২৫ বছর বয়সী এই অলরাউন্ডার শেষবার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি খেলেছিলেন গত বছর সিডনিতে, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। বিশ্বকাপে ওই একটা ম্যাচই সুযোগ পেয়েছিলেন।
শেষ চার ম্যাচে বল হাতে মাত্র এক উইকেট আর ব্যাট হাতে ৭১ রান আর যা–ই হোক একাদশে জায়গা ধরে রাখার জন্য যথেষ্ট ছিল না। যে কারণে বাদ পড়েন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ দলের শেষ তিন ম্যাচ থেকে। একাদশে জায়গা হয়নি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচেও।
ওয়ানডে দলের সঙ্গে নিয়মিত থাকলেও মিরাজের জন্য টি-টোয়েন্টিতে খেলতে নামা তাই ‘ভাবনারই বিষয়’ ছিল। এই কথাটিই জানালেন ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে, ‘ভালো লাগছে যে দলের জন্য কিছু করতে পেরেছি। অনেক দিন পর টি-টোয়েন্টি খেলতে নেমেছি। আমি কিছুটা দ্বিধায় ছিলাম (ভালো করতে পারব কি না)। তবে দলের সবাই আমাকে সহযোগিতা করেছে।’
টস হেরে ব্যাট করতে নামা ইংল্যান্ড যে ১১৭ রানে গুটিয়ে যায়, তার মূলে ছিল মিরাজের স্পিন। ডেভিড ম্যালান, জস বাটলাররা ফিরে যাওয়ার পর ইংল্যান্ডের ভরসা হয়ে ছিলেন মঈন আলী।
বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানকে শামীমের ক্যাচ বানিয়ে ফিরিয়েই মিরাজের শিকারের শুরু। এরপর স্যাম কারেনকে ফিরিয়েছেন উপস্থিত বুদ্ধিতে। উইকেট ছেড়ে কারেনকে বেরিয়ে আসতে দেখে বলের লেংথ কমিয়ে জোরের সঙ্গে উইকেটের অনেকটা বাইরে পিচ করান মিরাজ। লাইন মিস করে লিটনের সহজ স্টাম্পড ১৬ বলে ১২ রান করা কারেন।
পরে ক্রিস ওকস আর ক্রিস জর্ডানকেও ফেরান মিরাজ। ২০ ম্যাচের টি-টোয়েন্টির ক্যারিয়ারে এটিই তাঁর প্রথম ৪ উইকেট।
এ ক্ষেত্রে মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামের উইকেটেরও কিছুটা ভূমিকা ছিল বলে জানান মিরাজ, ‘উইকেটে কিছুটা টার্ন ছিল। স্পিনারদের জন্য সহায়তা ছিল। লাইন-লেংথ ধরে বল করে গেছি।’