কুয়াশা ছিল নাকি—বোল্ড হওয়া ব্রুককে বিদ্রূপ গাভাস্কারের
দুজনের প্রতিক্রিয়া ছিল একেবারে উল্টো। আউট হওয়ার পরও হাসছিলেন হ্যারি ব্রুক। আর যিনি আউট করেছেন সেই বরুণ চক্রবর্তী ছিলেন মুখ গোমড়া করে। তবে ব্রুকের হাসিটা ছিল অসহায়ত্বের, বরুণের গোমড়া মুখ ঔদ্ধত্যের।
বরুণের ‘দাপট’ পরে কিছুটা হলেও কমে যাওয়ার কথা, পরের ৩ ওভারেই যে ৩৫ রান দিয়ে ফেলেছেন। তবে ব্রুকের অসহায়ত্বের অনুভূতি দীর্ঘ হচ্ছে বলে ধরে নিতে পারেন। আউটের সঙ্গে সঙ্গেই যে বিদ্রূপের শিকারে পরিণত হয়েছেন এই ব্যাটসম্যান। সেই বিদ্রূপ আবার শুধু নেটিজেনদের মধ্য থেকে নয়, সুনীল গাভাস্কার, রবি শাস্ত্রীর মতো কিংবদন্তিদের কাছ থেকে।
ঘটনার উৎস ভারত-ইংল্যান্ড সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টি। তিন দিন আগে কলকাতায় হওয়া ম্যাচটিতে বরুণের বলে বোল্ড হয়েছিলেন ব্রুক। যে বোল্ডের কারণ হিসেবে কলকাতার রাতের কুয়াশাচ্ছন্ন ধোঁয়াটে অবস্থাকে দায়ী করেছিলেন এই ইংলিশ ব্যাটসম্যান। আশা প্রকাশ করেছিলেন, পরের ম্যাচে চেন্নাইয়ে কুয়াশা থাকবে না। আকাশ পরিষ্কার থাকবে, বলও একটু সহজে দেখতে পারবেন।
কিন্তু গতকাল চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামেও বরুণের বলে বোল্ড হয়েছেন ব্রুক। ঠিক প্রথম ম্যাচে যেভাবে হয়েছিলেন, সেভাবেই। বরুণের গুগলি বুঝতেই পারেননি। কলকাতায় কুয়াশাকে অজুহাত বানানোর পর এবার চেন্নাইয়েও একইভাবে আউট হওয়ায় ব্রুককে খোঁচা দিতে দেরি করেননি ভারতীয় কিংবদন্তিরা। ব্রুক আউট হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই ধারাভাষ্যকক্ষে থাকা রবি শাস্ত্রী বলে ওঠেন, ‘আবার বরুণ চক্রবর্তী ..., কুয়াশার দরকার নেই, বল স্টাম্পে লেগেছে, ব্রুক টেরই পায়নি।’
সুনীল গাভাস্কারও কি আর চুপ থাকবেন? তিনি তো নিজের দেশের ক্রিকেটারদেরই ছাড় দেন না। শাস্ত্রীর পর গাভাস্কার বলে ওঠেন, ‘বরুণ চক্রবর্তী ওর দিকে তাকিয়ে আছে, এবং বলছে, এখানেও কুয়াশা আছে নাকি?’
শুধু ভারতীয়দের দিক থেকেই নেই, সফরে ইংল্যান্ডের সহ-অধিনায়কের দায়িত্বে থাকা ব্রুক খোঁচা পেয়েছেন তাঁর দেশের সাবেক অধিনায়ক মাইকেল ভনের কাছ থেকেও।
এক্সে তিনি লিখেছেন, ‘চেন্নাইয়ে কি অনেক কুয়াশা? শুধু জানতে চাচ্ছি আর কি!’
দুই ম্যাচে একই ভাবে আউট হওয়া ব্রুক ইনিংস বড় করতে পারেননি, প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ১৭ রানের পর দ্বিতীয়টিতে ফিরেছেন ১৩ রানে। ব্রুকের মতো ব্যর্থ ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে সফরকারীরা এখন ২-০ ব্যবধানে পিছিয়ে।