এবার উল্টো কিছুর আশা লিটনের
লিটন দাসের ওপর প্রত্যাশাটা একটু বেশিই থাকলেও সব সময় যে তা তিনি পূরণ করতে পারেন, সে রকম নয়। এবার লিটনের কাঁধে উঠেছে একটা বাড়তি দায়িত্বও। টি–টোয়েন্টি সংস্করণে যে বাংলাদেশ দলের নতুন অধিনায়ক তিনি!
ব্যাটিং নিয়ে প্রত্যাশার সঙ্গে অধিনায়কত্বের ভার, লিটন খেই হারিয়ে ফেলবেন না তো! সংযুক্ত আরব আমিরাতে অধিনায়ক হিসেবে নিজের প্রথম সিরিজ খেলতে যাওয়ার আগের সংবাদ সম্মলনে আজ এ নিয়ে লিটন বলেছেন, ‘অধিনায়কত্ব করা ছাড়াও তো আমি খারাপ খেলেছি। এখন অধিনায়ক হয়ে এসেছি, এটা উল্টোও হতে পারে যে (অধিনায়ক হয়ে) আসার পর থেকে আমি ভালো খেলতে পারি। ইতিবাচক ও নেতিবাচক—দুইটা জিনিসই হতে পারে।’
ব্যাট হাতে লিটনের সময় খুব একটা ভালো যাচ্ছে না। টি–টোয়েন্টি সংস্করণে নিজের শেষ তিন ম্যাচে করেছেন ০, ৩ ও ১৪ রান, ফিফটি নেই ৬ ম্যাচে। অবশ্য এ বছর এখনো আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নামাই হয়নি লিটনের। মাঝে বিপিএলে ১১ ম্যাচে এক সেঞ্চুরিসহ করেছেন ৩৬৮ রান। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে ৬ ম্যাচে করেছেন ২৩৭।
লিটনের বিশ্বাস, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের অফ ফর্মটাও এবার কাটিয়ে উঠতে পারবেন তিনি, ‘কিছু কিছু সময় থাকে, আপনি অনেক চেষ্টা করেও হয়তো সফল হবেন না। বিপরীত দিক দেখতে গেলে কিন্তু এমনও হয়, একজন ক্রিকেটার একটা সিরিজ, দুইটা সিরিজ খারাপ খেলে, আবার কামব্যাক করে। আমিও ওই চেষ্টাই করব। আমি যে ধরনের খেলোয়াড়, সে অনুযায়ী যেন বাংলাদেশকে দিতে পারি।’
লিটন অধিনায়ক হওয়ার পর তাঁর ব্যাটিং পজিশন সম্পর্কেও একটা ধারণা দেওয়া হয়েছে। দল ঘোষণার সংবাদ সম্মেলনে প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন জানিয়েছিলেন, ইনিংস উদ্বোধনে না এসে লিটনে খেলতে পারেন তিন নম্বরে। তবে কি সাদা বলের ক্রিকেটে এখন থেকে তিনেই তাঁর ঠিকানা?
সংবাদ সম্মেলনে প্রসঙ্গটা একটু এড়িয়েই গেছেন লিটন। তবে দলের কাছে নিজের চাওয়াটা জানিয়ে দিয়েছেন ঠিকই, ‘এ মুহূর্তে আমি কী চাই, আমার কী পছন্দ—অন্তত টি–টোয়েন্টি সংস্করণে আমি এই জিনিসটা দেখতে চাই না। আমি চাই দল যখন যেখানে যাকে বলবে, সে যেন সেখানে খেলতে প্রস্তুত হয়। অবশ্যই এমন কোনো দিন আসবে না আমি সাতে গিয়ে ব্যাটিং করছি। তাহলে বাংলাদেশ দল আমার কাছ থেকে কিছু পাবে না।’