রংপুরকে পেয়েই আবার নাঈমের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরি মাহফিজুল ও সাদিকুরেরও

জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডের খেলা শুরু হয়েছে আজ। তবে প্রথম দিনের চারটি ম্যাচেই বাজে আবহাওয়ার কারণে পুরো খেলা হয়নি। প্রথম দিনে সেঞ্চুরি পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈম , মাহফিজুল ইসলাম ও সাদিকুর রহমানের।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়েছেন মোহাম্মদ নাঈমবিসিবি

মাহফিজুলের প্রথম, নাঈমের চতুর্থ সেঞ্চুরি

২০১৮ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত মোহাম্মদ নাঈম এই সংস্করণে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন ২০২২ সালে। সেই নাঈম আজ পেলেন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের চতুর্থ সেঞ্চুরি। কক্সবাজার একাডেমি মাঠে রংপুর বিভাগের বিপক্ষে ১৬৩ বলে ১১১ রান করেছেন ময়মনসিংহ বিভাগের ওপেনার। প্রথম শ্রেণিতে চার সেঞ্চুরির সর্বশেষ তিনটিই রংপুরের বিপক্ষে পেলেন নাঈম।

প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরি পেয়েছেন মাহফিজুল ইসলাম
বিসিবি

সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাঈমের সতীর্থ ওপেনার মাহফিজুল ইসলামও। ২২৮ বলে ১২৭ রান করেছেন বাংলাদেশের বয়সভিত্তিক দলের সাবেক এই ক্রিকেটার। আট ম্যাচের প্রথম শ্রেণির ক্যারিয়ারে মাহফিজুলের এটিই প্রথম সেঞ্চুরি।

উদ্বোধনী জুটিতে ২২০ রান তুলেছেন দুজন। আউট হয়েছেন দুজনই। তাঁদের দল ময়মনসিংহ ৮২ ওভারে ২ উইকেটে ২৮১ রান তুলে শেষ করেছে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম দিন।

সাদিকুরের সেঞ্চুরি, সেঞ্চুরির পথে মুমিনুল

সাদিকুর রহমান: ১২২ রান
ফাইল ছবি

কক্সবাজার আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে বরিশাল বিভাগের বিপক্ষে সেঞ্চুরি পেয়েছেন চট্টগ্রাম বিভাগের ওপেনার সাদিকুর রহমান। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের এটি তৃতীয় সেঞ্চুরি। ১৭৪ বলে ৫ ছক্কায় ১২২ রান করেন সাদিকুর। ১৪৩ রানের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে তাঁর সঙ্গী মুমিনুল হক অপরাজিত ৮৪ রানে। আলোকস্বল্পতায় আগেভাগে শেষ হওয়া দিনে ৭১ ওভারে ৪ উইকেটে ২৬০ রান তুলেছে চট্টগ্রাম। আগের ম্যাচের দুই সেঞ্চুরিয়ান মাহমুদুল হাসান (৩৫) ও ইয়াসির আলী (৮) আজ ফিরেছেন অল্পতেই।

আরও পড়ুন

মিরপুরে বোলারদের দাপট

মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে খুলনা বিভাগ ও রাজশাহী বিভাগের ম্যাচের প্রথম দিনে পড়েছে ১৩ উইকেট। খুলনা ৪৪.৫ ওভারে অলআউট ১২১ রানে। রাজশাহী ২০ ওভারে ৩ উইকেটে ৮৭ রান তোলার পর আলোকস্বল্পতায় বন্ধ হয়ে যায় খেলা।

৩ উইকেট নিয়েছেন খুলনার হয়ে খেলা মেহেদী হাসান মিরাজ
বিসিবি

রাজশাহীর পেসার আলী মোহাম্মদ ওয়ালিদ সৌম্য সরকারকে (৬) ফিরিয়ে ধসের সূচনা করেন। খুলনার আরেক ওপেনার এনামুল হক (১২) যখন ফিরলেন, দলের স্কোর ২৫/২। এরপর নিয়মিত বিরতিতেই উইকেট হারিয়েছে খুলনা। দলটির সর্বোচ্চ স্কোরার ৯–এ নামা মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী (২৩)। রাজশাহীর দুই স্পিনার নিহাদউজ্জামান ও মেহরব হাসান নিয়েছেন ৩টি করে উইকেট।

রাজশাহী ১১ রানেই হারায় ২ উইকেট। ওপেনার হাবিবুর রহমানকে (৫) ফেরানোর পর অধিনায়ক নাজমুল হোসেনকেও (২) ফিরিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। মিরাজই পরে তৃতীয় উইকেট এনে দিয়েছেন খুলনাকে।

আরও পড়ুন

সিলেটে বৃষ্টির দিনে বিপদে ঢাকা

বৃষ্টির কারণে সিলেট একাডেমি মাঠে সিলেট বিভাগ ও ঢাকা বিভাগের ম্যাচ শুরু হয় বেলা ১টায়। ৬৩ ওভার খেলা হওয়ার কথা থাকলেও ৪৩.১ ওভারই হতে পেরেছে। ৫ উইকেটে ১২০ রান তুলে দিন শেষ করেছে ঢাকা বিভাগ। দলটির অধিনায়ক মাহিদুল ইসলাম সর্বোচ্চ ৩৬ রান করে অপরাজিত আছেন। সিলেটের পেসার ইবাদত হোসেন ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। আরেক পেসার খালেদ আহমেদ নিয়েছেন ২৫ রানে ২ উইকেট।

আরও পড়ুন