাকিস্তান) যখন খেলা হবে, তখন এই ধরনের বোলারের প্রয়োজন হবে। গত ২ আসরে আমাদের পেস আক্রমণে কিছুটা ঘাটতি ছিল। চেষ্টা ছিল সেই ঘাটতি পূরণ করার। এক্সপ্রেস গতি চেয়েছিলাম, সে কারণেই নাহিদ রানাকে নেওয়া।’
দেখা যাক নাহিদ রানা কেমন করেন!
বাংলাদেশের এই ফাস্ট বোলার নিজেও এখানে খেলতে মুখিয়ে আছেন, ‘অবশ্যই একটা সুযোগ যেকোনো ক্রিকেটারের জন্য অনেক কিছু। একটা ছোট সুযোগ একজন ক্রিকেটারের জীবনের অনেক কিছু বদলে দিতে পারে। তো আমি এই জিনিসটা বড় হিসেবে দেখছি কারণ আমার জীবনে প্রথম দেশের বাইরের কোনো ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগে সুযোগ পেয়েছি।’