বাজবলের ‘ফাইনাল পরীক্ষা’ ভারতে

ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালামছবি: রয়টার্স

আগামী মাসে পাঁচ ম্যাচের টেস্ট সিরিজ খেলতে ভারতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড। ২৫ জানুয়ারি হায়দরাবাদে শুরু হবে সিরিজের প্রথম টেস্ট। এই সিরিজকে ‘বাজবল’–এর জন্য খুব কঠিন পরীক্ষা বলেই মনে করছেন ইংল্যান্ডের প্রধান কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম।

ভারতে ‘আরসিবি ইনোভেশন ল্যাবস লিডারস মিট’ অনুষ্ঠানে এমন কথা বলেন ম্যাককালাম। গত মে মাসে তিনি ইংল্যান্ড দলের কোচ হন। অধিনায়ক বেন স্টোকস এবং তাঁর অধীনে টেস্টে আক্রমণাত্মক খেলে আসছে ইংল্যান্ড। ম্যাককালামের ডাকনামের সঙ্গে মিল রেখে তাঁদের খেলার এই ধরনকে ‘বাজবল’ নাম দিয়েছে সংবাদমাধ্যম। শব্দটি জায়গা পেয়ে গেছে ইংরেজি অভিধানেও। টেস্ট র‌্যাঙ্কিংয়ে শীর্ষে থাকা ভারতের বিপক্ষে সিরিজে বাজবলের কার্যকারিতা কেমন, সেই পরীক্ষাও হয়ে যাবে বলে মনে করেন ম্যাককালাম।

আরও পড়ুন

ইংল্যান্ড কোচ বলেছেন, ‘পাঁচ টেস্টে ভারতের খুব ভালো দলের বিপক্ষে বিশাল চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে। এটা নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। কারণ, সবাই সেরাদের বিপক্ষেই নিজেদের সামর্থ্য পরীক্ষা করে এবং আমি সত্যিই বিশ্বাস করি, নিজেদের কন্ডিশনে ভারত সেরা। আমরা সফল হলে সেটা হবে দারুণ ব্যাপার। কিন্তু সফল না হলে আমি জানি নিজেদের খেলাটা খেলেই হারব।’

বাজবল ক্রিকেট খেলার লক্ষ্যও বুঝিয়ে বললেন ম্যাককালাম, ‘আমরা ক্রিকেট ভালোবাসি বলেই খেলাটা খেলছি এবং ক্রিকেটে যতটা ভালো হওয়া সম্ভব, সেই চেষ্টাই করতে চাই। দায়িত্বে থাকতে থাকতে এটা উপভোগ করা নিশ্চিত করা উচিত এবং সে জন্য ক্যারিয়ার শেষ হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করাও অনুচিত। আমরা সৌভাগ্যবান যে (বাজবল খেলে) তাৎক্ষণিক কিছু সাফল্য পেয়েছি। তবে আমি মনে করি না যে এটাই সর্বোচ্চ সীমা। গত ১৮ মাসে আমাদের কিছু খেলোয়াড় প্রতিভার স্ফুরণ ঘটিয়েছে আর নেতা হিসেবে সেটাই দায়িত্ব—সেরাটা বের করে আনা।’

আরও পড়ুন

খেলোয়াড়ি জীবনে ম্যাককালাম নিজেও আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেছেন। নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ২০০৮ সালে আইপিএলের ইতিহাসে প্রথম ম্যাচে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে ৭৩ বলে ১৫৮ রানের অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলেছিলেন।

ম্যাককালাম জানিয়েছেন, বাজবল খেলার প্রেরণা আইপিএলে ওই ইনিংসটি এবং সেটি তাঁর জীবনের মোড়ও ঘুরিয়ে দিয়েছে, ‘আমি এখনো দিনের বেলাতেও ওই মুহূর্তটার স্বপ্ন দেখি। কারণ, ওটা আমার জীবন পাল্টে দিয়েছিল। নিউজিল্যান্ডের সামান্য এক ক্রিকেটার ছিলাম, যেখানে আপনার অবদান সম্পর্কে কেউ তেমন জানে না, কোত্থেকে এসেছেন, কী করতে পারেন, সেসব নিয়েও তেমন একটা ধারণা নেই। কিন্তু সেই দিনটি আমাকে ভিত পাইয়ে দেওয়ার পাশাপাশি জীবন পাল্টানোর সুযোগ করে দিয়েছিল।’

আরও পড়ুন