দুই হাতে বোলিং করা আরও এক স্পিনার শ্রীলঙ্কা দলে, কে এই বোলার

থারিন্দু রত্নায়েকেইনস্টাগ্রাম

বয়স ২৯ বছর ৫৯ দিন। শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলছেন ১০ বছর ধরে। ২০১৫ সালে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষিক্ত এই স্পিনারের প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে উইকেট আছে ৩৩৭।

বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার ডাক পাওয়া এই থারিন্দু রত্নায়েকে নিয়ে আলোচনার কারণ বয়স, ম্যাচ বা উইকেট সংখ্যা নয়। শ্রীলঙ্কা দলের এই নতুন খেলোয়াড় দুই হাতেই বোলিং করতে পারেন। থারিন্দুকে নিয়ে শ্রীলঙ্কা দলে দুই হাতের বোলার এখন দুজন, আগে থেকেই আছেন কামিন্দু মেন্ডিস।

থারিন্দু কামিন্দুর মতোই ডানহাতি অফ ব্রেক ও বাঁহাতি অর্থোডক্স বোলিং করতে পারেন, তবে একটা পার্থক্যও আছে। কামিন্দু মূলত ব্যাটিং অলরাউন্ডার আর থারিন্দু বোলিং অলরাউন্ডার। কামিন্দুর ১২ টেস্ট খেলে মাত্র ৩ উইকেট নেওয়াই প্রমাণ করে বোলিংটা তাঁর দ্বিতীয় শক্তি। বোলিং করার ধরনে মিল থাকলেও দুজনের কাজটা তাই আলাদা। থারিন্দুর ব্যাটিংটাও ফেলে দেওয়ার মতো নয়। ৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই স্পিনারের আছে ৯টি ফিফটি, গড় ২১.৪৭।

৭৩টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলা এই স্পিনারের আছে ৯টি ফিফটি
ইনস্টাগ্রাম

বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম টেস্টে গলে দেখা যেতে পারে সব্যসাচী এই স্পিনারকে। দুই হাতে সমানতালে বোলিং করতে পারা বোলার থাকাটা অধিনায়ক ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে নিশ্চিতভাবেই বাড়তি সুবিধা দেবে। সিরিজের দুটি টেস্টই হবে গলে। গল স্পিনারদের জন্য অনেকটা তীর্থভূমির মতো। স্বাভাবিকভাবেই এই স্পিন–স্বর্গে বাড়তি সুবিধা পাবেন থারিন্দু।

আরও পড়ুন

আর অনেক দিন ধরেই প্রবাত জয়াসুরিয়ার পাশে একজন নির্ভরযোগ্য সঙ্গী খুঁজছিল শ্রীলঙ্কা। রমেশ মেন্ডিস, লাসিথ এমবুলদেনিয়া, প্রবীণ জয়াবিক্রমা, জেফরি ভ্যান্ডারসরা কেউই এখনো ম্যাচ জেতানো খেলোয়াড় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেননি। তাই গত ১৫ মাসে ঘরোয়া ক্রিকেটের ধারাবাহিক পারফরম্যান্সই থারিন্দুকে এনে দিয়েছে জাতীয় দলের দরজায়।

বাংলাদেশ সিরিজে দেখা যেতে পারে থারিন্দুকে
ইনস্টাগ্রাম

পরিসংখ্যান বলছে, জয়াসুরিয়া গলে দুর্দান্ত হলেও অন্য মাঠে তাঁর প্রভাব অনেকটাই কম। তাঁর ২০ টেস্টে ১১৬ উইকেটের মধ্যে ৮০ উইকেটই এসেছে গলের ১০ ম্যাচে। এই নির্ভরতার ভার কমাতে এবং বিদেশের মাটিতেও কার্যকর স্পিন–জুটি গড়তে আদর্শ বিকল্প হতে পারেন থারিন্দু।

আরও পড়ুন

স্পিনার আকিলা ধনাঞ্জয়াও ছয় বছর পর টেস্ট দলে ফিরিয়েছেন। জয়াসুরিয়া, থারিন্দু এবং আকিলা—এই তিন স্পিনারকেই সামলাতে হতে পারে বাংলাদেশকে। সঙ্গে কামিন্দু ও ধনাঞ্জয়া ডি সিলভারা তো স্পিন করার জন্য আছেনই!

এ ছাড়া স্কোয়াডে রাখা হয়েছে স্পিন বোলিং অলরাউন্ডার সোনাল দিনুশাকেও। ২৪ বছর বয়সী এই ক্রিকেটারকে অবসরের সিদ্ধান্ত নেওয়া অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের বিকল্প ভাবা হচ্ছে। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ৪৮ ম্যাচে ৯৯ উইকেট ও ৭ সেঞ্চুরিতে ৪০.৬২ গড়ে ২৪৭৮ রান সেই সামর্থ্যের প্রমাণ দেয়। সব মিলিয়ে গলে দুই টেস্টে অচেনা স্পিনারদের পরীক্ষার মধ্যে দিয়েই যেতে হবে বাংলাদেশকে।