১০ শতাংশ সিমেন্ট আর ৯০ শতাংশ হতাশা, ভাস্কর্যে এ কোন ওয়াসিম আকরাম
একজন ব্যক্তির ভাস্কর্য বানানো হয় সাধারণত তাঁর অবদান, খ্যাতি বা স্মৃতিকে সম্মান জানানোর জন্য। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব যেমন থাকে, তেমনি শিল্পগত অবদানও কম নয়। কিন্তু ঠিকঠাক ফুটিয়ে তুলতে না পারলে এই ভাস্কর্যই হয়ে ওঠে ওই ব্যক্তির জন্য মানহানিকর।
এবার তেমনই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক ওয়াসিম আকরাম। এই কিংবদন্তি পেসারের একটি ভাস্কর্য স্থাপন করা হয়েছে পাকিস্তানের হায়দরাবাদের নিয়াজ ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে। ভাস্কর্যটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হাস্যরসের সৃষ্টি হয়েছে।
ভাস্কর্যটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে পাকিস্তানের ১৯৯৯ বিশ্বকাপ জার্সির আকরামকে। ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ওই বিশ্বকাপে আকরামই দলকে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। তবে ‘ওয়াসিম আকরাম’ যতটা না অধিনায়ক, তার চেয়ে অনেক বেশি পরিচিত বাঁহাতি পেসার হিসেবে। ভাস্কর্যটিতে আকরামের বোলিং অ্যাকশন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
দীর্ঘদেহী আকরামের শারীরিক কাঠামো উঠে এসেছে ভালোভাবেই। তবে মুখভঙ্গি ঠিক আকরামসুলভ নয়। চুলও অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সের। ভাস্কর্যটি গত এপ্রিলে উন্মুক্ত হলেও সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ‘মিম’ হিসেবে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে (ভাইরাল)।
‘সুলতান অব সুইং’ খ্যাত এই পেসারের ভাস্কর্যটি নিয়ে একজন লিখেছেন, ‘১০ শতাংশ সিমেন্ট আর ৯০ শতাংশ হতাশা’। ১৯৮৪ থেকে ২০০৩ সাল পর্যন্ত পাকিস্তানকে প্রতিনিধিত্ব করা এই ক্রিকেটারকে সঠিকভাবে তুলে ধরা হয়নি উল্লেখ করে একজন লিখেছেন, ‘একজন ক্রিকেট কিংবদন্তিকে দেওয়া অবিবেচনাপ্রসূত ট্রিবিউট’।
কেউ কেউ আবার ওয়াসিম আকরামের বিভিন্ন সময়ের বিরক্তি ও হতবাক হওয়ার ছবি পোস্ট করে লিখেছেন, ভাস্কর্য দেখার পর আকরামের প্রতিক্রিয়া এমনই। এ ছাড়া ‘টাকা কম থাকলে যেমন ভাস্কর্য হয়’, ‘ভাস্কর যখন ওয়াসিম আকরামকে চেনেন না’ এমন নানা ধরনের ক্যাপশনে ভাস্কর্যটির ছবি পোস্ট করেছেন অনেকে।
পাকিস্তানের গণমাধ্যমগুলো বলছে, শিগগিরই নিয়াজ স্টেডিয়ামে সংস্কারকাজ শুরুর পরিকল্পনা আছে পিসিবির। সেই সংস্কারে প্রথম কাজই হতে পারে ওয়াসিম আকরামের ভাস্কর্যটি সরিয়ে ফেলা।