ভূমিকম্পের সময় কী মনে হয়েছিল বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড দলের
আয়ারল্যান্ডের দুই ব্যাটসম্যান লরকান টাকার ও স্টিফেন ডোহানির জুটি তখন জমে গেছে। বাংলাদেশের বোলারদের তাঁরা খেলছিলেন বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে। এর মধ্যেই হঠাৎ কেঁপে উঠতে শুরু করে মিরপুরের শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের প্রেসবক্স। পাঁচতলায় বসে থাকা সাংবাদিকেরা দৌড়ে নিচে নামতে শুরু করেন। গ্যালারিতে থাকা দর্শকেরাও দৌড়ে নিরাপদ জায়গায় যেতে চাইলেন।
প্রেসবক্সের নিচে নেমে দেখা যায় নিরাপত্তাকর্মী, ধারাভাষ্যকার, সাপোর্ট স্টাফ সদস্য—সবার চোখেমুখে ভূমিকম্পের আতঙ্ক। স্টেডিয়াম থেকে একাডেমি মাঠের দিকে যাওয়ার সময় বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ ফিল সিমন্স জানালেন, আতঙ্কটা ছড়িয়ে পড়েছিল তাঁদের মধ্যেও।
আজ সকালে রিখটার স্কেলে ৫.৭ মাত্রার সেই ভূমিকম্পে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মিনিট তিনেক বন্ধ ছিল বাংলাদেশ–আয়ারল্যান্ড টেস্টের তৃতীয় দিনের খেলা। তবে শুরুতে নাকি ভূমিকম্প টের পাননি মাঠে থাকা বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। পরে অবশ্য মাঝমাঠে একসঙ্গে দাঁড়িয়ে ভয়ংকর সময়টা পার করেছেন তাঁরা।
দিন শেষের সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ দলের বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম বর্ণনা করেছেন সেই সময়ের অভিজ্ঞতা, ‘প্রথমে বুঝিনি (ভূমিকম্প হচ্ছে)। কিন্তু একটা সময় মিডিয়া বক্স এবং যে যে জায়গাগুলোতে কাচ ছিল, ওখান থেকে শব্দ আসছিল। তারপর শারীরিকভাবেও অনুভব করেছি। ওই সময়ে একটু আতঙ্ক কাজ করেছে।’
এমন ভূমিকম্পের আগেও কয়েকবার অনুভব করেছেন নিউজিল্যান্ডে থিতু হওয়া আয়ারল্যান্ড দলের প্রধান কোচ হাইনরিখ মালান। ভূমিকম্পের তাৎক্ষণিক অনুভূতি ছাপিয়ে তাঁর ভাবনায় কাজ করেছিল বড় ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি না সেটিও, ‘এটা কখনোই ভালো অনুভূতি নয়। বোঝার চেষ্টা করেছিলাম ওই সময়ে কী হচ্ছিল। একই সঙ্গে ভূমিকম্পের বড় প্রভাবের কথাও ভাবনায় এসেছে। আশা করি খুব বাজে কিছু হয়নি।’